নবম-দশম শ্রেণি (মাধ্যমিক) - সংস্কৃত - NCTB BOOK
Please, contribute to add content into তৃতীয় ভাগঃ তৃতীয়ঃ.
Content

সংজ্ঞা শব্দের ব্যুৎপত্তি । সমৃ + অ + সিয়াম আপু। 'সম্যক আয়তে অনয়া ইতি' সংজ্ঞা (যার দ্বারা কোন বিষয়ে সম্যক জ্ঞান হয়)। সংজ্ঞা : যার দ্বারা কোন বিষয়ের স্বরূপ সম্পর্কে বিশেষভাবে জানা যায় তাকে সংজ্ঞা বলে।

নিম্নে কয়েকটি বিষয়ের সংজ্ঞা ও উদাহরণ প্রদত্ত হল।

১। আদেশ প্রকৃতি বা প্রভাবের কিংবা তার কোন অংশের যে রূপ পরিবর্তন হয়, তাকে বলা হয় আদেশ। যেমন- লট বিভক্তিতে স্থা- ধাতুর স্থানে 'ডিষ্ঠ' (তিষ্ঠতি, তিষ্ঠতা, তিষ্ঠন্তি ইত্যাদি) এবং দৃশ ধাতু স্থানে 'পশ্য' (পশ্যতি, পশ্যতঃ পশ্যন্তি) ইত্যাদি হয়। আবার বৃদ্ধ শব্দ স্থানে আদেশ হয় 'জ্য' (বৃদ্ধ > ) ।

২। আগম আগম শব্দটির অর্থ "আগমন করা"। প্রকৃতি বা প্রত্যয়ের সঙ্গে অতিরিক্ত বর্ণের আগমন বা উপস্থিতিকে আগম বলে। যেমন:- বনস্পতি শব্দে 'বন' ও 'পতি' শব্দের মধ্যে অতিরিক্ত বর্ণ 'স' এর উপস্থিতিকে বলা হয় আগম

৩। গুণ ঘরের গুণ বলতে ই, ঈ স্থানে 'এ' উ উ স্থানে 'ও'; য ঘৃ স্থানে 'অর' এবং ৯ স্থানে অন হওয়াকে বোঝায়। যেমন জিজ্ঞে, ভীডে, প্রো, কৃ= কর, বু= কল।

৪। বৃদ্ধি : অ স্থানে আ ই ঈ স্থানে ঐ উ উ স্থানে ঔ, খ, স্থানে আর এবং ৯ স্থানে আল

হওয়াকে বৃদ্ধি বলে। যেমন- মনু + অ = মানবঃ বিধি অবৈধঃ নীতি + অক = নৈতিক + মুখ + অক = মৌখিকা ( ঐ), শীত + ত = শীতার্ত (ঋ = আর)।

৫। উপধা শব্দের অন্তর্গত শেষ বর্ণের পূর্ব বর্ণকে উপধা বলে। যেমন- 'লতা' একটি শব্দ। এই শব্দের

শেষ বর্ণ আ এবং আ এর পূর্ববর্তী বর্ণ 'ত'। সুতরাং 'ত' একটি উপধা।

৬। পদ সুপ ও তিন্তু যুক্ত শব্দকে পদ বলে। যেমন- নর একটি শব্দ। এর সঙ্গে ঔ এই সুপ বা শব্দবিভক্তি যুক্ত হয়ে নরৌ 'পদ' গঠিত হয়েছে। আবার বন্ধু একটি ধাতু। এর সাথে 'ভি' এই তিন্তু বা ক্রিয়াবিভক্তি যুক্ত হয়ে গঠিত হয়েছে 'বদতি' পদ।

৭। সুপ যে সমস্ত বিভক্তি শব্দের সাথে যুক্ত হয়ে পদ গঠন করে, তাদের বলা হয় সুপ। সুপ -এর অন্য নাম শব্দবিভক্তি। যেমন 'নর' একটি শব্দ। এর সাথে ঔ বিভক্তি যুক্ত হয়ে নিবৌ' পদ গঠিত হয়েছে। সুতরাং 'ঔ' একটি শব্দ বিভক্তি। আবার লতা একটি শব্দ। এর সঙ্গে ভিস্ (ভিন্ন) বিভক্তি যুক্ত হয়ে "লতাতি" পদ গঠিত হয়েছে। সুতরাং ভিস্ (ভিঃ) একটি শব্দবিভক্তি।

৮। ভিক্ যে সব বিভক্তি ধাতুর সঙ্গে যুক্ত হয়ে ক্রিয়াপদ গঠন করে সেগুলোকে 'ভি' বলে। তিন্তু -এর অন্য নাম ক্লিয়াবিভক্তি। যেমন- 'পঠ' একটি ধাতু; এর সঙ্গে তিন্তু বিভক্তি যুক্ত হয়ে পঠতি ক্রিয়াপদটি

গঠিত হয়েছে। আবার 'হস্' একটি ধাতু; এর সঙ্গে 'ভূ' যুক্ত হয়ে হসতু' ক্রিয়াপদ গঠিত হয়েছে। সুতরাং 'ভি' ও 'তু' তি বা ক্রিয়াবিভক্তি।

৯। প্রকৃতি শব্দ ও ক্রিয়ার মূলকে প্রকৃতি বলে। যেমন দেহ + অক = দৈহিকঃ এখানে দৈহিক শব্দটির মূল দেহ। সুতরাং দেহ একটি প্রকৃতি। আবার পিঠ + তি পঠতি। এখানে পঠতি ক্রিয়ার মূল "পর্ব"। সুতরাং পঠও একটি প্রকৃতি। ১০। প্রাতিপদিক যা ধাতুও ন্যয়, প্রত্যয়ও নয়, অথচ যার অর্থ আছে তার নাম প্রাতিপদিক। যেমন- চন্দ্র,

সূর্য, লতা, বৃক্ষ ইত্যাদি। ১১। প্রত্যয়। যেসব বর্ণ বা বর্ণসমষ্টি ধাতুর সঙ্গে যুক্ত হয়ে শব্দ এবং শব্দের সঙ্গে যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠন করে তাদের প্রত্যয় বলা হয়। যেমন- √পর + অন = পঠনম্। এখানে 'পঠ' একটি ধাতু। এর সঙ্গে 'অনট্' এই বর্ণসমষ্টি যুক্ত হয়ে পঠনম' শব্দটি গঠিত হয়েছে। সুতরাং 'অনট্' একটি প্রত্যয়। আবার 'পৃথিবী' + অ = 'পার্থিব'। এখানে 'পৃথিবী' একটি শব্দ। এর সঙ্গে অন প্রতায় যুক্ত হয়ে 'পার্থিব' এই নতুন শব্দ গঠিত হয়েছে। সুতরাং 'অর্থ' আরেকটি প্রত্যয়।

Content added By
Please, contribute to add content into দ্বিতীয়ঃ পাঠঃ শব্দরূপ.
Content
Please, contribute to add content into তৃতীয়ঃ পাঠঃ ধাতুরূপ.
Content

(ক) সন্ধির সংজ্ঞা :

পাশাপাশি অবস্থিত দুটি বর্ণের পরস্পর মিলনকে সন্ধি বলে। যেমন- হিম + আলয় = হিমালয়া এখানে 'হিম' শব্দের অন্তস্থিত 'অ' এবং 'আলয়ঃ' পদের পূর্বস্থিত 'আ' মিলিত হয়ে 'আ' হয়েছে। সন্ধির অপর নাম "সংহিতা'।

(খ) সন্ধির কার্যাবলি।

সন্ধির ফলে কখনও পূর্ববর্ণ বিকৃত হয়, কখনও পরবর্ণ বিকৃত হয়, কখনও উভয় বর্ণই বিকৃত হয়, কখনও

পূর্ববর্ণের লোপ হয় এবং কখনও বা পরবর্ণের লোপ হয়।

(গ) সন্ধির অপরিহার্যতার ক্ষেত্র

একপদে, উপসর্গ ও ধাতু - গঠিত শব্দের সাথে, সমাসে, সূত্রে ও শ্লোকে সন্ধি অবশ্য কর্তব্য।

(ঘ) সন্দির শ্রেণীবিভাগ

সন্ধি তিন প্রকার- স্বরসন্ধি, ব্যঞ্জনসন্ধি ও বিসর্গসন্ধি।

১। স্বরসন্ধি স্বরবর্ণের সাথে স্বরবর্ণের মিলনকে স্বরসন্ধি বলে। এর অন্য নাম 'অ' সন্ধি। যেমন—

সে + ইন্দ্ৰঃ = দেবেন্দ্রঃ

প্রশ্ন উত্তরম্ প্রশ্নোত্তরমূ ২। ব্যঞ্জনসন্ধি ব্যঞ্জনবর্গের সাথে ব্যঞ্জনবর্ণের অথবা ব্যঞ্জনবর্ণের সাথে স্বরবর্ণের মিলনকে ব্যঞ্জনসন্ধি

বলে। ব্যঞ্জনসন্ধির অন্য নাম 'হল' সন্ধি। যেমন—

উৎ + হতঃ = উচ্চতা

বাক্ + ঈশঃ = বাগীশঃ

৩। বিসর্গসন্ধি। বিসর্গের সাথে স্বরবর্ণ অথবা ব্যঞ্জনবর্ণের মিলনকে বিসর্গসন্ধি বলে। যেমন-

কঃ + চিৎ = কশ্চিৎ,

2+অ=র

O

=

হরিঃ + অসৌ = হরিরসৌ

স্বরসন্ধি বা 'অচ্ সি

১। অ-কার কিংবা আ-কারের পর অ-কার অথবা আ-কার থাকলে উভয়ে মিলে আ-কার হয়। আ-কার পূর্ববর্ণে যুক্ত হয়। যথা-

অ + অ = আ

অ + আ = আ

নীল + অম্বরম্ = নীলা

হিম + আলয় = হিমালয়

বিদ্যা + অর্ণবঃ = বিদ্যার্ণবঃ

মহা + আশয়ঃ = মহাশয়ঃ

আ + আ = আ

২। হর্ষ ই-কার বা দীর্ঘ ঈ-কারের পর হ্রস্ব ই-কার কিংবা দীর্ঘ ঈ-কার থাকলে উভয় মিলে দীর্ঘ ঈ-কার হয়।

