সপ্তম শ্রেণি (দাখিল) - বাংলা - NCTB BOOK
Please, contribute to add content into অর্থ বুঝে বাক্য লিখি.
Content

শব্দের শ্রেণি

বাক্যের শব্দগুলোকে বিশেষ্য, সর্বনাম, বিশেষণ, ক্রিয়াবিশেষণ, অনুসর্গ, যোজক ও আবেগ—এই আট শ্রেণিতে ভাগ করে দেখানো যায়।

বিশেষ্য: যেসব শব্দ দিয়ে ব্যক্তি, প্রাণী, স্থান, বস্তু, ধারণা ও গুণের নাম বোঝায়, সেগুলোকে বিশেষ্য বলে। যেমন: নজরুল, বাঘ, ঢাকা, ইট, ভোজন, সততা।

সর্বনাম: বিশেষ্যের বদলে বাক্যে যেসব শব্দ বসে, সেগুলোকে সর্বনাম বলে। যেমন: ‘মুনিরা দাবা প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেছে। তার জন্য স্কুলের সবাই গর্বিত।' এখানে দ্বিতীয় বাক্যের ‘তার’ প্রথম বাক্যের মুনিরাকে বোঝাচ্ছে। তাই ‘তার’ একটি সর্বনাম।

বিশেষণ: যেসব শব্দ দিয়ে বিশেষ্য ও সর্বনামের গুণ, দোষ, সংখ্যা, পরিমাণ, অবস্থা ইত্যাদি বোঝায়, তাকে বিশেষণ বলে। যেমন: সুন্দর ফুল, বাজে কথা, পঞ্চাশ টাকা, হাজার সমস্যা, তাজা মাছ।

ক্রিয়া: বাক্যের উদ্দেশ্য বা কর্তা কী করে বা কর্তার কী ঘটে বা হয়, তা নির্দেশ করা হয় যেসব শব্দ দিয়ে সেগুলোকে ক্রিয়া বলে। যেমন: রাজীব খেলছে। বৃষ্টি হয়েছিল।

ভাবপ্রকাশের দিক দিয়ে ক্রিয়া আবার দুই প্রকার: সমাপিকা ক্রিয়া ও অসমাপিকা ক্রিয়া। যে ক্রিয়া দিয়ে ভাব সম্পূর্ণ হয়, তাকে সমাপিকা ক্রিয়া বলে। যেমন: সে পড়ছে। আর যে ক্রিয়া দিয়ে ভাব সম্পূর্ণ হয় না, তাকে অসমাপিকা ক্রিয়া বলে। যেমন: সে পড়লে ভালো করবে। এখানে ‘পড়লে’ ক্রিয়াটি দিয়ে ভাব সম্পূর্ণ না হওয়ায় পরে একটি সমাপিকা ক্রিয়া দিয়ে বাক্যটি সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

ক্রিয়াবিশেষণ: যে শব্দ ক্রিয়ার অবস্থা, সময় ইত্যাদি নির্দেশ করে, তাকে ক্রিয়াবিশেষণ বলে। যেমন: ছেলেটি দ্রুত দৌড়ায়। মেয়েটি সকালে গান করে।

অনুসর্গ: যেসব শব্দ কোনো শব্দের পরে বসে শব্দটিকে বাক্যের সাথে সম্পর্কিত করে, সেসব শব্দকে অনুসর্গ বলে। যেমন: সে কাজ ছাড়া কিছুই বোঝে না। কোন পর্যন্ত পড়েছ?

যোজক: শব্দ বা বাক্যের অংশকে যুক্ত করে যেসব শব্দ, সেগুলোকে যোজক বলে। যেমন: লাল বা নীল কলমটি আনো। জলদি দোকানে যাও এবং পাউরুটি কিনে আনো।

আবেগ: মনের নানা ভাব বা আবগেকে প্রকাশ করা হয় যেসব শব্দ দিয়ে সেগুলোকে আবেগ শব্দ বলা হয়। যেমন: বাহ! চমৎকার লিখেছ। উফ, আর পারি না!

 

শ্রেণি অনুযায়ী শব্দ আলাদা করি

নিচের নমুনা থেকে বিশেষ্য, সর্বনাম, বিশেষণ, ক্রিয়া, ক্রিয়াবিশেষণ, অনুসর্গ, যোজক ও আবেগ—এই আট শ্রেণির শব্দ চিহ্নিত করো।

বাংলাদেশের একেবারে দক্ষিণের জেলা কক্সবাজার। পর্যটকদের আকর্ষণের জন্য এখানে রয়েছে পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র-সৈকত। প্রতিদিন অসংখ্য দেশি-বিদেশি পর্যটক এই সৈকতে বেড়াতে আসেন। আর এর সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে বলেন, ‘বাহ! কী সুন্দর!’

কক্সবাজার সমুদ্র-সৈকতের সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক এর ঢেউ। সবসময় বড়ো বড়ো ঢেউ তৈরি হয় সাগরে। আর সেই ঢেউ তীরে এসে জোরে জোরে আছড়ে পড়ে। অনেক মানুষ গা ভেজাতে সৈকতে নামে। তাদের কেউ কেউ ঢেউ দেখে আনন্দে লাফ দেয়। অনেকেই ভেজা বালি দিয়ে ঘর বানায়। ঢেউ এসে সেই ঘর ভেঙে দেয়। তবু তারা হাসিমুখে আবার ঘর বানাতে থাকে।

কক্সবাজার নামটি এসেছে ক্যাপ্টেন হিরাম কক্সের নাম থেকে। হিরাম কক্স ছিলেন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির একজন অফিসার। এর আগে কক্সবাজারের নাম ছিল পালংকি। হিরাম কক্স আঠারো শতকের শেষ দিকে পালংকির পরিচালক নিযুক্ত হন। তাঁর মৃত্যুর পর একটি বাজার প্রতিষ্ঠা করা হয়, যার নাম দেওয়া হয় কক্স সাহেবের বাজার।

পর্যটন শিল্পকে কেন্দ্র করে কক্সবাজারে গড়ে উঠেছে অনেক প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন এখানে কয়েকটি মোটেল নির্মাণ করেছে। এছাড়া বেসরকারি উদ্যোগে অনেক হোটেল তৈরি হয়েছে। সৈকতের কাছে ছোটো-বড়ো অনেক হোটেল আছে। পর্যটকদের জন্য এখানে গড়ে উঠেছে নানা ধরনের দোকান। দোকানগুলোতে বাহারি জিনিসপত্র পাওয়া যায়।

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে রয়েছে হিমছড়ি পর্যটন কেন্দ্র। পাহাড়ের কোল ঘেঁষে হিমছড়ি সমুদ্র সৈকতেও প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ বেড়াতে যায়। কক্সবাজার থেকে হিমছড়ি যাওয়ার পথটি সুন্দর ও রোমাঞ্চকর। কক্সবাজার ও আশেপাশের পর্যটন স্থানগুলোতে ঘোরার সময়ে কেবলই মনে হয়, আহা! কত সুন্দর আর বৈচিত্র্যময় আমাদের বাংলাদেশ।

উপরের নমুনা থেকে চিহ্নিত করা বিশেষ্য, সর্বনাম, বিশেষণ, ক্রিয়াবিশেষণ, অনুসর্গ, যোজক ও আবেগ—এই আট শ্রেণির শব্দ নিচের ছকে লেখো।

বিশেষ্য 
সর্বনাম 
বিশেষণ 
ক্রিয়া 
ক্রিয়াবিশেষণ 
অনুসর্গ 
যোজক 
আবেগ 

 

বাক্যের শ্রেণি

ভাবপ্রকাশের ধরন অনুযায়ী বাক্যকে বিবৃতিবাচক, প্রশ্নবাচক, অনুজ্ঞাবাচক ও আবেগবাচক—এই চার ভাগে ভাগ করা যায়।

বিবৃতিবাচক বাক্য: সাধারণভাবে কোনো বিবরণ প্রকাশ পায় যেসব বাক্যে, সেগুলোকে বিবৃতিবাচক বাক্য বলে। যেমন: একটি পাখি আমাদের কাঁঠাল গাছে বাসা বেঁধেছে।

প্রশ্নবাচক বাক্য: বক্তা কারও কাছ থেকে কিছু জানার জন্য যে ধরনের বাক্য বলে, সেগুলো প্রশ্নবাচক বাক্য। যেমন: কোন পাখি তোমাদের কাঁঠাল গাছে বাসা বেঁধেছে?

