Summary
লিভার একটি সরল যন্ত্র যা মুক্তভাবে ওঠানামা করে বা ঘোরে। এটি ভারি বস্তুকে কম বল প্রয়োগ করে উঠাতে সাহায্য করে এবং এতে ফালক্রাম, বল, এবং ভারের সম্পর্ক রয়েছে।
লিভারের নীতিমালা হলো: বল × বলবাহুর দৈর্ঘ্য = ভার × ভারবাহুর দৈর্ঘ্য. এর মাধ্যমে যান্ত্রিক সুবিধা বোঝা যায়।
একটি কার্যক্রমের মাধ্যমে যান্ত্রিক সুবিধা প্রদর্শনের জন্য, পেনসিলকে রুলারের সাথে রাবার ব্যান্ড দিয়ে বেঁধে লিভার তৈরি করতে হবে। এই পরীক্ষার মাধ্যমে বোঝা যাবে কিভাবে বলবাহুর দৈর্ঘ্য বাড়িয়ে ভারবাহুর দৈর্ঘ্য কমিয়ে অধিক ভার তোলা যায়।
লিভার হলো একটি সরল যন্ত্র, যাতে একটি শক্ত দণ্ড কোনো অবলম্বনের কোনো কিছুর উপর ভর করে মুক্তভাবে ওঠানামা করে বা ঘোরে, পাঠ ৩ এ বর্ণিত ঘটনার দন্ড এবং পাথর বা ইটের ব্যবস্থায় যেমন হয়। লিভারের ব্যবহারের আরেকটি সাধারণ উদাহরণ হলো শাবলকে ইট বা পাথরের উপরে ভর করে কোনো ভারি বস্তুকে উঠাতে সাহায্য করা। এখানে ভারি বস্তুটি হলো ভার এবং এই ভারকে উঠাতে যে বল প্রয়োগ করা হয় তা হলো প্রযুক্ত বল। শক্ত দণ্ডটি কোনো অবলম্বনের যে বিন্দুতে ঠেকানো অবস্থায় মুক্তভাবে ওঠানামা করে বা ঘোরে তা হলো ফালক্রাম। লিভার কোনো ভারি বস্তুকে কম বল প্রয়োগ করে উঠাতে বা সরাতে সাহায্য করে।
এখানে যান্ত্রিক সুবিধা হলো- যান্ত্রিক সুবিধা = ভার / প্রযুক্ত বল
এখন তোমাকে বুঝতে হবে কীভাবে লিভার ব্যবহার করে যান্ত্রিক সুবিধা আদায় করা যায়। লিভারের নীতিমালা হলো নিম্নরূপ:
বল × বলবাহুর দৈর্ঘ্য = ভার ভারবাহুর দৈর্ঘ্য
এখানে বল যে বিন্দুতে প্রযুক্ত হয় তা থেকে ফালক্রাম পর্যন্ত দূরত্ব হলো বলবাহুর দৈর্ঘ্য। অনুরূপভাবে ভার থেকে ফালক্রাম পর্যন্ত দূরত্ব হলো ভারবাহু। তাহলে উপরের নীতিমালা থেকে নিম্নোক্তভাবেও বোঝা যায়।
ভার / বল = বলবাহুর দৈর্ঘ্য / ভারবাহুর দৈর্ঘ্য
এখানে নির্দিষ্ট বল দ্বারা কীভাবে নির্দিষ্ট ভরের বস্তুকে উঠানো বা সরানোর ক্ষেত্রে যান্ত্রিক সুবিধা আদায় করব তা একটি কাজের মাধ্যমে দেখব।
| কাজ: একটি পেনসিলকে রুলারের সাথে রাবার ব্যান্ড দিয়ে বেঁধে একটি লিভার তৈরি কর। এখানে পেনসিলটি ফালক্রাম হিসেবে কাজ করবে। এবার প্রথমেই রুলারটিকে সামনে-পিছনে সরিয়ে ভূমির সমান্তরাল কর। এবার দুই পাশে পাঁচটি করে ৫ টাকার মুদ্রা এমনভাবে রাখ যেন পুনরায় রুলারটি ভূমির সমান্তরাল হয়। এবার ডান দিকে পুনরায় আরও ৫টি মুদ্রা রাখ। কী হবে! নিশ্চয়ই ডান দিকটি ঝুঁকে পড়েছে? এবার পুনরায় রুলারটি সামনে পিছনে করে বাম প্রান্তে ৫টি এবং ডান প্রান্তে ১০টি মুদ্রা রেখে ভূমির সমান্তরাল কর। এতে কী হলো? ভারবাহুর দৈর্ঘ্য কমে গেল এবং বলবাহুর দৈর্ঘ্য বেড়ে গেল। একে আমরা বলতে পারি যান্ত্রিক সুবিধা আদায় হলো। অর্থাৎ কম বল প্রয়োগ করে বেশি ভার তোলা হয়েছে। পুনরায় আরও ৫টি পয়সা দিয়ে দেখ কী হয়। |