দীর্ঘ ঈ-কার পূর্ববর্ণে যুক্ত হয়।

কবি + ইন্দ্ৰঃ কবীন্দ্রঃ গিরি + ঈ = গিরীশঃ

মহী + ইন্দ্ৰঃ মহীন্দ্রঃ

লক্ষ্মী + ঈশা লক্ষ্মীশঃ

৩। হ্রস্ব উ-কার কিংবা দীর্ঘ ঊ-কারের পর হয়- ঊ-কার কিংবা দীর্ঘ ঊ-কার থাকলে উভয় মিলে দীর্ঘ ঊ-

কার হয়। দীর্ঘ-ও-কার পূর্ববর্ণে যুক্ত হয়। যথা-

বিধু + উদয়ঃ = বিধূদয়ঃ

G+ G = G

G+ G = G

লঘু + ঊর্মিঃ = লঘূর্মিঃ

বধূ + উৎসবঃ = বধূৎসা

ভূ + ঊৰ্ম = ভূম্

৪। অ- কার কিংবা আ-কারের পর হ্রস্ব ই-কার কিংবা দীর্ঘ ঈ-কার থাকলে উভয়ে মিলে এ-কার হয়।

কার পূর্ববর্ণে যুক্ত হয়। যথা-

আ + ই = এ

অ + ঈ =

অ+ই=এ

O

=

দেব ইন্দ্রা দেবেন্দ্রঃ

মহা + ইন্দ্ৰঃ মহেন্দ্ৰঃ

গণ + ঈশঃ গণেশঃ

রমা + ঈশঃ = রমেশঃ

৫। অ-কার কিংবা আ-কারের পর হ্রস্ব উ-কার কিংবা দীর্ঘ ঊ-কার থাকলে উভয়ে মিলে ও-কার হয়। এ- কার পূর্ববর্ণে যুক্ত হয়। যথা-

সূর্য + উদয় সুর্যোদয়ঃ

গঙ্গা + উদকম্ = গঙ্গোদকম

অ+উ=ও

আ + উ = ও

গৃহ + ঊর্ধ্বম্ = = গৃহোম্

গঙ্গা + ঊর্মিঃ= পরা

all94%

← Songskrito Class - 9 - 2022 CO...

110/176

মাধ্যমিক সংস্কৃত

৬। অ-কার কিংবা আ-কারের পর ঋ-কার থাকলে উভয়ে মিলে 'অ' হয়। অ-কার পূর্ববর্ণে যুক্ত হয় ও র

রেফ (1) হয়ে পরবর্ণের মস্তকে যায়। যথা-

অ+ = অব্

দেব + ঋষিঃ = দেবর্ষিঃ

মহা + ঋষি মহর্ষিঃ

৭। অ-কার কিংবা আ-কারের পর এ-কার কিংবা ঐ-কার থাকলে উভয়ে মিলে ঐ-কার হয়। ঐ-কার

পূর্ববর্ণে যুক্ত হয়। যথা-

এক + একম্ = একৈকম্

সদা + এর = সদৈব

মত + ঐক্যম্ = মতৈক্য

মহা + ঐশ্বর্যম্ = মহৈশ্বর্যম্

৮। অ-কার কিংবা আ-কারের পর ও-কার কিংবা ঐ-কার থাকলে উভয়ে মিলে ঐ-কার হয়। ঐ-কার

পূর্ববর্গে যুক্ত হয়। যথা-

মহা + ওষুধি = মহৌষধিঃ

গত + ঔৎসুক্যম্ = গতৌৎসুকা

মহা + ঔদার্যম্ = মহৌদার্যম্

অসমান স্বরবর্ণ পরে থাকলে অর্থাৎ হ্রস্ব ই-কার বা দীর্ঘ ঈ-কার ভিন্ন অন্য স্বরবর্ণ পরে থাকলে ই-কার বা

আ + ও = ঔ +8=8

ই-কার স্থানে য হয়। য পূর্ববর্ণে এবং পরবর্তী স্বর -কারে যুক্ত হয়। যথা— যদি + অপি = যদ্যপি ।

ই+অই স্থানে ই + আ = ই স্থানে

ই =ই স্থানে

অভি + আচারঃ = অত্যাচারঃ

অভি + উদয়ঃ = অভ্যুদয়ঃ

ই+এই স্থানে R+অ= ঈস্থানে

প্রতি + এক = প্রত্যেকম

নদী + অ = মদ্য

১০। উ-কার কিংবা দীর্ঘ ঊ-কার ভিন্ন অন্য স্বরবর্ণ পরে থাকলে উ বা উ-কার স্থানে বৃ হয়। বৃ পূর্ববর্ণে

ও পরবর্তী স্বরবর্ণ বৃ-কারে যুক্ত হয়। যথা-

+ অ = উস্থানে

অনু + অয়ঃ = অন্তস্যাঃ

সু + আগত স্বাগত

মধু + ইদম্ =

উ + এ = উ স্থানে ড + আ = ড স্থানে

O

=

অন + এসণম্ অন্বেষণ বধূ + আদিঃ = বর্ষাদি

১১। ঋ ভিন্ন স্বরবর্ণ পরে থাকলে 'ঋ' স্থানে 'র' হয়। ঋ, র-ফলা হয়ে পূর্ববর্গে যুক্ত হয় এবং পরের স্বর

ফলাযুক্ত বর্ণের সাথে মিলিত হয়। যথা- +অ= স্থানে বৃ

পিতৃ + অনুমতিঃ = পিত্রানুমতিঃ

ঋ + আ = স্থানে + ই = স্থানে র

পিতৃ + আদেশঃ = পিত্রাদেশঃ

পিতৃ + ইচ্ছা = পিরিচ্ছা

১২। স্বরবর্ণ পরে থাকলে পদান্তে অবস্থিত এ-কার স্থানে 'আ', ঐ কার স্থানে 'আহ্', ও-কার স্থানে "অ" এবং ঐ-কার স্থানে 'আৰু হয়। যথা-

এ+ অ = স্থানে অ

শে + অন = শয়নম্

ঐ + অ = ঐ স্থানে আহ্

ও + অ = ও স্থানে অব্

ঐ + ই = ঐ স্থানে আৰু

গৈ + অক = গায়ক

পো + অন = পৰন

নৌ + ইক = নাবিকঃ

ব্যঞ্জনসন্ধি বা 'হল'

১। যদি ও স্ এর পরে বা হু থাকে, তবে ভূ ও স্থানে হয়। যেমন-

উৎ + চারণম্ = উচ্চারণ

বিপদ + চ = বিপক্ষয়ঃ

তদ্ + ছবিঃ = তচ্ছবিঃ

২। যদি ও পৃ এর পরে জ্ব বা খ্ থাকে, তবে ত ও দৃ স্থানে া হয়। যেমন- উৎ + জ্বলম্ = উজ্জ্বলম্

কুৎ + ফটিকা = কুটিকা

বিপদ + জাল • বিপজ্জাল

তস্ + ঋনকারা = তরুনকারা

৩। পদান্তে অবস্থিত ত্ এর পর যদি হ্ থাকে, তবে স্থানে দূ এবং স্থানে ধ হয়। যেমন-

উৎ+ হারঃ = উদ্ধার

ত + হিতম্ =

৪। চ-কার কিংবা জ-কারের পর যদি সন্তান থাকে তবে দন্ত্য-ন স্থানে এ হয়। যেমন-

যাচ্‌ + না = য

৫। ল পরে থাকলে ত্ স্থানে ল হয়। যেমন-

| উৎ + লাসঃ = উল্লাসহ উৎ + লেখঃ = উল্লেখঃ

O

=

৬। স্বরবর্ণ পরে থাকলে হ্রষষরের পরবর্তী পদের অন্তস্থিত ন-কারে থিতু হয়। যেমন--

ধাবন + অশ্বঃ = ধাবনশ্বর

কস্মিন্ + অপি = কস্মিন্নপি

তস্মিন্ + এর = তস্মিন্নেব হসন + আগতঃ = হসন্নাগতঃ

৭। স্পর্শবর্ণ (ক-মৃ) পরে থাকলে পদের অন্তস্থিত ম্ স্থানে অনুষ্ঠার (1) হয় অথবা যে বর্গের বর্ণ পরে

থাকে, সে বর্গের পঞ্চম বর্ণ হয়। যেমন-

ধনম্ + দেহি = ধনংদেহি, ধনদেহি

পুষ্পম্ + চিনোতি = পুষ্পং চিনোতি, পুষ্পঞ্চিনোতি:

চন্দ্ৰম + পশ্যতি = চন্দ্ৰং পশ্যতি, চন্দ্রস্পশ্যতি

৮। অন্তঃস্থ বর্ণ (য, র, ল, বৃ) বা উচ্চবর্ণ (শ, য স্) পরে থাকলে পদান্তে অবস্থিত ম্ স্থানে অনুষ্কার হয়।

যেমন--

দ্রুতম্ + খাতি = দ্রুতং যাতি

বিদ্যাম + লভতে বিদ্যাং লভতে

শয্যায়াম + পেতে = শয্যায়াং শেতে ভারস্ + বহতি = ভারং বহতি

৯। এর পর তালব্য শ থাকলে ত স্থানে চু এবং শ স্থানে হ্ হয়। যেমন-

উৎ + শ্বাসঃ উচ্ছ্বা

১০। যদি স্বরবর্ণ, বর্গের তৃতীয় ও চতুর্থ বর্ণ অথবা য, র, ল, ব, হ পরে থাকে, তবে পদের অন্তস্থিত কৃ

স্থানে স্থানে স্থানে ডু এবং প স্থানে বৃ হয়। যেমন- বাক + ঈশঃ = বাগীশঃ

দিক্‌ + গজঃ = দিগ্‌গজা

দিক্‌ + ভাগঃ + দিগ্‌ভাগঃ

বাক্ + রোধঃ = বাগরোধঃ

= বিদ্যাচক ধিক্‌ + যাচকম্ = 1

ধিক্‌ + লোভিন = ধিগুলোভিন

ঋক্‌ + বেদঃ = ঋগবেদঃ পিতৃ + অন্ত = ি

দিক্‌ + হস্তী = - দিগহস্তী

অপূ + ঘটঃ = অনুঘটঃ

১১। যদি ভূ পরে থাকে তবে স্বরবর্ণের পরে চূ আগম হয় এবং চূ ও মিলিত ভাবে 'চ্ছ' হয়। যেমন-