অনুজ্ঞাবাচক বাক্য: আদেশ, নিষেধ, অনুরোধ, প্রার্থনা ইত্যাদি বোঝাতে অনুজ্ঞাবাচক বাক্য হয়। যেমন: কাঁঠাল গাছে একটি হাঁড়ি বেঁধে দাও।

আবেগবাচক বাক্য: কোনো কিছু দেখে বা শুনে অবাক হয়ে যে ধরনের বাক্য তৈরি হয়, তাকে আবেগবাচক বাক্য বলে। যেমন: কী সুন্দর দেখতে সেই পাখিটা!

 

শ্রেণি অনুযায়ী বাক্য আলাদা করি

নিচের নমুনা থেকে বিবৃতিবাচক, প্রশ্নবাচক, অনুজ্ঞাবাচক ও আবেগবাচক-এই চার রকমের বাক্য চিহ্নিত করো।

বিকাল সাড়ে চারটায় সবার মাঠে আসার কথা। আজ কোনো খেলা হবে না, জরুরি সভা হবে। ইমনদের পুরাতন ভিটায় একটা পোড়োবাড়ি আছে। সেখানে কয়েকদিন ধরে কিছু অপরিচিত লোকের আনাগোনা দেখা যাচ্ছে। কামাল বলছিল, ‘ওখানে গুপ্তধন থাকতে পারে।' নিলয় খানিক কৌতূহলী হয়ে ইমনের দিকে তাকিয়ে বলেছিল, ‘কী রে ইমন, ওই বাড়িতে গুপ্তধন আছে নাকি?” ইমন অবাক হয়ে বলেছিল, “তাই নাকি! আমি তো জানি না।' আসলেই কোনো গুপ্তধন আছে কি না, তা যাচাই করার জন্য অভিযানের প্রস্তাব দিয়েছিল কামাল। বলেছিল, ‘চল, আমরাই খোঁজ করে দেখি। গুপ্তধন থাকলে ঠিক খুঁজে পাব।' ইমনদের পোড়োবাড়িতে কবে এবং কীভাবে অভিযান চালানো হবে, তা নিয়ে আলোচনার জন্যই আজকের সভা।

আমার অবশ্য খানিক ভয় ভয় করছে। কারণ, অপরিচিত লোকগুলো যদি ঠিক গুপ্তধন খুঁজতে আসে! আর যদি আমাদের সাথে ওদের দেখা হয়ে যায়! তবে ঠিক তারা প্রশ্ন করবে, ‘এখানে কী করছো তোমরা? তখন আমরা কী উত্তর দেবো? উত্তর ওদের পছন্দ না হলে বলতে পারে, ‘এখানে আর আসবে না। যাও, চলে যাও।' তাছাড়া লোকগুলো হয়তো গুপ্তধন খুঁজতে আসেনি, অন্য কাজে এসেছে। তবু সেখানে যেতে আমার ভয় করবে। যে পুরাতন বাড়ি! বাড়ির চারপাশে কত বড়ো বড়ো গাছ! দিনের বেলাতেও বাড়ির ভিতরটা অন্ধকার হয়ে থাকে। সেখানে এমনিতেই সহজে কেউ ঢুকতে চায় না।

আগের পৃষ্ঠার নমুনা থেকে বিবৃতিবাচক, প্রশ্নবাচক, অনুজ্ঞাবাচক ও আবেগবাচক-এই চার রকমের বাক্য নিচের ছকে লেখো।

বিবৃতিবাচক বাক্য 
প্রশ্নবাচক বাক্য 
অনুজ্ঞাবাচক বাক্য 
আবেগবাচক বাক্য 
Content added By

নমুনা ১

রেলগাড়ি চলে রেললাইনের উপর দিয়ে। দেশে-বিদেশে যত রকম যানবাহন আছে, তার মধ্যে রেলগাড়ি সম্ভবত সবচেয়ে জনপ্রিয়। ছেলেবুড়ো সবাই এর কু-ঝিকঝিক শব্দ শুনে মুগ্ধ হয়। নদী-নালা, পাহাড়- পর্বতের পাশ দিয়ে সাপের মতো এঁকেবেঁকে রেলগাড়ি ছুটে চলে। গাড়ির জানালা দিয়ে মুখ বাড়ালে মাঝে মাঝে দেখা যেতে পারে কুঁড়েঘর, ধানখেত, নীলাকাশ।

বাংলাদেশের রেলগাড়িতে অনেক সময়ে হকার দেখা যায়। তাঁরা ডিমসিদ্ধ, ঝালমুড়ি, চিড়াভাজা-সহ আরও কত কিছু যে বিক্রি করেন! অনেকে পত্র-পত্রিকা বিক্রির জন্যও রেলে ওঠেন। একবার একতারা হাতে একজনকে রেলগাড়িতে উঠতে দেখেছিলাম। তিনি পল্লিগীতি শুনিয়ে সবাইকে মুগ্ধ করেছিলেন। তাঁর গান শুনে সবার সাথে আমিও হাততালি দিয়েছিলাম।

রেল-ভ্রমণের আনন্দ অনেক। রেলগাড়িতে না উঠলে তা ঠিক বোঝা যাবে না।

কোনো কোনো শব্দ ভাঙলে দুটি অংশ পাওয়া যায়। দুটি অংশই আলাদাভাবে অর্থযুক্ত। তার মানে, দুটি অর্থযুক্ত শব্দ জোড়া দিয়ে একটি নতুন শব্দ তৈরি হতে পারে। যেমন: বটতলা। এখানে ‘বট’ আর ‘তলা' দুটি অংশ‍ই অর্থযুক্ত। উপরের লেখাটি থেকে এ রকম শব্দ খুঁজে বের করো এবং নিচের ছকে লেখো।

লেখা শেষ হলে তোমার বন্ধুদের সাথে মিলিয়ে নাও। তাদের সাথে উত্তরের পার্থক্য হলে তা নিয়ে আলোচনা করো।

 

সমাস

যেসব শব্দের দুটি অংশই অর্থযুক্ত সেসব শব্দকে বলা হয় সমাস সাধিত শব্দ। সমাস শব্দগঠনের একটি প্রক্রিয়া। সমাসের মাধ্যমে গঠিত শব্দের নমুনা:

ভাই + বোন = ভাই-বোন                                মামা + বাড়ি = মামাবাড়ি

আসা + যাওয়া = আসা-যাওয়া                        মধু + মাখা = মধুমাখা

ভালো + মন্দ = ভালোমন্দ                               রান্না + ঘর = রান্নাঘর

আলু + সিদ্ধ = আলুসিদ্ধ                                 চা + বাগান = চা-বাগান

টাক + মাথা =টাকমাথা                                  গরুর + গাড়ি = গরুর গাড়ি

ত্ৰি + ফল = ত্রিফলা                                       তেলে + ভাজা = তেলেভাজা

চৌ + রাস্তা = চৌরাস্তা                                    লাল + পাড় = লালপেড়ে

হাত + ঘড়ি = হাতঘড়ি                                   গোঁফ + খেজুর = গোঁফখেজুরে

কাজল + কালো = কাজলকালো                    হাত + খড়ি = হাতখড়ি

ছেলে + ভুলানো = ছেলেভুলানো                    বউ + ভাত = বউভাত

সমাসবদ্ধ হওয়ার সময়ে কখনো কখনো শব্দের চেহারায় কিছু পরিবর্তন হয়। যেমন, উপরের উদাহরণে ত্রি+ফল মিলে ‘ত্রিফল’ না হয়ে ‘ত্রিফলা’ হয়েছে। তেমনি লালপেড়ে, গোঁফখেজুরে, হাতেখড়ি এসব শব্দেও পরিবর্তন ঘটেছে।

 

সমাস সাধিত শব্দ বানাই

নিচে বাম কলামে কিছু শব্দ দেওয়া আছে, ডান কলামেও কিছু শব্দ দেওয়া আছে। দুটি কলামের শব্দ মিলিয়ে নতুন নতুন শব্দ তৈরি করো। যেমন: বাম কলাম থেকে ‘ফুল’ আর ডান কলাম থেকে ‘বাগান’ নিয়ে ‘ফুলবাগান’ শব্দটি তৈরি করতে পারো।

বাম কলামডান কলাম
ফুলপুস্তক
ফলগাড়ি
গোলাপবিজ্ঞান
জীবঘর
প্ৰাণীজগৎ
বইগাছ
পাঠ্যভর্তা
ঠেলাবাগান
সবজিখাতা
আলুজল

অনুচ্ছেদ লিখে সমাস-সাধিত শব্দ খুঁজি

কোনো একটি বিষয় নিয়ে ১০০ শব্দের মধ্যে একটি অনুচ্ছেদ লেখো। লেখা হয়ে গেলে সমাস প্রক্রিয়ায় গঠিত শব্দগুলোর নিচে দাগ দাও ।

……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………

……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………

……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………

……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………

……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………

……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………

……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………

……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………

……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………

……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………

……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………

……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………

……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………

……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………

 

নমুনা ২

উপহার পেতে প্রত্যেকের ভালো লাগে। তবে প্রতিদিন তা পাওয়া যায় না। বিশেষ বিশেষ দিনে আমরা উপহার পাই। নিঃসন্দেহে এর মধ্যে নিখাদ আনন্দ আছে। অচেনা অজানা লোকের উপহার সাধারণত আমরা গ্রহণ করি না। জয়-পরাজয়কে সামনে রেখে যে উপহার দেওয়া হয়, তাকে বলে পুরস্কার পুরস্কার পাওয়ার জন্য প্রতিযোগিতায় বিশেষ অবস্থান পেতে হয়। বিশেষ কোনো সুকীর্তি বা অবদানের জন্যও মানুষকে পুরস্কৃত করা হয়। পুরস্কার বা উপহার পাওয়ার ব্যাপারটি অবশ্যই সম্মানের এবং উপভোগ করার মতো। কোনো কোনো উপহার ও পুরস্কার মানুষ আজীবন মনে রাখে।

কোনো কোনো শব্দের প্রথম অংশের নির্দিষ্ট কোনো অর্থ নেই, কিন্তু দ্বিতীয় অংশের অর্থ থাকে। তার মানে, অর্থযুক্ত শব্দের আগে অর্থহীন অংশ জোড়া দিয়েও নতুন শব্দ তৈরি হতে পারে। যেমন: অভাব। এখানে, প্ৰথম অংশ ‘অ’ অর্থহীন; আর দ্বিতীয় অংশ ‘ভাব’ অর্থযুক্ত। উপরের লেখাটি থেকে এ রকম শব্দ খুঁজে বের করো এবং নিচের খালি জায়গায় লেখো।

লেখা শেষ হলে তোমার বন্ধুদের সাথে মিলিয়ে নাও। তাদের সাথে উত্তরের পার্থক্য হলে তা নিয়ে আলোচনা করো।

উপসর্গ

যেসব শব্দের প্রথম অংশ সাধারণত কোনো অর্থ প্রকাশ করে না, কিন্তু দ্বিতীয় অংশের সুনির্দিষ্ট অর্থ থাকে, সেসব শব্দকে বলা হয় উপসর্গ-সাধিত শব্দ। কোনো শব্দের আগে উপসর্গ যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠিত হয়। যেমন, বেদখল শব্দের ‘বে’ একটি উপসর্গ।

উপসর্গ-সাধিত কয়েকটি শব্দের নমুনা:

অ + গভীর = অগভীর                      না + বালক = নাবালক

অতি + মারি = অতিমারি                  নিঃ + শেষ = নিঃশেষ

অধি + বাসী = অধিবাসী                   নিম + রাজি = নিমরাজি

অনা + বৃষ্টি = অনাবৃষ্টি                     পরা + জয় = পরাজয়

অনু + রূপ = অনুরূপ                      পরি + ত্যাগ = পরিত্যাগ

অপ + কর্ম = অপকর্ম                     পাতি + হাঁস = পাতিহাঁস

অব + রোধ = অবরোধ                    প্র + গতি = প্রগতি

অভি + জাত = অভিজাত                প্রতি + ধ্বনি = প্রতিধ্বনি

আ + জীবন = আজীবন                  বদ + মেজাজ = বদমেজাজ

উৎ + ক্ষেপণ = উৎক্ষেপণ              বি + শেষ = বিশেষ

উপ + গ্রহ = উপগ্রহ                       বে + দখল = বেদখল

কদ + বেল = কদবেল                     ভর + পেট = ভরপেট

কু + পথ = কুপথ                           স + ঠিক = সঠিক

গর + হাজির = গরহাজির               সম + মান = সম্মান

দর + দালান = দরদালান                সু + দিন = সুদিন

দুঃ + সময় = দুঃসময়                    হা + ভাত = হাভাত

 

উপসর্গ দিয়ে শব্দ বানাই

নিচে বাম কলামে কিছু উপসর্গ দেওয়া আছে, আর ডান কলামে কিছু শব্দ দেওয়া আছে। ডান কলামের শব্দের আগে বাম কলামের উপসর্গ মিলিয়ে নতুন নতুন শব্দ তৈরি করো। যেমন: বাম কলাম থেকে ‘বি’ আর ডান কলাম থেকে ‘শেষ’ নিয়ে ‘বিশেষ' শব্দটি তৈরি করতে পারো ।

বাম কলামডান কলাম

বি

কু

সু

বে

পরা

প্র

উপ

ফল

জয়

যোগ

খেয়াল

কাল

জন্ম

কার

গ্রহ

শেষ

বৃত্তি

 

অনুচ্ছেদ লিখে উপসর্গ-সাধিত শব্দ খুঁজি

কোনো একটি বিষয় নিয়ে ১০০ শব্দের মধ্যে একটি অনুচ্ছেদ লেখো। লেখা হয়ে গেলে উপসর্গের মাধ্যমে গঠিত শব্দগুলোর নিচে দাগ দাও ।

……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………

……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………

……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………

……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………

……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………

……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………

……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………

……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………

……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………

……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………

……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………

……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………

……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………

……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………

……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………

……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………

নমুনা ৩

খেলার মাঠে আমরা রোজ খেলতে যাই। সেখানে মাঝে মাঝে এক চানাচুরওয়ালাকে দেখা যায়। তিনি চানাচুর বিক্রি করতে আসেন। লোকটার পরনে থাকে রঙিন জামা, তাতে অনেক রঙের ছোপ। জামাটা আলখেল্লার মতো লম্বা আর ঢোলা। তবে জামাটার হাতা খাটো, তাই তার হাত দেখা যায়। বেঢপ আকারের হলেও সেই জামাটা তার গায়ে দারুণ মানানসই লাগে। স্কুল গেটে দাঁড়ালে নিশ্চয় তার কাছ থেকে ছাত্র আর ছাত্রীরা চানাচুর কিনত। তবে, কখনো তাকে স্কুলের গেটে আমি দাঁড়াতে দেখিনি।

ওই চানাচুরওয়ালাকে নিয়ে একটা মজার ঘটনা বলি। একদিন তাঁর সামনে ছেঁড়া জামা পরা একটি ছেলে এসে দাঁড়াল। ছেলেটির বয়স সাত-আটের বেশি হবে না। তার হাতে একটা ভাঙা খেলনা। ছেলেটি সেই খেলনাটি দেখিয়ে চানাচুরওয়ালাকে বলল, ‘আমার কাছে পয়সা নেই। এই খেলনা নিয়ে আমাকে চানাচুর দেবেন?” এই বলে ছেলেটি তার হাতের খেলনাটি চানাচুরওয়ালার দিকে এগিয়ে দিলো। আমি দেখলাম, খেলনাটি হয়তো একসময়ে দামি ছিল, তবে এখন আর সেটা কেউ দাম দিয়ে কিনবে না। চানাচুরওয়ালা ছেলেটির কথা শুনে মধুর হাসি হাসল। চানাচুর বানিয়ে ঠোঙায় করে ছেলেটির হাতে দিলেন। তারপর বললেন, “তুমি তো বেশ বুদ্ধিমান!

আমার কাছে চানাচুরওয়ালাকে দয়ালু মনে হলো। লোকটির সরলতায় আমি মুগ্ধ হলাম।

কোনো কোনো শব্দের প্রথম অংশ অর্থযুক্ত কিন্তু দ্বিতীয় অংশ অর্থহীন। তার মানে, অর্থযুক্ত শব্দের পরে অর্থহীন অংশ জোড়া দিয়ে নতুন শব্দ তৈরি হতে পারে। যেমন: দোকানদার। এখানে, প্রথম অংশ ‘দোকান' অর্থযুক্ত; আর দ্বিতীয় অংশ ‘দার' অর্থহীন। উপরের লেখাটি থেকে এ রকম শব্দ খুঁজে বের করো এবং নিচের ছকে লেখো।

লেখা শেষ হলে তোমার বন্ধুদের সাথে মিলিয়ে নাও। তাদের সাথে উত্তরের পার্থক্য হলে তা নিয়ে আলোচনা করো।

প্রত্যয়

যেসব শব্দের প্রথম অংশ অর্থযুক্ত এবং দ্বিতীয় অংশ অর্থহীন, সেসব শব্দকে বলা হয় প্রত্যয়-সাধিত শব্দ। প্রত্যয় শব্দগঠনের একটি প্রক্রিয়া। প্রত্যয়ের নিজের কোনো অর্থ নেই। অর্থযুক্ত কোনো শব্দের পরে প্রত্যয় যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠিত হয়। যেমন, মধু + র = মধুর। এখানে ‘র’ যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ তৈরি হয়েছে; তাই ‘র’ একটি প্রত্যয়। কিন্তু বাড়ি + র = বাড়ির। এখানে ‘র’ যোগ হয়ে নতুন কোনো শব্দ তৈরি হয়নি; তাই এই ‘র’ কোনো প্রত্যয় নয়।

প্রত্যয়ের মাধ্যমে গঠিত শব্দের নমুনা:

পড় + অ = পড়ো                            চাষ + ই = চাষি

পঠ্ + অক = পাঠক                        ভাজ্‌ + ই = ভাজি

দাপ + অট = দাপট                         দিন + ইক = দৈনিক

খেল + অনা = খেলনা                      পঠ্ + ইত = পঠিত

মান + অনীয় = মাননীয়                  নীল + ইমা = নীলিমা

উড়্ + অন্ত = উড়ন্ত                        জাল + ইয়া = জালিয়া > জেলে

পড্‌ + আ = পড়া                            পঙ্ক + ইল = পঙ্কিল

বাঘ + আ = বাঘা                            চল্ + ইষ্ণু = চলিষ্ণু

ঢাকা + আই = ঢাকাই                     প্ৰাণ + ঈ = প্রাণী

সিল্‌ + আই = সেলাই                     গ্রাম + ঈন = গ্রামীণ

ঘির্ + আও = ঘেরাও                      রাষ্ট্র + ঈয় = রাষ্ট্রীয়

গাড়ি + আন = গাড়োয়ান               ঝাড়্ + উ = ঝাড়ু

বিবি + আনা = বিবিয়ানা                 পেট + উক = পেটুক

বাবু + আনি = বাবুয়ানি                   লেজ + উড় = লেজুড়

শুন্ + আনি = শুনানি                    পড়্ + উয়া = পড়ুয়া

বেত + আনো = বেতানো                ঘর + ওয়া = ঘরোয়া

পাগল + আমি = পাগলামি             বাড়ি + ওয়ালা = বাড়িওয়ালা

ভিখ + আরি = ভিখারি                   জাদু + কর = জাদুকর

বোমা + আরু = বোমারু                ডাক্তার + খানা = ডাক্তারখানা

মাত্ + আল = মাতাল                    জ্ঞা + ত = জ্ঞাত

রস + আলো = রসালো                  কৃ + তব্য = কর্তব্য

প্রিয় + তম = প্রিয়তম                   ধোঁকা + বাজ = ধোঁকাবাজ

দীর্ঘ + তর = দীর্ঘতর                     দয়া + বান = দয়াবান

সরল + তা = সরলতা                    বুদ্ধি + মান = বুদ্ধিমান

কাট্ + তি = কাটতি                     সুন্দর + য = সৌন্দর্য

বন্ধু + ত্ব = বন্ধুত্ব                          মধু + র = মধুর

অংশী + দার = অংশীদার             মেঘ + লা = মেঘলা

কাঁদ্ + না = কান্না                         মানান + সই = মানানসই

গিন্নি + পনা = গিন্নিপনা               পানি + সে = পানসে

 

প্রত্যয় দিয়ে শব্দ বানাই

নিচে বাম কলামে কিছু শব্দ দেওয়া আছে, আর ডান কলামে কিছু প্রত্যয় দেওয়া আছে। বাম কলামের শব্দের পরে ডান কলামের প্রত্যয় যোগ করে নতুন নতুন শব্দ তৈরি করো। যেমন: বাম কলাম থেকে ‘ফুল’ আর ডান কলাম থেকে ‘দানি’ নিয়ে ‘ফুলদানি' শব্দটি তৈরি করতে পারো।

বাম কলামডান কলাম
ঢাকা
ফুলঅনীয়
কর্আই
দয়াদানি
কলমওয়ালা
দরিদ্রতা
গুরুত্ব
বুদ্ধিদার
চল্বান
পাহারামান