বি + ছেদঃ = বিচ্ছেদ পরি + ছেদা = পরিচ্ছেদ

১২। কৃ ধাতু নিষ্পন্ন শব্দ পরে থাকলে সম শব্দের ম্ স্থানে অনুষ্কার হয় এবং স-কার আগম হয়। যেমন- সম্ + কার = সংস্কারা

সম্ + কৃতঃ = সংস্কৃতঃ ১৩। “উৎ' উপসর্গের পরস্থিত 'স্থা' ও স্ত ধাতু 'সূ' লোপ পায়। যেমন- উৎ + স্থানম্ = উত্থানম্

উৎ+ স্থিত? = উত্থিতঃ

বিসর্গ সি

১। বিসর্গের পরে চ্ কিংবা স্থ থাকলে বিসর্গের স্থানে শ টু কিংবা ই পরে থাকলে বিসর্গের স্থানে য এবং ভূ কিংবা ঘৃ পরে থাকলে বিসর্গের স্থানে সূ হয়। যথা- 1+= মুনের + ছাত্রাঃ == মুনোত্রাঃ

1+5=5

পূর্ণঃ + চন্দ্ৰঃ পূর্ণচন্দ্রঃ

1+8=78

ধনুঃ + টঙ্কারঃ + ধনুষ্টঙ্কারা উদিতঃ + তপনা = উদিতস্তপনা

২। অ-কারের পরস্থিত স- জাত বিসর্গের পর অ-কার থাকলে পূর্ব অ-কার ও বিসর্গ উভয়ে মিলে ও-কার হয়। ও-কার পূর্ববর্ণে যুক্ত হয় এবং পরের অ-কারের লোপ হয় ও দৃপ্ত অ-কারের এরূপ একটি 'হ' চিহ্ন

দিতে হয়। যথা-

নরঃ + অয়ম্ = নরোছাম্

সঃ + অহম্ = সোহ

৩। বর্ণের তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম বর্ণ অথবা য, র, ল, ব, ওহ পরে থাকেল অ-কার ও আ-কারের পরস্থিত

স্-জাত বিসর্গ উভয়ে মিলে ও-কার হয়। ও-কার পূর্ববর্ণে যুক্ত হয়। যথা-

শান্তঃ + গজা = শাস্তোগজা, ভগ্নঃ + ঘটঃ ভগ্নোমটঃশিরঃ+ মণিঃ শিরোমণিঃ, বীরা + যোদ্ধা = ধীরোযোদ্ধা, লোহিতঃ + রবিঃ= লোহিতোরবিঃ কৃতঃ + লোডঃ কৃতোলোভঃ। শীতল + বায়ুঃ = শীতলোবায়ুঃ, ভীতঃ + হরিণঃ = ভীতোহরিণঃ ।

৪। স্বরবর্ণ, বর্গের তৃতীয়, চতুর্থ বা পঞ্চম বর্ণ অথবা, য, র, ল, ব, হ পরে থাকলে অ আ ভিন্ন স্বরবর্ণের পরিস্থত বিসর্গের স্থানে বৃ হয়। পরম্বর ঐ র-কারে যুক্ত হয়। কিন্তু পরে বাঞ্জনবর্ণ থাকলে ঐ ( রেহ ( ) হয়ে তার মস্তকে যায়। যথা-হরিঃ + অসৌ ছবি

রবেঃ + উদয়া = রবেরুদয়ঃ

সাধুর আম্ = সাধুরয়

গুরোঃ + গুরুর আদেশঃ = গুরোরাদেশঃ

বায়ুঃ + বাতি = বায়ুর্বাতি

শিশুঃ + হসতি = শিশুইসতি

হরিঃ + যাতি = হরির্যাতি

=

৫। কৃ-ধাতু নিষ্পন্ন পদ পরে থাকলে নমঃ, তিরা ও পুরঃ এই অব্যয় তিনটির বিসর্গ স্থানে দন্ত্য-সৃ হয়।

নমঃ + কার = নমস্কারা

পুরঃ + কারা = পুরস্কার

ভিরঃ + কার = ভিরস্কারঃ পুরা + কৃত্য = পুরস্কৃতা

Content added By

পরস্পর সম্বন্ধযুক্ত দুই বা তার অধিক পদের একপদে পরিণত হওয়ার নাম সমাস। 'সমাস' শব্দের অর্থ 'সংক্ষেপ'।

সমস্ত পদ দুই বা তার অধিক পদ মিলিত হয়ে একপদে পরিণত হলে তাকে সমস্তপদ বলে; যেমন- মহান পুরুষঃ = মহাপুরুষ। এখানে 'মহান' ও 'পুরুষঃ' এ দুটি পদ মিলিত হয়ে মহাপুরুষ' এই একটি পদ গঠিত হয়েছে। সুতরাং 'মহাপুরুষঃ' একটি সমস্তপদ। সমস্যমান পদ যে যে পদের সমন্বেয়ে সমাস গঠিত হয়, তাদের প্রত্যেককে সমস্যমান পদ বলে। যেমন-

নীলম উৎপলম্ = নীলোৎপলম্। এখানে 'নীলম' ও 'উৎপলম্' এ দুটি পদের সমন্বয়ে 'নীলোৎপলম্' পদটি

গঠিত হয়েছে। তাই 'নীল' ও 'উৎপল' এ দুটি সমস্যমান পদ।।

ব্যাসবাক্য বি + আস= 'ব্যাস'। 'ব্যাস' শব্দটির অর্থ বিচ্ছিন্নভাবে অবস্থান। যে বাক্যের সাহায্যে সমাসের

অন্তর্গত পদগুলোকে বিচ্ছিন্নভাবে দেখানো হয়, সেই বাক্যকে ব্যাসবাক্য বলে, যেমন-- দেবস্য আলয়া =

দেবালয়ঃ। এখানে “দেবালয়ঃ” এই সমাসবদ্ধ পদের অন্তর্গত 'দেব' ও 'আলয়।' এ দুটি পদকে 'দেবা

আলয়।' এ বাক্যের সাহায্যে পৃথক করে দেখানে হয়েছে। সুতরাং 'দেবস্য আলয়।' এ বাক্যটি ব্যাসবাক্য।

ব্যাসবাক্যের অন্য নাম সমাসবাক্য বা বিগ্রহবাক্য।

সমাসের শ্রেণীভেদ

বৈয়াকরণ পাণিনির মতে সমাস চার প্রকার- অব্যয়ীভাব, তৎপুরুষ, দ্বন্দ্ব ও বহুব্রীহি। কর্মধারয় ও দ্বিগু সমাস তৎপুরুষ সমাসেরই অন্তর্গত। কোন কোন বৈয়াকরণ কর্মধারয় ও দ্বিগু সমাসের পৃথক সত্তা স্বীকার করেন। সুতরাং তাঁদের মতে সমাস ছয় প্রকার- অব্যয়ীভাব, তৎপুরুষ, কর্মধারয়, দ্বিগু, বহুব্রীহি এ দ্বন্দ্ব।

১। অব্যয়ীভাব

কূলসা যোগ্য = অনুকূল

বিঘ্নস্য অভাবঃ = নির্বিঘ্নম্ ।

উপরের উদাহরণ দুটি লক্ষ্য কর। প্রথমটিতে 'অনু' পদটি অব্যয় এবং 'কূলম পদটি বিশেষ্য। দ্বিতীয়টিতে “নিঃ” (নির) পদটি অব্যয় এবং 'বিঘ্নম' পদটি বিশেষ্য। দেখা যাচ্ছে যে, উভয় ক্ষেত্রেই পরপদ বিশেষা। অধিকন্তু দুটো উদাহরণেই পূর্বপদের অর্থ প্রধানরূপে প্রতীয়মান হয়েছে। এরূপে - অব্যয় শব্দ পূর্বে থেকে যে সমাস হয় এবং পূর্বপদের অর্থ প্রধানরূপে প্রতীয়মান হয়, তাকে অব্যয়ীভাব সমাস বলা হয়।

এই সমাসে শেষের পদটি থাকে বিশেষ্য এবং সমস্ত পদটি অব্যয় ও ক্লীবলিকা হয়। বিভক্ত, সামীপ্য, সমৃদ্ধি, অভাব, যোগ্যতা, বীপ্‌সা, সাদৃশ্য, পর্যন্ত, পশ্চাৎ, অনতিক্রম প্রভৃতি অর্থে অব্যয়ীভাব

সমাস হয়। বিভক্তি হবৌ – অধিহরি

সামীপ্য কূলসা সমীপম্ – উপকূল -

সमृत = মদ্রাণাং সমৃদ্ধিঃ -- সমদ্রম

অভাব : ভিক্ষায়াঃ অভাবঃ- দুর্ভিক্ষ যোগ্যতা রূপস্য যোগ্যম অনুৰূপম

বীপ্‌সা অবনি অহনি— প্রত্যহম্ সাদৃশ্য হরেঃ সদৃশ -- সহরি

পর্যন্ত * সমুদ্রপর্যস্তম্- আসমূদ্রম পশ্চাৎ : পদস্য পশ্চাৎ-- অনুপদম

অনতিক্রমঃ শক্তিম্ অনতিক্রম্য – যথাশক্তি ।

২। তৎপুরুষ সমাস

গৃহং গতঃ = গৃহগতঃ লেন সির = জলসিক্তঃ। পুত্রায় হিতম্ পুরহিতম্। বৃক্ষাৎ পতিতা =

বৃক্ষপতিতঃ। সুখস্য ভোগঃ = সুখভোগঃ। নরেষু উত্তম নরোত্তমঃ। উপরে প্রদত্ত ছয়টি উদাহরণের মধ্যে প্রথম উদাহরণে পূর্বপদস্থ দ্বিতীয়া, দ্বিতীয় উদাহরণে তৃতীয়া, তৃতীয়

উদাহরণে চতুর্থী, চতুর্থ উদাহরণে পঞ্চমী, পঞ্চম উদাহরণে ষষ্ঠী এবং ষষ্ঠ উদাহরণে সপ্তমী বিভক্তি লোপ পেয়ে সমাস হয়েছে এবং প্রতিক্ষেত্রে পরপদের অর্থ প্রধানরূপে প্রতীয়মান হয়েছে। এরূপে - যে সমাসে পূর্বপদে দ্বিতীয়াদি (দ্বিতীয়া, তৃতীয়া, চতুর্থী, পঞ্চমী, ষষ্ঠী ও সপ্তমী বিভক্তি লোপ পায় এবং পরপদের অর্থ প্রধানরূপে প্রতীয়মান হয়, তাকে তৎপুরুষ সমাস বলে।