 

অনুচ্ছেদ লিখে প্রত্যয়-সাধিত শব্দ খুঁজি

কোনো একটি বিষয় নিয়ে ১০০ শব্দের মধ্যে একটি অনুচ্ছেদ লেখো। লেখা হয়ে গেলে প্রত্যয়ের মাধ্যমে গঠিত শব্দগুলোর নিচে দাগ দাও ।

……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………

……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………

……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………

……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………

……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………

……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………

……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………

……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………

……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………

……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………

……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………

……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………

……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………

……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………

……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………

……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………

Content added By

একই শব্দের বিভিন্ন অর্থে ব্যবহার

সাধারণভাবে শব্দের একটি মূল অর্থ থাকে। একে বলা হয় মুখ্য অর্থ। যেমন, ‘কাটা’ শব্দ দিয়ে মূলত বোঝায় কোনো কিছু কেটে ফেলা। এখানে কেটে ফেলা হলো ‘কাটা’ শব্দের মুখ্য অর্থ।

মুখ্য অর্থের বাইরেও একটি শব্দের একাধিক গৌণ অর্থ থাকতে পারে। যেমন, ‘মেঘ কেটে গেছে’ বাক্যে ‘কাটা শব্দের অর্থ ‘সরে যাওয়া’। আবার, ‘টিকিট কাটতে হবে' বাক্যে কাটা শব্দের অর্থ ‘কেনা’। কাটা শব্দের এই ‘সরে যাওয়া’ ও ‘কেনা' অর্থগুলো গৌণ অর্থ।

নিচে কয়েকটি শব্দের মুখ্য অর্থ ও একাধিক গৌণ অর্থের প্রয়োগ দেখানো হলো।

খাওয়ামুখ্য অর্থআহার করা(সময়মতো খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।)
গৌণ অর্থ ১পান করা(সে চা খাচ্ছে।)
গৌণ অর্থ ২নেওয়া(লোকটি ঘুস খেয়ে জেলে আছে।)
গরমমুখ্য অর্থউত্তপ্ত(কামার গরম লোহা পিটিয়ে দা বানায়।)
গৌণ অর্থ ১উগ্র(কোনো কারণে তার মেজাজ গরম হয়ে আছে।)
গৌণ অর্থ ২চড়া(কয়েকদিন ধরে মাছের বাজার গরম।)
গৌণ অর্থ ৩টাটকা(আজকের গরম খবরটা জানেন?)
গৌণ অর্থ ৪শীত নিবারক(বাইরে ঠান্ডা, গরম কাপড় পরে বের হও।)
ঘরমুখ্য অর্থগৃহ(ভূমিহীনদের ঘর দেওয়া হয়েছে।)
গৌণ অর্থ ১কক্ষ(ও পড়ার ঘরে আছে।)
গৌণ অর্থ ২ছক(সাদা ঘরে দাবার বোড়েটাকে এগিয়ে নাও ।
গৌণ অর্থ ৩পরিবার(সেখানে একঘর কুমোর বাস করে। )
পথমুখ্য অর্থরাস্তা(পথের পাশে একটা বিশাল বটগাছ।)
গৌণ অর্থ ১উপায়(সমস্যাটি সমাধানের পথ খোঁজো।)
গৌণ অর্থ ২দিক(বাংলাদেশ উন্নতির পথে এগিয়ে চলেছে।)
নামমুখ্য অর্থনামকরণ(তার নাম নয়নতারা। )
গৌণ অর্থ ১খ্যাতি(তার অনেক নাম শুনেছি।)
গৌণ অর্থ ২লক্ষণ(বৃষ্টি থামার নাম নেই।)
গৌণ অর্থ ৩বাহানা(কাজের নামে শুধু ঘোরাঘুরি!)
ভারমুখ্য অর্থওজন(বস্তাটার ভার অনেক বেশি।)
গৌণ অর্থ ১বেজার(মুখ ভার করে রয়েছ কেন?)
গৌণ অর্থ ২চাপ(ঋণের ভারে লোকটি জর্জরিত।)
গৌণ অর্থ ৩দায়িত্ব(সংসারের ভার সে একা টানছে।)
গৌণ অর্থ ৪দুঃসাধ্য(এই বেতনে মাস চালানো ভার।)

 

অর্থ বুঝে বাক্য লিখি

নিচের শব্দগুলো ব্যবহার করে মুখ্য অর্থ এবং এক বা একাধিক গৌণ অর্থের প্রয়োগ দেখাও।

১. পাকা

মুখ্য অর্থ  …………………………………………………………………………………………………………………….

গৌণ অর্থ ১………………………………………………………………………………………………………………….

গৌণ অর্থ ২………………………………………………………………………………………………………………….

২. ধরা

মুখ্য অর্থ  …………………………………………………………………………………………………………………….

গৌণ অর্থ ১………………………………………………………………………………………………………………….

গৌণ অর্থ ২………………………………………………………………………………………………………………….

৩. কথা

মুখ্য অর্থ  …………………………………………………………………………………………………………………….

গৌণ অর্থ ১………………………………………………………………………………………………………………….

গৌণ অর্থ ২………………………………………………………………………………………………………………….

৪. বড়ো

মুখ্য অর্থ  …………………………………………………………………………………………………………………….

গৌণ অর্থ ১………………………………………………………………………………………………………………….

গৌণ অর্থ ২………………………………………………………………………………………………………………….

৫. মুখ

মুখ্য অর্থ  …………………………………………………………………………………………………………………….

গৌণ অর্থ ১………………………………………………………………………………………………………………….

গৌণ অর্থ ২………………………………………………………………………………………………………………….

৬. পাগল

মুখ্য অর্থ  …………………………………………………………………………………………………………………….

গৌণ অর্থ ১………………………………………………………………………………………………………………….

গৌণ অর্থ ২………………………………………………………………………………………………………………….

সহপাঠীর লেখা বাক্যের সঙ্গে তোমার বাক্যগুলো মিলিয়ে দেখো।

প্রতিশব্দ

অন্ধকারপাথরতরঙ্গঅশ্বনিকৃষ্ট
দুঃখচুলবৃক্ষপাড়তিমির
গাছঘোড়াআঁধারশশীচিকুর
কূলচন্দ্রতীরতরুপ্রস্তর
মন্দঢেউঅলকখারাপযন্ত্রণা
চাঁদশিলাকষ্টঊর্মিঘোটক

উপরের ছক থেকে একই রকম অর্থ প্রকাশ করে এমন শব্দগুলো আলাদা করো। একটি নমুনা করে দেখানো হলো।

 

প্রতিশব্দ শিখি

প্রতিশব্দ বলতে বোঝায় এমন কিছু শব্দ যেগুলো কাছাকাছি অর্থ প্রকাশ করে। যেমন: ‘গাছ' শব্দটি কখনো বৃক্ষ, কখনো তরু, কখনো উদ্ভিদ, কখনো লতা, আবার কখনো তৃণ বোঝায়। এখানে বৃক্ষ, তরু, উদ্ভিদ, লতা, তৃণ—এগুলো ‘গাছ’ শব্দের প্রতিশব্দ। প্রতিশব্দকে সমার্থক শব্দও বলে।

বাক্যে একটি শব্দের বদলে তার প্রতিশব্দ ব্যবহার করা যায়। যেমন, ‘ডান দিকের রাস্তা দিয়ে যাও'—এই বাক্যের বদলে বলা যায় ‘ডান দিকের পথ দিয়ে যাও'। তবে প্রতিশব্দ সবসময়ে বদলযোগ্য হয় না। যেমন, কেউ বলতে পারেন ‘ধানগাছে পোকার আক্রমণ হয়েছে।' কিন্তু এর বদলে ‘ধানবৃক্ষে পোকার আক্রমণ হয়েছে’- এমনটা কেউ বলেন না।

নিচে কিছু শব্দের প্রতিশব্দ দেওয়া হলো।

অকাল: অসময়, অবেলা, দুর্দিন, অশুভ সময়, দুঃসময়।

অতিথি: মেহমান, অভ্যাগত, আগন্তুক, নিমন্ত্রিত, আমন্ত্রিত, কুটুম।

অভাব: অনটন, দারিদ্র্য, দৈন্য, দীনতা, দুরবস্থা, অসচ্ছলতা।

আইন: বিধান, কানুন, ধারা, নিয়ম, বিধি।

একতা: ঐক্য, মিলন, অভেদ, অভিন্নতা।

কথা: উক্তি, বাক্য, বচন, কথন, বাণী, ভাষণ।

খাদ্য: খাবার, খানা, আহার, ভোজ্য, অন্ন, রসদ।

ঝড়: ঝঞ্ঝা, তুফান, সাইক্লোন, ঝটিকা, টর্নেডো, ঘূর্ণিঝড়

দয়া: অনুগ্রহ, করুণা, কৃপা, অনুকম্পা, মায়া।

দিন: দিবস, দিবা, বার, রোজ।

নদী: নদ, গাঙ, স্রোতস্বিনী, তটিনী, নির্ঝরিণী।

পাখি: পক্ষী, পঙ্খি, বিহঙ্গ, বিহগ, পাখপাখালি ।

মন: অন্তর, দিল, পরান, চিত্ত, হৃদয়, অন্তঃকরণ।

যুদ্ধ : লড়াই, সংঘর্ষ, সংগ্রাম, সমর, রণ।

সুন্দর: মনোরম, মনোহর, শোভন, রম্য, সুদর্শন, ললিত।

 

প্রতিশব্দ বসিয়ে আবার লিখি

নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ো। এরপর এখানকার অন্তত দশটি শব্দের বদল ঘটিয়ে অনুচ্ছেদটি লেখো।

রাত্রি যত গভীর হয়, প্রভাত তত নিকটে আসে। এ কথার মানে হলো বিপদ দেখে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। সমস্যা যেমন আছে, তেমনি সেই সমস্যা সমাধানের উপায়ও আছে। পৃথিবীতে নানা রকম ঘটনা ঘটে বলেই পৃথিবী এত বৈচিত্র্যময়। দুঃখের ঘটনা যেমন ঘটে, তেমনি আনন্দের ঘটনাও ঘটে। অন্যের দুঃখে দুঃখী হতে হয়, আর অন্যের আনন্দে আনন্দিত হতে হয়। তবে অনেক সময়ে নিজের বিপদের দিনে কাউকে পাশে পাওয়া যায় না। তাতে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। মেঘ কেটে যেমন সূর্য ওঠে, তেমনি দুঃসময় কেটে সুন্দর সময় আসে।

…………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………..

…………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………..

…………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………..

…………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………..

…………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………..

…………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………..

…………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………..

…………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………..

…………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………..

…………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………..

…………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………..

…………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………..

 

বিপরীত শব্দ

দাগ দেওয়া শব্দগুলোর বিপরীত শব্দ বসিয়ে বাক্যগুলো আবার লেখো। প্রথমটি করে দেখানো হলো।

এই গ্লাসের পানি ঠান্ডা।                             বাক্য: এই গ্লাসের পানি গরম

তিনি শক্ত মনের মানুষ।                            বাক্য :………………………………………………………………………………………

কথাটি সত্য নয়।                                       বাক্য :………………………………………………………………………………………

নতুন রাস্তাটি অনেক সরু।                        বাক্য :………………………………………………………………………………………

এ আয়নাতে সব ঝাপসা দেখা যায় ।          বাক্য :………………………………………………………………………………………

কাজটি যৌথভাবে করো।                          বাক্য :………………………………………………………………………………………

কাল দিনের বেলায় এসো।                         বাক্য :………………………………………………………………………………………

লোকটি কৃপণ।                                         বাক্য :………………………………………………………………………………………

টেবিলে বইগুলো গোছানো আছে।            বাক্য :………………………………………………………………………………………

আজকের খেলা তাড়াতাড়ি শেষ হলো।     বাক্য :………………………………………………………………………………………

লক্ষ করো, বিপরীত শব্দ বসানোর ফলে বাক্যগুলোর অর্থ বদলে গেছে।

 

বিপরীত শব্দ বুঝি

এক জোড়া শব্দ যখন পরস্পর বিপরীত অর্থ প্রকাশ করে, তখন একটিকে অন্যটির বিপরীত শব্দ বলে। যেমন: ‘দিন’ ও ‘রাত’। এখানে দিনের বিপরীত শব্দ রাত এবং রাতের বিপরীত শব্দ দিন। একইভাবে, উঁচু ও নিচু, ভালো ও মন্দ, শক্ত ও নরম-এগুলো পরস্পর বিপরীত শব্দ।

বিপরীত শব্দের একটি হাঁ-বাচক হলে অন্যটি না-বাচক হয়। যেমন ‘সুস্থ’ ও ‘অসুস্থ’ শব্দজোড়ার মধ্যে সুস্থ হাঁ- বাচক এবং অসুস্থ না-বাচক। এজন্য বিপরীত শব্দের সাথে না যুক্ত করে বাক্যের অর্থ ঠিক রাখা যায়। যেমন: লোকটি সুস্থ। এই বাক্যের অর্থ ঠিক রেখে এভাবেও বলা যায়: লোকটি অসুস্থ নয়। ।

শব্দবিপরীত শব্দশব্দবিপরীত শব্দ
অগ্রপশ্চাৎদীর্ঘহ্রস্ব
অচলসচলনতুনপুরাতন
অজ্ঞবিজ্ঞনিন্দাপ্ৰশংসা
আদানপ্ৰদানপূর্বপশ্চিম
আদিঅন্তবক্তাশ্রোতা
উপকারঅপকারবাদীবিবাদী
কনিষ্ঠজ্যেষ্ঠভোঁতাধারালো
কল্পনাবাস্তবসহজকঠিন
গ্রহণবর্জনসৃষ্টিধ্বংস
টাটকাবাসিস্বাধীনপরাধীন

 

বাক্যের অর্থ ঠিক রেখে বিপরীত শব্দ বসাই

এবার দাগ দেওয়া শব্দগুলোর বিপরীত শব্দ বসিয়ে বাক্যগুলো এমনভাবে লেখো যাতে বাক্যের অর্থ ঠিক থাকে। এজন্য বাক্যের শেষে না, নি, নেই, নয় ইত্যাদি বসানোর দরকার হবে। প্রথমটি করে দেখানো হলো।

এই গ্লাসের পানি ঠান্ডা।                                বাক্য: এই গ্লাসের পানি গরম নয়।

তিনি শক্ত মনের মানুষ।                               বাক্য:…………………………………………………………………………………………

কথাটি সত্য নয়।                                          বাক্য:…………………………………………………………………………………………

নতুন রাস্তাটি অনেক সরু।                           বাক্য:…………………………………………………………………………………………

এ আয়নাতে সব ঝাপসা দেখা যায়।               বাক্য:…………………………………………………………………………………………

কাজটি যৌথভাবে করো।                              বাক্য:…………………………………………………………………………………………

কাল দিনের বেলায় এসো।                             বাক্য:…………………………………………………………………………………………

লোকটি কৃপণ।                                             বাক্য:…………………………………………………………………………………………

টেবিলে বইগুলো গোছানো আছে।                 বাক্য:…………………………………………………………………………………………

আজকের খেলা তাড়াতাড়ি শেষ হলো।          বাক্য:…………………………………………………………………………………………

 

Content added || updated By

নিচের খালি ঘরগুলোতে যথাযথ বিরামচিহ্ন বসাও :

 

বুঝতে চেষ্টা করি

সহপাঠীদের সাথে আলোচনা করে নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজে বের করো।

যতিচিহ্ন কেন ব্যবহার করা হয়?……………………………………………………………………………………………………………………………………………..