পূর্বপদের বিভক্তির লোপ অনুযায়ী তৎপুরুষ সমাস হয় প্রকার। যথা- দ্বিতীয়া তৎপুরুষ, তৃতীয়া তৎপুরুষ, চতুর্থী তৎপুরুষ পঞ্চমী তৎপুরুষ ষষ্ঠী তৎপুরুষ সপ্তমী। তৎপুরুষ।

(ক) দ্বিতীয়া তৎপুরুষ সুখং প্রাপ্তঃ = সুখপ্রাপ্ত। বর্ষং ভোগ্যঃ = বর্ষভোগ্যঃ। কৃষ্ণং শ্রিতা = কৃষ্ণণ্ডিতঃ। (খ) তৃতীয়া তৎপুরুষ ব্যাঘ্রেণ হতা = ব্যাপ্তহতঃ। অগ্নিনা দশা = অগ্নিদম্বঃ। সৰ্পেণ দৃষ্টঃ = সর্পদষ্টা। একেন উনঃ = একোনা বিদায়া হীনঃ = বিদ (গ) চতুর্থী তৎপুরুষ দেবায় দত্ত = দেবদত্তম। কুণ্ডলায় হিরণ্যম = কুলহিরণ্যম্। ভূতায় বলির =

ভূতবলিঃ। (ঘ) পঞ্চমী তৎপুরুষ : চৌরাৎ ভয়ম্ = চৌরভয়ম্। স্বর্ণাৎ স্রষ্টা = স্বর্ণদ্রষ্টা। পাপাৎ মুক্তঃ = পাপমুক্তঃ। বৃক্ষাৎ পতিতঃ = বৃক্ষপতিতঃ।

(ঙ) ষষ্ঠী তৎপুরুষ মাতুলস্য আলয় = মাতুলালয়ঃ পরসঃ পানম্ = পরঃপানম্। কাল্যার দাসঃ =

কালিদাসঃ। রাজাঃ পুরুষঃ = রাজপুরুষঃ। হংস্যাঃ অম্ = হংসাপ্তম্। (চ) সপ্তমী তৎপুরুষ ও গৃহে পালিতঃ = গৃহপালিতঃ বনে স্থিতঃ = বনস্থিত। কর্মণি নিপুণঃ = কর্মনিপুণঃ। বনে বাসঃ = বনবাসঃ মাসে দেয় = মাসদেয়।

আরও কয়েকটি তৎপুরুষ সমাস

জলে চরতি যঃ = জলচরঃ। প্রভাং করোতি যা প্রভাকরা। উপরে প্রদত্ত উদাহরণ দুটির প্রতি লক্ষ্য কর। প্রথম উদাহরণে 'জলে' উপপদ এবং 'চরঃ' (চ+ট) কৃদন্ত পদ। দ্বিতীয় উদাহরণে 'প্রভা' উপপদ এবং করা (√কৃ + ট) কৃদন্ত পদ। উভয় উদাহরণেই দেখতে পাচ্ছি, পূর্বপদ 'উপপদ' এবং পরপদ 'কৃদন্তপদ'। সুতরাং-

উপপদের সাথে কৃদন্তপদের যে সমাস হয়, তাকে উপপদ তৎপুরুষ সমাস বলা হয়।

কতিপয় উপপদ তৎপুরুষ

কৃষ্ণ করোতি যা = কৃষ্ণকারা।

জলে জায়তে য

গৃহে তিষ্ঠতি যা = গৃহস্থা

বনে বসতি যা = বনবাসী।

পাদেন পিবতি যঃ = পাদপঃ ।

নঞ তৎপুরুষ

ন মানুষঃ = অমানুষঃ ।

ন ঐক্য = অনৈক্যম্ ।

—উপরের উদাহরণ দুটোতে পূর্বপদ ন (ঞ) অব্যয় এবং পরপদ 'মানুষঃ' ও 'ঐক্য' সুবন্তপদ অর্থাৎ শব্দবিভক্তিযুক্ত পদ। এরূপ ভাবে-

নঞ অব্যয়ের সঙ্গে সুবন্তপদের যে সমাস হয়, তাকে 'নঞ তৎপুরুষ সমাস বলা হয়। 'নঞ' এর 'ন' থাকে। ব্যাঞ্জন বর্ণ পরে থাকলে 'ন' স্থানে 'অ' এবং স্বরবর্ণ পরে থাকলে 'ন' স্থানে 'অনু' হয়। যেমন- ব্রাহ্মণঃ = অব্রাহ্মণ ন অন্তঃ অনন্তঃ ।

উষ্ণম্ উপকম্ = উষ্ণোদকম্।

মহান পুরুষঃ = মহাপুরুষঃ।

উপরের প্রথম উদাহরণে ঊষ পদটি বিশেষণ এবং উপকম' পদটি বিশেষ্য। দ্বিতীয় উদাহরণে 'মহান' পদটি বিশেষণ এবং 'পুরুষঃ' পদটি বিশেষ্য। দুটো উদাহরণেই দেখতে পাচ্ছ, পূর্বপদ বিশেষণ, পরপদ বিশেষ্য এবং সমাসবদ্ধ পদটি বিশেষা হয়েছে। সুতরাং- যে সমাসে সাধারণত পূর্বপদ বিশেষণ, পরপদ বিশেষ্য ও সমস্ত পদটি বিশেষ্য হয়, তাকে কর্মধারয় সমাস

বলা হয়।

কয়েকটি কর্মধারয় সমাস

মহান বীরা = মহাবীরঃ। মহান জন মহাজনঃ নীলম উৎপলম্= নীলোৎপলম্। পীতম্ অম্বরম্ =

পীতাম্বরম্ । মহান রাজা = মহারাজা। প্রিয়ঃ সখা =

কর্মধারয় সমাসের শ্রেণীভেদ

কর্মধারয়, সমাস চার প্রকার - উপমান কর্মধারয়, উপমিত কর্মধারয়, রূপক কর্মধারয় এবং মধ্যপদলোপী কর্মধারয়। উপমান, উপমিত ও রূপক কর্মধারণের সঙ্গে উপমান, উপমেয় ও সাধারণ ধর্মের বিশেষ যোগসূত্র রয়েছে।

তাই প্রথমেই এদের সম্পর্কে আলোচনা করা হচ্ছে।

যার সাথে কোন বস্তুর তুলনা দেওয়া হয়, তাকে উপমান, যাকে তুলনা দেওয়া হয়, তাকে উপমেয় এবং যে ধর্মটি উপমান ও উপমেয়ের মধ্যে সাধারণভাবে বর্তমানে থাকে, তাকে সাধারণধর্ম বলা হয়। যেমন- 'নবঃ সিংহঃ ইব' । এখানে সিংহের সন্ধ্যে নরের তুলনা দেয়া হয়েছে। সুতরাং 'সিংহ' উপমান এবং 'নর' উপমেয়। আবার ঘন ইব শ্যাম বর্ণ। এখানে 'ঘন' উপমান ও 'বর্ণ' উপমেয়ের মধ্যে 'শ্যামবর্ণ' সাধারণভাবে বর্তমান। সুতরাং 'শ্যামবর্ণ সাধারণ ধর্ম। উপমান ও উপমেয় সহজে বুঝতে হলে মনে রাখতে হবে- 'অধিকগুণযোগী উপমান' - যে দুটি বস্তুর মধ্যে তুলনা হয় তার মধ্যে যেটির গুণ বেশি সেটি উপমান। যেমন- মুখ ও চন্দ্রের মধ্যে যখন তুলনা হয়, তখন 'চন্দ্র' মুখ অপেক্ষা অধিকতর গুণসম্পন্ন বলে তা উপমান হয়।

উপমান কর্মধারয়

অর্ণবঃ ইব গভীরা = অর্ণবগভীরঃ ।

নবনীতম্ ইব কোমলম্ = নবনীতকোমলম্।

প্রথম উদাহরণে 'অর্ণব' উপমান এবং 'গভীরঃ সাধারণধর্মবাচক পদ। দ্বিতীয় উদাহরণে 'নবনীতম্' উপমান এবং 'কোমলম্ সাধারণধর্মবাচক পদ। উভয় উদাহরণেই উপমান প্রথমে ব্যবহৃত হয়েছে। এরূপভাবে উপমানের সঙ্গে সাধারণধর্মবাচক পদের যে সমাস হয়, তাকে উপমান কর্মধারয় সমাস বলা হয়।

শংখ ইব ধবলঃ = শংখধবলঃ পর্বতঃ ইব উন্নত = পর্বতোন্নতঃ অনলাইব উচ্ছ্বলঃ = অনলোজ্বলা।

উপমিত কর্মধারয়

পুরুষ সিংহ ই = পুরষসিংহঃ।

মুখম চন্দ্ৰঃ ইব = মুখচ

উপরের উদাহরণ দুটোর প্রতি একটু মনোযোগের সাথে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে যে, প্রথম উদাহরণে--পূর্বপদ ‘পুরুষঃ' উপমেয় এবং পরপদ 'সিংহঃ' উপমান। দ্বিতীয় উদাহরণেও পূর্বপদ 'মুখম্' উপমেয় পরপদ 'চন্দ্র' উপমান। উভয় উদাহরণেই সাধারণ ধর্মের উপস্থিতি নেই। এরূপে - সাধারণধর্মবাচক পদের উল্লেখ না থেকে উপমেয় ও উপমানের মধ্যে যে কর্মধারয় সমাস হয়, তাকে বলা হয়

"উপমিত কর্মধারয় সমাস।

কয়েকটি উপমিত কর্মধারয়

নরঃ ব্যাঘ্রঃ ইব = নরবাস্তুর মুখং কমলম ইব= মুখকমলম্। অধরা পাবা ইব অধরপল্লবঃ।

জ্ঞানম্ এর চক্ষুর = জ্ঞানচক্ষুঃ ।

শোকা এর অর্ণবঃ = শোকার্ণবা।

উপরের প্রথম উদাহরণে 'জ্ঞান' উপমেয় এবং 'চক্ষু' উপমান। দ্বিতীয় উদাহরণে 'শোক।' উপমেয় এবং 'অর্ণবঃ' উপমান। দুটো উদাহরণেই উপমান এবং উপমেয়ের মধ্যে অভেদ কল্পনা প্রকাশিত হয়েছে। সুতরাং- যে সমাসে পূর্বপদে উপমেয় এবং পরপদে উপমান থাকে এবং এদের মধ্যে অভেদ কল্পনা বোঝায়, তাকে