………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………….

মুখের ভাষায় যতিচিহ্ন লাগে না কেন?……………………………………………………………………………………………………………………………………

…………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………

লেখার ভাষায় যতিচিহ্ন কেন দিতে হয়?…………………………………………………………………………………………………………………………………

………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………….

বাক্যের শেষে কোন কোন যতিচিহ্ন বসে?………………………………………………………………………………………………………………………………

………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………….

বাক্যের ভিতরে কোন কোন যতিচিহ্ন বসে?…………………………………………………………………………………………………………………………

………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………….

 

যতিচিহ্ন

আমরা কথা বলার সময়ে মাঝে মাঝে থামি। এই থামার মাধ্যমে কথার অর্থ স্পষ্ট হয়। কথাকে লিখিত রূপ দেওয়ার সময়ে এই থামা বোঝানার জন্য কিছু সংকেত ব্যবহার করা হয়। এই সংকেতগুলোর নাম যতিচিহ্ন। যেমন: দাঁড়ি (1), কমা (,), সেমিকোলন (;), প্রশ্নচিহ্ন (?), বিস্ময়চিহ্ন (!), ড্যাশ (−) ইত্যাদি।

কোনো কোনো যতিচিহ্ন কণ্ঠস্বরের ওঠা-নামাকেও নির্দেশ করে। যেমন: প্রশ্নচিহ্ন (?) ও বিস্ময়চিহ্ন (!)। যেমন: তুমি উটপাখি দেখেছ? তুমি উটপাখি দেখেছ! এখানে প্রথম বাক্যটি প্রশ্ন বোঝাচ্ছে, পরের বাক্যটি বিস্ময় বোঝাচ্ছে।

কোন যতিচিহ্নের কী কাজ

(১) দাঁড়ি (1)

বিবৃতিবাচক বা অনুজ্ঞাবাচক বাক্যের শেষে দাঁড়ি ব্যবহার করা হয়। যেমন:

                         তারা মাঠে খেলছে।

                         তোমার বইটা আমাকে পড়তে দিও।

(২) কমা (, )

কমা দিয়ে কোনো বাক্য শেষ হয় না। কমা বাক্যের বিভিন্ন অংশকে আলাদা করে। যেমন:

                       এবারের সংগ্রাম, স্বাধীনতার সংগ্রাম।

                        এক ধরনের কয়েকটি শব্দ পরপর থাকলে কমা দিতে হয়। যেমন:

                        জ্যৈষ্ঠ মাসে আম, জাম, কাঁঠাল পাকে।

(৩) সেমিকোলন (;)

পরস্পর সম্পর্কযুক্ত দুটি বাক্যের মাঝে সেমিকোলন হয়। যেমন:

                        ভোর হয়েছে; চলো হাঁটতে যাই।

(৪) প্রশ্নচিহ্ন (?)

প্রশ্নবাচক বাক্যের শেষে প্রশ্নচিহ্ন ব্যবহার করা হয়। যেমন: 

                       তোমার নাম কী?

(৫) বিস্ময়চিহ্ন (!)

আবেগ শব্দ ও আবেগবাচক বাক্যের শেষে বিস্ময়চিহ্ন বসে। যেমন:

                      বাহ্!

                      সত্যিই তুমি ভালো খেলেছ!

(৬) হাইফেন (-)

একজোড়া শব্দের মাঝখানে হাইফেন বসে। যেমন:

                     লাল-সবুজের পতাকা উড়ছে।

(৭) ড্যাশ (−)

হাইফেন যেমন দুটি শব্দকে এক করে, তেমনি ড্যাশ দুটি বাক্যকে এক করে। হাইফেনের চেয়ে ড্যাশ আকারে বড়ো হয়। যেমন :

                    যদি যেতে চাও যাও—আমার কিছু বলার নেই।

(৮) কোলন (:)

উদাহরণ দেওয়ার আগে কোলন বসে। যেমন:

                    বাংলা বর্ণ দুই রকম, যথা: স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণ।

নাটকের সংলাপে কোলন বসে। যেমন:

                    হাসু: চুপ চুপ! ঘরের মধ্যে কে যেন কথা বলছে।

(৯) উদ্ধারচিহ্ন (' ')

বক্তার কথা সরাসরি বোঝাতে উদ্ধারচিহ্ন বসে। যেমন :

                    তিনি বললেন, ‘আমি গতকাল রাতের ট্রেনে ঢাকা এসেছি।’

বইয়ের নামে উদ্ধারচিহ্ন বসে। যেমন:

                    কাজী নজরুল ইসলামের একটি কাব্যের নাম ‘সাম্যবাদী’।

(১০) বিন্দু (.)

শব্দ সংক্ষেপ করে লিখতে অনেক সময়ে বিন্দু ব্যবহার করা হয়। যেমন :

                   ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ (এখানে ড. দিয়ে ‘ডক্টর' বোঝানো হচ্ছে।)

   

কোথায় কোন যতিচিহ্ন বসে

আবেগ শব্দ ও আবেগবাচক বাক্যের শেষে 
উদাহরণ দেওয়ার আগে 
এক ধরনের কয়েকটি শব্দ পরপর থাকলে 
একজোড়া শব্দের মাঝখানে 
দুটি বাক্যকে এক করতে 
নাটকের সংলাপে চরিত্রের নামের পরে 
পরস্পর সম্পর্কযুক্ত দুটি বাক্যের মাঝে 
প্রশ্নবাচক বাক্যের শেষে 
বইয়ের নামে 
বক্তার কথা সরাসরি বোঝাতে 
বাক্যের বিভিন্ন অংশকে আলাদা করতে 
বিবৃতিবাচক ও অনুজ্ঞাবাচক বাক্যের শেষে 
শব্দ সংক্ষেপ করার কাজে 

 

যতিচিহ্ন বসাই

নিচের অনুচ্ছেদে কিছু যতিচিহ্ন বসানো আছে, কিছু যতিচিহ্ন বসানো নেই। বাদ পড়া যতিচিহ্নগুলো বসিয়ে অনুচ্ছেদটি আবার লেখো:

আকমল স্যার সেদিন ক্লাসে এসে বললেন, শোনো ছেলে মেয়েরা, তোমাদের জন্য একটা খুশির খবর আছে

সব শিক্ষার্থী খুশির খবরটা শোনার জন্য তাঁর দিকে তাকিয়ে রইল। স্যার বললেন, স্কুল থেকে প্রতিটি শ্রেণিতে একটি করে বুক-সেলফ দেওয়া হচ্ছে

বিনু বলল বুক-সেলফ দিয়ে কী হবে, স্যার?

স্যার বললেন, এই বুক-সেলফে আমরা নানা রকম বই রাখব। গল্প কবিতা প্রবন্ধ নাটক পছন্দমতো যে কোনো ধরনের বই আমরা রাখতে পারি।

শানু প্রশ্ন করল বইগুলো আমরা কোথায় পাব, স্যার

স্যার বললেন, তোমরা প্রত্যেকে একটি করে বই জমা দেবে সেসব বই এই সেলফে থাকবে। এভাবে আমরা একটি ক্লাসরুম লাইব্রেরি গড়ে তুলব এই সেলফ থেকে বই নিয়ে সবাই পড়তে পারবে।

মিতু খুশি খুশি গলায় বলল, বাহ্ দারুণ হবে

…………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………

…………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………

…………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………

…………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………

…………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………

…………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………

…………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………

…………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………

…………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………

 

যতিচিহ্ন ব্যবহার করে অনুচ্ছেদ লিখি

একটি অনুচ্ছেদ লেখো যেখানে বিভিন্ন রকম যতিচিহ্নের ব্যবহার আছে।

……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………

……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………

……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………

……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………

……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………

……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………

……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………

……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………

……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………

……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………

……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………

……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………

……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………

……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………

……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………

Content added || updated By

১. চেষ্টা করলে সফল হবে। 

২. যদি চেষ্টা করো, তবে সফল হবে। 

৩. চেষ্টা করো, সফল হবে।

বুঝতে চেষ্টা করি

নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজে বের করো।

উপরের বাক্যগুলো একই অর্থ প্রকাশ করছে কি না?

………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………….

………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………….

বাক্য তিনটির গঠন এক রকমের কি না?

………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………….

………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………….

কোন বাক্যে কেবল একটি সমাপিকা ক্রিয়া আছে?

………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………….

………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………….

কোন বাক্যের একটি অংশ অন্য অংশের সাহায্য ছাড়া পুরোপুরি অর্থ প্রকাশ করে না?

………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………….

………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………….

কোন বাক্যে একাধিক সমাপিকা ক্রিয়া আছে?

………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………….

………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………….

 

বিভিন্ন ধরনের বাক্য

গঠন অনুযায়ী বাংলা বাক্যকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়: সরল বাক্য, জটিল বাক্য ও যৌগিক বাক্য।

সরল বাক্য: যেসব বাক্যে কেবল একটি সমাপিকা ক্রিয়া থাকে, সেগুলো সরল বাক্য।

উদাহরণ: শফিক বল খেলে। 

               তুমি খেলে আমি খুশি হব

জটিল বাক্য: যেসব বাক্যের একটি অংশ অন্য অংশের সাহায্য ছাড়া পুরোপুরি অর্থ প্রকাশ করতে পারে না, সেসব বাক্যকে জটিল বাক্য বলে। জটিল বাক্যের দুটি অংশ কিছু জোড়া শব্দ দিয়ে পরস্পর যুক্ত থাকে; যেমন: যে-সে, যিনি-তিনি, যারা-তারা, যাঁরা-তাঁরা, যদি-তবে, যেহেতু-সেহেতু, যখন-তখন, যত-তত ইত্যাদি।

উদাহরণ: যে ছেলেটি গতকাল এসেছিল, সে আমার ভাই।

               যখন বৃষ্টি নামল, তখন আমরা দৌড় দিলাম।

যৌগিক বাক্য: একাধিক বাক্য যখন যোজক দিয়ে যুক্ত হয়ে একটি বাক্যে পরিণত হয়, তখন তাকে যৌগিক বাক্য বলে। যৌগিক বাক্যে একাধিক সমাপিকা ক্রিয়া থাকে।

উদাহরণ: সীমা বই পড়ছে আর হাবিব ঘর গুছাচ্ছে।

এখানে, ‘সীমা বই পড়ছে’ একটি বাক্য এবং ‘হাবিব ঘর গুছাচ্ছে’ আরেকটি বাক্য। বাক্য দুটি ‘আর’ যোজক দিয়ে যুক্ত হয়েছে। এখানে সমাপিকা ক্রিয়া দুটি হলো: পড়ছে, গুছাচ্ছে।

 

খুঁজে বের করি

নিচে তিন ধরনের বাক্যের নমুনা দেওয়া হলো। এগুলো কোন ধরনের বাক্য এবং তার কারণ কী, তা খুঁজে বের করো। প্রথমটি করে দেখানো হলো।

১. শাহেদ বই পড়ছে।

এটি একটি সরল বাক্য। কারণ, এখানে একটি মাত্র সমাপিকা ক্রিয়া আছে। সেই ক্রিয়াটি হলো: পড়ছে।

২. যদি আমার কথা শোনো, তবে তোমার ভালো হবে।

এটি একটি জটিল বাক্য। কারণ, এখানে জোড়া শব্দ আছে। সেই জোড়া শব্দ হলো: যদি-তবে।

৩. অনেক খুঁজলাম, তবু ঘড়িটি খুঁজে পেলাম না ।

এটি একটি যৌগিক বাক্য। কারণ, এখানে দুটি বাক্য একটি যোজক দিয়ে যুক্ত। সেই যোজকটি হলো : তবু। আর এখানে দুটি সমাপিকা ক্রিয়া আছে। সমাপিকা ক্রিয়া দুটি হলো: খুঁজলাম, পেলাম।

৪. তুমি কোথা থেকে এসেছ?

এটি একটি……………………..বাক্য। কারণ,………………………………………………………………………………………………………………………………………….

……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………..

৫. যেমন কাজ করেছ, তেমন ফল পেয়েছ।

এটি একটি……………………..বাক্য। কারণ,………………………………………………………………………………………………………………………………………….

……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………..

৬. আমি সকালে হাঁটি, আর তিনি বিকালে হাঁটেন।

এটি একটি……………………..বাক্য। কারণ,………………………………………………………………………………………………………………………………………….

……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………..

৭. সে ভাত খেয়ে স্কুলে গেল।

এটি একটি……………………..বাক্য। কারণ,………………………………………………………………………………………………………………………………………….

……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………..

৮. আমি পড়াশোনা শেষ করব, তারপর খেলতে যাব।

এটি একটি……………………..বাক্য। কারণ,………………………………………………………………………………………………………………………………………….

……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………..

৯. যখন তুমি আসবে, তখন আমরা রান্না শুরু করব।

এটি একটি……………………..বাক্য। কারণ,………………………………………………………………………………………………………………………………………….

……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………..

১০. আজ ভোরে সুন্দর একটা পাখি দেখতে পেলাম।

এটি একটি……………………..বাক্য। কারণ,………………………………………………………………………………………………………………………………………….

……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………..

 

বাক্য তৈরি করি

নিচের খালি জায়গায় দুটি করে সরল বাক্য, জটিল বাক্য ও যৌগিক বাক্য তৈরি করো:

সরল বাক্য ১:………………………………………………………………………………………………………………………………………….………………………………………..

……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………..

 

সরল বাক্য ২:………………………………………………………………………………………………………………………………………….………………………………………..

……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………..

 

জটিল বাক্য ১:………………………………………………………………………………………………………………………………………….……………………………………….

……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………..

 

জটিল বাক্য ২:………………………………………………………………………………………………………………………………………….………………………………………

……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………..

 

যৌগিক বাক্য ১:………………………………………………………………………………………………………………………………………….……………………………………

……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………..

 

যৌগিক বাক্য ২:………………………………………………………………………………………………………………………………………….……………………………………

……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………..

Content added By