রূপক কর্মধারয় সমাস বলা হয়।

কয়েকটি রূপক কর্মধারয়

কোথা এর অনলা = ক্লোধানলঃ। মনা এর চক্ষুঃ = মনশ্চক্ষুঃ আন এর ধনম্ = জ্ঞানধনম্ ।

মধ্যপদলোপী কর্মধা

সিংহচিহ্ণিতম্ আসনম্ = সিংহাসনম্ ।

পলমিশ্রিতম্ অনুম = পলান্নম্ ।

উপরের উদাহরণ দুটো লক্ষ্য কর। প্রথম উদাহরণে ব্যাসবাক্যের মধ্যবর্তী 'চিহ্নিত' পদটি এবং দ্বিতীয় উদাহরণে মিশ্রিতম' পদটি লুপ্ত হয়েছে। সুতরাং-

যে কর্মধারয় সমাসে ব্যাসবাক্যের মধ্যবর্তী পদ লোপ পায়, তাকে মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস বলা হয়।

কয়েকটি মধ্যপদলোপী কর্মধার

দেবপূজকঃ ব্রাহ্মণঃ = দেব্রাহ্মণঃ।

ছায়াপ্রধানঃ তরু = ছায়াত।

মৃতমিশ্রিতম্ অম্লম = মৃতান্নম্ । কপিচিতিঃ ভাষাঃ = কপিলায়।

দ্বিগু সমাস

পঞ্চানাং বঁটানাং সমাহারঃ = পঞ্চবটী।

ত্রয়াণাং ভুবনানাং সমাহারঃ = ত্রিভুবনম্।

উপরের উদাহরণ দুটিতে পূর্বপদে সংখ্যাবাচক শব্দ রয়েছে এবং উভয়ক্ষেত্রেই সমাহার (মিলন) অর্থ প্রকাশিত হয়েছে। এরূপে——— যে সমাসে পূর্বপদে সংখ্যাবাচক শব্দ থাকে এবং সমাহার অর্থ প্রকাশ করে, তাকে দ্বিগু সমাস বলা হয়।

কয়েকটি দ্বিগু সমাস

পঞ্চানার পাত্রাগাং সমাহারঃ = পঞ্চাপাত্রম্ ।

পঞ্চানাং গৰাং সমাহারঃ = পঞ্চগবম্।

চর্তুগাং যুগানাং সমাহারঃ - চতুর্যুগ।

সন্তানাং শতানাং সমাহারঃ = সপ্তশতী।

ত্রয়াণাং লোকানাং সমাহারা = ত্রিলোকী।

"য়া মুনীনাং সমাহার = ত্রিমুনি।

চতুর্ণাং পদানাং সমাহারঃ চতুস্পদী।

৫। বহুব্রীহি সমাস

O

=

পীতম্ অম্বরম্ যস্য সঃ = পীতাম্বরঃ

চক্রং পাণৌ যস্য সা = চক্রপাণিঃ ।

প্রদত্ত উদাহরণ দুটোর প্রতি লক্ষ্য কর। প্রথমটিতে 'পীতাম্বরা' বললে 'পীতম্' এবং 'অন্ধরম' এ দুটো সমস্যমান পদের কোনটির অর্থই প্রধানরূপে প্রতীয়মান হয় না। 'পীতাম্বরঃ' বললে বোঝায় সেই ব্যক্তিকে যিনি পীতা পরিহিত। আবার দ্বিতীয় উদাহরণে 'চক্র' ও 'পাণৌ' এ দুটো সমস্যমান পদের কোনটিরই অর্থপ্রাধান্য পরিলক্ষিত হয় না। 'চক্রপাণি।' বললে সেই দেবতাকে বোঝায় যার পাণিতে (হাতে) চক্র আছে।

এরূপে— যে সমাসে সমস্যমান পদের কোনটির অর্থ প্রধানরূপে না বুঝিয়ে অন্য পদের অর্থ প্রধানরূপে প্রতীয়মান হয়, তাকে বহুব্রীহি সমাস বলা হয়।

বহুব্রীহি সমাসনিষ্পন্ন পদটি বিশেষণ। সুতরাং বিশেষ্যের লিঙ্গ, বিভক্তি ও বচন অনুযায়ী এর লিঙ্গ, বিভক্তি ও বচন হয়। যেমন-নদী মাতা যস্য সঃ = নদীমাতৃকঃ (দেশঃ)

স্বচ্ছং তোয়ং (জল) যস্যাঃ সা ও স্বচ্ছতায়া (নদী)।

প্রসন্নম অ (জল) যস্য ত = প্রসন্না (সরঃ) আরো কয়েকটি বহুব্রীহি সমাস মহাজৌ বাহু যস্য = মহাবাহুঃ। দৃঢ়া ভক্তিঃ যস্য সা = দৃঢ়ভক্তিঃ। মহতী মতিঃ যস্য সহ = মহামতিঃ। বঢ়ম্ উরা সা সা = ব্যূঢ়োরকঃ। ছৌ বা প্রয়ো বা = চিত্রাঃ পঞ্চ বা খট্ বা = পঞ্চষাঃ। ঊর্ণা নাভৌ যস্য স = উর্ণনাতঃ পরং নাভৌ যা সঃ পদ্মনাভা। যুবতিঃ জায়া যস্য যুবজানিঃ শোভনং হৃদয়ং যস্য সঃ = সুখ।

পুষ্পং ধনুঃ যস্য সা = পুষ্পধনুঃ, পুষ্পবস্থা।

হরিশ্চ হরত হরিহরৌ

৬। দ্বন্দ্ব সমাস

বৃক্ষশ্চ লতা চ = বৃক্ষলতে।

উপরের উদাহরণ দুটোতে প্রত্যেক সমস্যমান পদের শেষে রয়েছে 'চ' অব্যয় এবং প্রতিক্ষেত্রেই সমস্যমান পদযুগলের অর্থ প্রধানরূপে প্রতীয়মান হয়েছে। যে সমাসে সমস্যমান পদের প্রত্যেকটির অর্থ প্রধানরূপে প্রতীয়মান হয় এবং ব্যাসবাক্যে প্রত্যেক সমস্যমান

পদের পরে 'চ' বসে, তাকে 'দ্বন্দ্ব সমাস' বলা হয়।

দ্বন্দ্ব সমাস দু'রকমের হয়- ইতরেতর দ্বন্দ্ব এ সমাহার দ্বন্দ্ব।

(ক) ইতরেতর দ্বন্দ্ব (ইভর + ইভর = পরস্পর) যে দ্বন্দ্বসমাসে অনেক পদের পরস্পর যোগ বোঝায়, তাকে

ইতরেতরসমাস বলা হয়। এই সমাসে সমস্ত পদ পর পদের লিঙ্গ প্রাপ্ত হয়। যেমন- রামশ্চ লক্ষ্মণশ্চ = রাম-লক্ষ্মণৌ কন্দ মূল ফল = কন্দমূলফলানি। মাত চ পিতা চ

মাতাপিতরৌ, মাতরপিতরৌ। পত্র পুষ্পঞ্চ = পত্রপুষ্পে। দৌষ্ট ভূমিশ্চ = দ্যাবাভূমী। সন্ত্রী চ পুমাংশ্চ = স্ত্রীপুংসৌ। ইন্দ্রশ্চ বরুণশ্চ = ইন্দ্রবরুশো। কুশচ লবঙ্ক = কুশীলবৌ। জায়া চ পশ্চি = দম্পতী, জম্পতী, জায়াপতী।

(খ) সমাহার বন্ধ যে দ্বন্দ্ব সমাসে দুই বা বহু পদের সমষ্টি বোঝায়, তাকে সমাহার ঘা বলা হয়। এই সমাসে শেষের শব্দ যে লিঙ্গেরই হোক না কেন, সমস্তপদ ক্লীবলিকা ও একবচনান্ত হন।

যেমন- করৌ চ চরণৌ চ = করচরণম্।

অহয়শ্চ নকুলান্চ = অহিনকুলম্ গাবশ্চ অশান্ত = গৰাশ্বম্ ।

নং চ দিবা 5 = নন্দিবম্।

রাত্রিশ্চ দিবা চ = রাত্রিদিবম্।

O

Content added By

(ক) গড় বিধান

যে সমস্ত বিধান অর্থাৎ নিয়ম অনুযায়ী দন্ত্য-ন মূর্ধন্য- পৃ হয়, তাদের গত্ব বিধান বলা হয়।

প্রধানতঃ নিম্নলিখিত স্থলে গত্ববিধি প্রযোজ্য

১। একপদস্থিত ঋ, ক্ষু. র ও মূর্ধন্য - খ এর পর সপ্তা - মূর্ছনা - হয়। যেমন-

ঋ-- এর পরে ও ঋণম্, তৃণম্, ভিসৃণাম্‌ ইত্যাদি।

খু - এর পরে ঃ দাতৃগাম, ভ্রাতৃণাম, মাতৃণাম্ ইত্যাদি। - এর পরে বর্ণঃ, কর্ণ, বিদীর্ণঃ ইত্যাদি ।

য - এর পরে। বর্ণঃ, কৃষ্ণা, উষ্ণ, তৃষ্ণা, বিষ্ণু ইত্যাদি।

দ্রষ্টব্য = +

২। যদি স্বরবর্ণ, ক-বর্গ, প-বর্গ, য, ব, হ বা অনুস্বার (ং) -এর ব্যবধান থাকে, তাহলেও একপদস্থিত ঋ,

. র ও য এর পরে দস্তা - মূর্ধন্য -ণ হয়। যেমন-

স্বরবর্ণের ব্যবধানঃ নরে (এ+)।

ক - বর্গের ব্যবধান। তর্কেণ (ব+ ক্+এ+গ)

- বর্গের ব্যবধান দর্পেণ (র+প্+এ+)

[- এর ব্যবধান কার্যেণ (+++)

ব্ (অন্তঃস্থ) –এর ব্যবধান : রবেন ( + অ + ++

হ্ এর ব্যবধান গ্রহণ (ব+অ+ই+অ+)

২ (অনুষার) -এর ব্যবধান (+++)।

নিম্নলিখিত ছড়াটি মুখস্থ রাখলে উপরের সূত্র দুটো সহজে মনে থাকবে—

"অ, র মূর্ধন্য - ঘৃ পর যদি দন্ত্য-ন থাকে। তখনই মূর্ধন্য কর নির্বিচারে তাকে।।

কবর্গ, পবর্গ যদি মধ্যে স্বর আর।

য, ব, হ বা অনুষার তবু মূর্ধন্যকার।। "

৩। 'অগ্র' ও 'গ্রাম' শব্দের পরবর্তী নী- ধাতুর দন্ত্য-ন মূর্ধন্য-ণ হয়। যেমন- অগ্রণী, গ্রামণীয়।

৪। ট - বর্গের পূর্ববর্তী দস্তা -ন মূর্ধন্য -[ হয়। যেমন- কণ্ঠঃ গণ্ডা ঘণ্টা ইত্যাদি। ৫। প্র, পর, অপর ও পূর্ব শব্দের পর 'অহ্ন' শব্দের দস্তা- মূর্ধন্য ণ হয়। যেমন - প্র পরার

অপেরারা পূর্বাহ্ণর। ৬। পর, পার, উত্তর, চান্দ্র, নার, রাম প্রভৃতি শব্দের উত্তর দন্ত্য মূর্ধন্য-ণ হয়। যেমন- পরায়ণ,

পারায়ণম, উত্তরায়ণম্, চান্দ্রায়ণম, নারায়ণঃ, রামায়ণম্। ৭। প্র, পরি, নির্- এ তিনটি উপসর্গের পরবর্তী নম্, নশ, নী প্রভৃতি ধাতুর দন্ত্য-ন মূর্ধন্য-ণ হয়। যেমন - প্রণামঃ, প্রণশ্যতি, পরিণশ্যতি, পরিণয়ঃ, নির্ণয়া, প্রণয়ঃ।

৮। যেসব মূর্ধন্য - গৃ স্বাভাবিক ভাবেই ব্যবহৃত হয়, তাদের বলা হয় মৌলিক মূর্ধন্য -ণ।

নিচের পদগুলোতে ব্যবহৃত মূর্ধন্য ণ মৌলিক মূর্ধন্য --

"কিং কিণী কণিকা গুণঃ বাণ পণাম্‌ কণা গণঃ।

কল্যাণং কংকণং মণিঃ বীণা পুণ্য অণু ফণী।

বিপণী শোণিত পণঃ বাণিজ্যং কর্ণঃ নিপুণঃ” বিঃ । পণ্ডিতগণ বলেন, "ফাল্গুনে গগনে ফেনে গতুমিচ্ছস্তি বর্বরাঃ” অর্থাৎ মূর্খরাই ফাল্গুন, গগন ও ফেন শব্দে মূর্ধন্য -ণ ব্যবহার করে। অতএব ফাল্গুন, গগন ফেন শব্দে কখনও মূর্ধন্য -এর প্রয়োগ বিধেয়া নয়।

পতৃ নিষেধ ১। সন্তান যদি অন্য পদস্থিত হয়, তাহলে ঋ, খৃ. র ও এর পরস্থিত দন্ত্য-ন মূর্ধন্য-ণ

যেমন- নৃযানম্, হরিনাম, ত্রিনয়ন ইত্যাদি।

২। পদের অন্তস্থিত দন্ত্য- মূর্ধন্য হয় না। যেমন- নরান পাতুন, আাতুন, মুগান ইত্যাদি।

(খ) যত্ন – বিধান -

যেসব বিধান অনুযায়ী দন্ত্য সৃ মূর্ধনা হয়, তাদের যত্ন- বিধান বলা হয়।

সাধারণত নিম্নলিখিত স্থলে দন্ত্য স্ মূর্ছনা :-

-

১। অ, আ ভিন্ন স্বরবর্ণ ক-বর্গ, হ য ব র ল প্রভৃতি পরস্থিত আদেশ ও প্রত্যয়ের দপ্তা স্ মূর্ধন্য ষ

হয়। যেমন- অ, আ, ভিন্ন স্বরবর্ণের পর — মুনিষু, সাধুষ, নরেষু ইত্যাদি।

ক - বর্গের পর দিক্ষু ক্ষ = ক + - এর পর চতুর্মু, গীষু ইত্যাদি।

২। অনুস্বার (ং) এবং বিসর্গের (৫) ব্যবধান থাকলেও প্রভাবের দন্ত্য স মূর্ধন্য - হয়। যেমন- হীংখি,

ধনুঃষু, আশীঃষু ইত্যাদি। উল্লিখিত সূত্র দুটির জন্য নিম্নলিখিত ছড়াটি বিশেষ সহায়ক-

"অ আ ভিন্ন স্বর, পূর্বে ক র অন্তঃস্থ বর্ণ আর।

প্রত্যয়ের সৃ মূর্ধন্য, না গণি নিসর্গ অনুযারঃ ”

৩। ই-কারান্ত ও উ-কারান্ত উপসর্গের পর সিছ, স্থা, সদ ও সি প্রভৃতি ধাতুর দন্ত্য স মূর্ধন্য - হয়। যেমন-

ই - কারান্ত উপসর্গের পর অভিষেকা, অধিষ্ঠানম্ নিষাদর, নিষেধঃ।

উ - কারান্ত উপসর্গের পর অনুষ্ঠানম্ । ৪ . বি. নি ও দুর উপসর্গের পরস্থিত 'সম' শব্দের দন্ত্য স মূর্ধন্য হয়। যেমন- সুमঃ,

বিষমঃ, পুরষঃ নমঃ। ৫। ট-বর্গের পূর্ববর্তী দন্ত্য স্ এবং 'পরি' উপসর্গের পরস্থিত কৃ ধাতুর যোগে দস্তা - মূর্ধন্য -

-

হয়। যেমন কষ্টম্, ওষ্ঠা, পরিষ্কারা।

৬। 'ভূমি' ও 'দিবি' শব্দের পরবর্তী - শব্দের দন্ত্য স্ মূর্ছনা - হয়। যেমন-

ভূমিষ্ঠ ঃ (ভূমি + ঃ), নিবিষ্টঃ (সিবি + স্থা)। ৭। 'গবি' ও 'যুধি' শব্দের পরবর্তী স্থির' শব্দের দস্তা - মূর্ধন্য হয়।

যেমন –গবিষ্ঠিরা (গবি + স্থিরঃ) যুধিষ্ঠিরঃ (যুধি + স্থিরঃ)

৮। সমাসে 'মাতৃ' ও পিতৃ' শব্দের পরবর্তী 'স্বস্' শব্দের প্রথম দন্ত্য সৃ মূর্ধন্য হয়। যেমন- মাতৃস্বসা

(মাসিমা, পিতৃজ্বলা (পিসিমা)।

এমন কতগুলো শব্দ আছে যাদের মূর্ধন্য - কোন নিয়মের অপেক্ষা করে না। এদের বলা হয় মৌলিক মূর্ধন্য । যেমন- মোঃ ঘোষঃ, দোষা, ভাষা, ঊষা, পাষাণঃ, আষাঢ়, কমায়, ঘট খড়ত্ব, নিষা, মহিষ, ঘোষণা, অভিলাষ, পৌষা, বর্ষা, পুরুষঃ, ঋষিঃ ইত্যাদি।

স্বত্ব নিষেধ

১। 'সাৎ' প্রত্যয়ের দস্তা মূর্ধন্য হয় না। মেযন ভূমিসাৎ, ধূলিসাৎ, আত্মসাৎ ইত্যাদি।

২। সমাস না হলে 'মাতৃ' ও 'পিতৃ' শব্দের পরবর্তী 'স্বসু' শব্দের প্রথম মূর্ধন্য ষ হয় না। যেমন মাতু আসা, পিতুর সা

Content added By

(ক) কৃৎ- প্রকরণ

শব্দ গঠন করার জন্য ধাতুর উত্তর তথ্য, অনীয়, গাদ, য‍, শত্, শান, , বত্ব প্রভৃতি যে সকল প্রভায় হয়, তাদেরকে কৃৎ প্রত্যয় বলে এবং কৃৎ-প্রত্যয় নিষ্পন্ন পদকে কৃদন্তপদ বলে। কৃদন্তপদ ঃ √দা + তব্য = দাতব্য √কৃ + ক্ত = কৃত +

তব্য, অনীয়, গাৎ, যৎ

উচিতার্থে এবং ভবিষ্যৎ কাল বোঝালে ধাতুর উত্তর কর্মবাচ্যে ও ভাববাচ্যে এই প্রত্যয়গুলো হয়। এদেরকে কৃত্য প্রত্যয় বলে। কর্মবাচ্যে উক্ত প্রভাষগুলোর প্রয়োগ হলে তারা কর্মের বিশেষণ হয়, সুতরাং কর্মের লিঙ্গ, বচন ও বিভক্তির অনরূপ এদেরও লিজা, বচন ও বিভক্তি হয়।

তব্য

+ ত = দাতব্য, স্থা + তা = স্থাতব্য, জি + তব্য = জেতব্য। শী + তা = শয়িতব্য, √ধু

+ তব্য = শ্রোতব্য, √কৃ + তব্য = কর্তব্য।

অনীয়

রূপা (পান করা) + অনীয় = পানীয়, নী + অনীয় = শয়নীয়, √কৃ + অনীয় করণীয়, √স্মৃ + অনীয় =

স্মরণীয়, সেব্‌ + অনীয় সেবনীয়।

Vকু + ণাৎ = কার্য, ধৃ + গ = ধার্য, √বচ্‌ + না = বাচ্য, ত্যজ + গ = ত্যাজ্য, তু + = ভোজ্য, ভক্ষ + ণ = ভক্ষ্য।

খুঁজি + য = জেয়, দা + য = দেয়, নী + য = নেয়, পায়ে, + +

অতীতকালে সকর্মক ধাতুর উত্তর কর্মবাচ্যে এবং অকর্মক ধাতুর উত্তর কর্তৃবাচ্যে 'ক' প্রতায় হয়। প্রত্যয়ান্ত পদ ক্রিয়া ও বিশেষণের কাজ করে।

সকর্মক ধাতুর উত্তর কর্মবাচ্যে প্রতায়

VS + ক্ত = ঘ্রাত, দহ + = দশ, দৃশ + = দৃষ্ট, নিন্ + ক = নিন্দিত, √পচ্‌ + ক্ত = পকু, পু

+ = পূত।

অকর্মক ধাতুর উত্তর কর্তৃবাচ্যে প্রত্যয়

কুপ + ক্ত = কুপিত, ক্ষি + ক্ত = ক্ষীণ, জীব = = জীবিত, ন + V + শয়িত, √মূহ + ক্ত = মুগ্ধ, মূঢ়, স্থা + = স্থিত।

কভু প্রতায় কর্তৃবাচ্যে হয়; কনতু প্রত্যয়ান্ত শব্দ কর্তার বিশেষণ রূপে ব্যবহৃত হয়। সকর্মক ও অকর্মক উভয় প্রকার ধাতুর উত্তর স্ত প্রভায় হয়।

কী + কবতু = ক্রীতবৎ, V + ব = গীত, r + ব = জিতব, ত্যঙ্গ + কবতু = ত্যবৎ, বনম্ + ক্তবস্তু = নতবং, খলি + ভবতু = লিখিতবৎ, সৃজ + ব = সৃষ্ট, হন্ + কবতু = হতবৎ, কৃ কবতু = কৃতবৎ ।

শতৃ ও শানছ

বর্তমানকালে কর্তৃবাচ্যে পরস্মৈপদী ধাতুর উত্তর 'শত্রু' ও আত্মনেপদী ধাতুর উত্তর 'শান' প্রত্যয় হয়। শত্রু ও

শানছ প্রত্যয়াস্ত পদ সর্বদাই বিশেষণ হয়। কাজেই বিশেষ্যের শিক্ষা ও বচন অনুযায়ী এদের শিক্ষা ও বচন

শর্ত প্রত্যয়ান্ত পুংলিঙ্গের বিশেষণ হলে 'ধাবৎ' শব্দের ন্যায়, স্ত্রীলিঙ্গের বিশেষণ হলে 'নদী' শব্দের ন্যায় এবং ক্লীবলিঙ্গের বিশেষণ হলে গচ্ছত' শব্দের ন্যায় হয়। শ‍

গম + শ = গচ্ছ, স্পৃশ + শ = স্পৃশ, নিশ্ + শ = নশাৎ, গ্রহ + শ = গৃহৎ, কৃ + তৃ = কর্নৎ, গৈ + শ = গা

Vইক্ষ + শানচ্‌ = ঈক্ষমান, √চেষ্ট, + শানচ্ = চেষ্টমান, √ভাষ + শানচ্‌ = ভাঘমান, বৃৎ + শানচ্‌ = বর্তমান।

তুমুল

নিমিত্তার্থ বোঝালে এবং সমাপিকা ও অসমাপিকা উভয় ক্রিয়ার কর্তা একজন হলে, ধাতুর উত্তর 'তুমুন' প্রত্যয় হয়। তুমুন এর 'তুম' থাকে।

করতে অর্থাৎ করার নিমিত্ত, দেখতে অর্থাৎ দেখার নিমিত্ত, পড়তে অর্থাৎ পড়ার নিমিত্ত, এরূপ বাংলার 'তুমুন প্রত্যয় দ্বারা সংস্কৃত অনুবাদ করতে হয়। তুমুন - প্রত্যয়ান্ত পদ অসমাপিকা ক্রিয়া ও অব্যয়ের কাজ করে।

তুমুন - প্রত্যয়াস্ত কয়েকটি পদ

√কৃ + তুমুন = কতুম, √গ্রহ + তুমুন গ্রহীতুম, √গম্‌ + তুমুল গন্ধম জি + তুমুন জেতুম, জীব * তুমুন = জীবিতুম, V + তুমুন আতুম, √পচ্‌ + তুমুন = পতুম, পিঠ + তুমুন পঠিতম।

সমাপিকা ও অসমাপিকা ক্রিয়ার কর্তা একজন হলে অনন্তর অর্থে অর্থাৎ করে, দেয়ে শুয়ে প্রভৃতি অর্থ প্রকাশ পেলে অসমাপিকা ক্রিয়াটির উত্তর জ্বাচ প্রত্যয় হয়। জ্বাছ প্রত্যয়ের "তা থাকে। জ্বাচ প্রত্যয়ার পদ অসমাপিকা ক্রিয়া ও অব্যয় হয়।

কাচ্ প্রত্যয়াস্ত কয়েকটি পদ

দা + জ্বাছ = দয়া, √দৃশ + ছ = দৃষ্টা, নম্ + চ = ন + + ছ = লিখিতা, দেখিতা।

লাপ বা য

ন ভিন্ন অন্য কোন অব্যয়ের সাথে ধাতুর সমাস হলে 'জ্বাছ' প্রত্যয়ের স্থানে পাপ বা যপ প্রত্যয় হয়। লাপ প্রত্যয় ক্বাহ - প্রভায়ের অর্থই প্রকাশ করে। ল্যাপ বা যপ্ প্রত্যয়ের 'য' থাকে।

লাপ বা যদু প্রত্যয়াপ্ত কয়েকটি পদ

- আপ + লাপ প্রাপ্য, নম্ + ল্যাপ প্রণতা, প্রণম্য, বি হা লা = বিহায় আ

+ লাপ = আদায়। বিদ - Vex + প = বিহস্য।

(খ) তদ্ধিত প্রকরণ

দশরথ + ই = দাশরথি

তর্ক + ঠক্ = তার্কিক।

উপরের উদাহরণ দুটোর প্রতি দৃষ্টি নিবদ্ধ কর। প্রথম উদাহরণে 'দশরথ' শব্দটির সঙ্গে ইজ্ প্রতায় যোগে "দাশরথি" এই নতুন শব্দ গঠিত হয়েছে। দ্বিতীয় উদাহরণে 'তর্ক" শব্দটির সঙ্গে ঠক্ প্রত্যয় যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ 'তার্কিক' এর সৃষ্টি হয়েছে। সুতরাং

যেসব প্রত্যয় শব্দের সঙ্গে যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠন করে, তাদের বলা হয় তদ্ধিত প্রত্যয়। কম্পিত প্রতায় অসংখ্য। এরা নতুন শব্দ গঠন করে ভাষার শব্দ ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করে। বিভিন্ন অর্থে এদের

অপত্যার্থক তদ্ধিত প্রত্যয়

• এবং অণু এর 'অ' থাকে। ঢক্‌ স্থানে "এ", ফক্ স্থানে 'আয়ন এবং ঠক স্থানে ইক' হয়। যেসব শব্দের

উত্তর এই অপত্য প্রতগুলো যুক্ত হয়, তাদের আদিখরের বৃদ্ধি হয় অর্থাৎ অ স্থানে 'আ', ই, ঈ, স্থানে

'ঐ'; উ, ঊ, স্থানে 'ঔ' এবং যা স্থানে "আর" হয়।

ইএ (ই) সুমিত্রা + ই = সৌমিত্রিঃ (সুমিত্রায়ার পুত্রঃ)

স্লোগ + ই = দ্রৌণিঃ (পুত্র)

প্রয়োগ হয়ে থাকে । এখানে কতিপয় অতি প্রয়োজনীয় তদ্ধিত প্রত্যয়ের বিবরণ দেয়া হল। যার জন্মের ফলে বংশ পতিত হয় না, তাকে বলা হয় অপত্য। সুতরাং অপত্য বললে পুত্রকাদি সন্তানকে বোঝায়। অপত্য অর্থে যেসব প্রত্যয় যুক্ত হয়, তাদের অপত্য প্রত্যয় বলা হয়। অপতা অর্থে সাধারণতঃ ইঞা, যজ্ঞ, গা, অণু ঢক্ ফক্ ঠক্ প্রভৃতি অস্থিত প্রত্যয়ের ব্যবহার হয়। ইঞ-এর 'ই' এর 'য', গা এর 'য'

(4) + গ + য = গাৰ্গ (গা পুত্রঃ) জমদগ্নি + খ = জামদগ্ন্যুর (জমসপ্লেঃ পুত্রঃ)

(3)

1

দিতি + না = আদিত্যঃ (অদিতেঃ পুত্রঃ)

অদিতি + গ = দৈত্যঃ (দিতেঃ পুত্রঃ)

(অ) * পৃথা + অণু পার্থঃ (পৃথায়াঃ পুত্রঃ) পাণ্ডু + অ = পাণ্ডবঃ (পাভোঃ পুত্রঃ)

ঢক্ (এয়) * কুন্তী + ঢক্ = কৌন্তেয়াঃ (কুন্ত্যাঃ পুত্রঃ)

গণা + চক, গায়ের (গঙ্গায়াঃ পুত্রঃ) ফ (আ) নর নারায়ণ (রসা পূত্রঃ)

দ্রোণ + ফক্ = দ্রৌগায়ণঃ (দ্রোণস্য পুত্রাঃ)

ঠক্ (ইক) রেবতী + ঠ = রৈবতিকা (রেবত্যাঃ পুত্রঃ)।

১। তা পড়ে বা জানে এই অর্থে-

যেমন- বেদং বেত্তি অধীতে বা = বৈদিকঃ (বেদ + ঠক্) ব্যাকরণং বেত্তি অধীতে বা বৈয়াকরণঃ (ব্যাকরণ + অণু)।

২। তার যারা প্রোক্ত অর্থাৎ তিনি বলেছেন এই অর্থে। যেমন- পাণিনিমা প্রোক্তম্ = পাণিনীয়ম্ (পাণিনি +)

ঋষিণা প্রোক্তম্ = আম্ (ঋষি অণু)

৩। তার যারা কৃষ্ণ এই অর্থে। যেমন-

কায়েন নির্বত্তম = কায়িকম্ (কায় + ঠক্

শরীরেণ নির্বত্তম্ = শারীরিকম (শরীর + ঠক্ )

মনসা নির্বত্তম্ = মানসিকম্ (মনস্ ঠক্ ৪। সেখানে জাত এই অর্থে। যেমন-

সমুদ্রে ভবঃ = সামুদ্রিকঃ (সমুদ্র + ঠক কুল ভবা = কুলীনঃ (কুল)।

৫। সেই স্থান থেকে আগত এই অর্থে। যেমন- মথুরায়াঃ আগতঃ মাথুরঃ (মথুরা + অণু) পিতৃঃ আগতম্ = পিত্রাম্ (পিতৃ + যৎ)

৬। তাতে নিপুণ এই অর্থে। যেমন-

সভায়াং সাধুঃ = সভ্য (+)

সমাজে সাধুঃ = সামাজিকঃ (সমাজ + ঠক্)।

৭। তার সমূহ এই অর্থে। যেমন- ভিক্ষাণাং সমূহঃ = ভৈক্ষ (ভিক্ষা + অণু)

মনুষ্যাণং সমূহঃ = মানুষ কম্ (মনুষ্য + বু)।

৮। তার বিকার এই অর্থে। যেমন-

তিলস্য বিকারঃ = তৈলম্‌ (তিল + অ মৃদঃ বিকারঃ == মৃত্যুয়ঃ (+)

৯। তার দ্বারা রঞ্জিত এই অর্থে। যেমন- নীল নীল +অ) পীতেন রঞ্জিতম্ = পীতকম্ (পীত + ন)।

১০। কোনও ব্যক্তি বা বিষয় অবলম্বনে গ্রন্থ রচিত হয়েছে এই অর্থে। যেমন-

ভগবন্তম্ অধিকৃত্য কৃতম = ভাগবতম্ (ভগবৎ + অণু) রামম্ অধিকৃত্য কৃতম = রামায়ণম্ (রাম + ফক্)।

১১। নিমিত্তাৰ্থ বোঝাতে। যেমন-

পাদার্থম্ উদকম্ পাদা (পান)

অভিনয়ে ইদম্ = আতিথ্যম্ (অতিথি + গা)।

১২। তার হিত এই অর্থে। যেমন-

সর্বজনেতাঃ হিতম্ = সার্বজনীন (সর্বজন +) বিশ্বজনেতাঃ হিতম্ = বিশ্বজনীন (বিশ্বজন + খ)

১৩। তার দ্বারা বেঁচে আছে অর্থাৎ জীবিকা নির্বাহ করছে এই অর্থে। যেমন-

বেগুনেন জীবতি = বৈতনিকঃ (বেতন + ঠক্) নাৰা জীবতি = নাবিকঃ (নৌ+ঠ)।

১৪। এ তার প্রয়োজন এই অর্থে। যেমন-

শুদ্ধা প্রয়োজনম্ অস্য = শ্রাদ্ধম্ (শ্রদ্ধা + অন

আয়ুঃ প্রয়োজনম্ অস্য = আয়ুষ্যম্ (আয়ুস্ + ত)।

১৫। তার ভাব ও কর্ম এই অর্থে। যেমন-

কুমারস্য ভাষা কর্ম বা = কৌমারম্ (কুমার + অণু) শিশোঃ ভাবঃ কর্ম বা = শৈশবম্ (শিশু + অণু)।

১৬। তার ভাব এই অর্থে শব্দের উত্তর ও ভদ্ প্রত্যয় হয়। তল প্রত্যয়ের 'ত' শব্দের সাথে জড়িত হয় এবং

তার উত্তর আপু (আ) প্রত্যয় হয়। যেমন- সাধোঃ ভাবঃ কর্ম বা = সাধুত্ব (সাধু + ত্ব)

সাধুতা (সাধু + ত + সূত্ৰীলিফো আপু)

Content added || updated By

কর্তৃবাচ্যে সংস্কৃত ধাতু ভিন প্রকার :- পরস্মৈপদী, আত্মনেপদী ও উত্তরপদী। কিন্তু বিভিন্ন উপসর্গযোগে এবং বিশেষ বিশেষ অর্থে পরস্মৈপদী ধাতুর আত্মনেশন, আত্মনেপদী ধাতুর পরস্মৈপন এবং উভয়পদী ধাতুর কেবল আত্মনেপদ বা পরস্মৈপদে প্রয়োগ হয়। জি— ধাতু পরপৈদী। কিন্তু 'বি' বা 'পরা' উপসর্গ যুক্ত হলে এর প্রয়োগ হয় কেবল আত্মনেপদে। যেমন- বিজয়তে মহারাজঃ শত্রুন পরাজয়। রম্ ধাতু আত্মনেপদী। কিন্তু 'বি' পূর্বক বা 'আ' পূর্বক রম্ ধাতু পরমপদী হয়। যেমন- পাপাৎ বিরমতি। রাজা প্রাসাদে আরমতি। বহু ধাতু উভয়পদী হলেও প্র— পূর্বক বহু ধাতুর পরস্মৈপদে প্রয়োগ হয়। যেমন- নদী প্রবহতি। আবার উভয়পদী 'কী' ধাতু যখন 'বি' উপসর্গ যুক্ত হয়, তখন কেবলমাত্র আত্মনেপদে এর প্রয়োগ হয়। যেমন বিক্রীণীতে সুরেশঃ। অবস্থান করা' অর্থে 'স্থা' ধাতু পরমৈপদী। কিন্তু মধ্যস্থতা নির্ণয় বোঝাতে আত্মনেপদে এর প্রয়োগ হয়। যেমন- দেবেশঃ তুমি ভিষ্ঠতে। -

(ক) পরমপদ বিধান

বিভিন্ন উপসর্গের যোগে এবং অর্থভেদে কতকগুলো আত্মনেপদী ও উভয়পদী ধাতু পরস্মৈপদী হয়। এভাবে ধাতুর পরস্মৈপদী হওয়ার নিয়মকে পরদৈ বিধান বলে।

প্রধানত নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে আত্মনেপদী বা উভয়পদী ধাতু পরস্মৈপদী হয় ।-

১। কৃ ধাতু উভয়পদী; কিন্তু অনু- পূর্বক ও পরা পূর্বক কৃ ধাতুর কেবল পরস্মৈপদ হয়। যেমন- শিশুর মাতরম্ অনুকরোতি শিশু মাতাকে অনুকরণ করছে। তস্য আবেদনং পরাকুর তার আবেদন

প্রত্যাখ্যান কর।

২। 'রম্' ধাতু আত্মনেপদী; কিন্তু 'বি', 'আ' ও 'পরি' পূর্বক 'রম্' ধাতুর পরস্মৈপদ হয়। যেমন – সজ্জনঃ পাপাৎ বিরমতি – সজ্জন পাপ থেকে বিরত হয়। অধুনা স গৃহে আরমতি এখন তিনি গৃহে আরাম করছেন। বালকঃ ক্রীড়ায়াম্ পরিরমতি - বালক খেলায় আনন্দ পায়।

৩। 'বহু' ধাতু উভয়পদী; কিন্তু এ পূর্বক বহু ধাতু পরস্বৈপদী হয়। যেমন- যমুনা প্রবহতি – যমুনা প্রবাহিত হচ্ছে।

(গ) আত্মনেপদ বিধান

বিভিন্ন উপসর্গের সংযোগে এবং অর্থভেদে কতগুলো পরস্মৈপদী ও উভয়পদী ধাতু আত্মনেপদী হয়। এভাবে

পরস্মৈপদী ও উভয়পদী ধাতুর আত্মনেপদী হওয়ার নিয়মকে আত্মনেশন বিধান বলে।

ধাতুর আত্মনেপদী হওয়ার প্রধান কতগুলো ক্ষেত্র

১। 'জি' ধাতু পরস্মৈপদী কিন্তু 'বি' ও 'পরা' পূর্বক 'জি' ধাতু আত্মনেপদী হয়। যেমন- বিজয়তাং মহারাজঃ - মহরাজ বিজয়ী হোন। বীরঃ শত্রুং পরাজয়তে - বীর শত্রুকে পরাজিত করেন।

২। স্থা ধাতু পরস্মৈপদী; কিন্তু সমৃ, অব, প্র ও বি পূর্বক স্থা' ধাতু আগুনেপদী পদ। যেমন- শিষ্যঃ গুরোর্বাক্যে সস্তিষ্ঠতে শিষ্য গুরুর বাক্য মেনে চলে। অলসঃ গৃহে অবতিষ্ঠতে অলস ব্যক্তি গৃহে অবস্থান করে। রামঃ গৃহাৎ প্রতিষ্ঠতে রাম গৃহ থেকে প্রস্থান করছে। পুত্রঃ পিতুঃ বিতিষ্ঠতে পুত্র পিতা থেকে বিচ্ছিন্নভাবে অবস্থান করছে।

৩। 'বদ' ধাতু পরস্পৈপদী; কিন্তু বিবাদ অর্থে বি- পূর্বক বদু ধাতু আত্মনেপদী হয়। যেমন - পরস্পরং বিবসন্তে - মূর্খেরা পরস্পর বিবাদ করে।

৪। 'রক্ষা' ভিন্ন অন্য অর্থে (ভোজন করা বা ভোগ করা অর্থে) ভুল ধাতু আত্মনেশনী হয়। যেমন- বালক অম্লং তুথরে- বালকটি ভাত খায়। ধনী সুখং তুষকে ধনী সুখ ভোগ করে। 'রক্ষা করা' অর্থে 'তুজ' ধাতু পরসৈম্পদী হয়। যেমন - রাজা মহীং ভুলরি রাজা পৃথিবী রক্ষা করেন । ৫। শারীরিক উত্থান ভিন্ন অন্য অর্থে অর্থাৎ 'চেষ্টা' অর্থে উৎ- পূর্বক 'স্থা' ধাতু আত্মনেপর্দী হয়। যেমন

মুক্তো যোগী উত্তিষ্ঠতে যোগী মুক্তির জন্য চেষ্টা করেন। শারীরিক উত্থান অর্থে উৎ পূর্বক 'স্থা' ধাতু পরমপদী হয়। যেমন- রাজা আসনাৎ উত্তিষ্ঠতি রাজা আসান থেকে উঠছেন।

৬। 'স্পা' অর্থাৎ যুদ্ধের জন্য আহবান বোঝালে আ- পূর্বক 'হেব'- ধাতু আত্মন্নেপদী হয়। যেমন— মল্লো

মল্লম আগাতে একজন কুস্তিগিয় আরেকজন কুস্তিগিরকে যুদ্ধের জন্য আহ্বান করছে। সাধারণভাবে 'আহ্বান' বোঝালে আ— পূর্বক 'হেৰ' ধাতু পরমপদী হয়। যেমন- স মামু আহতি -সে আমাকে ডাকছে।

৭। কর্তা যদি নিজে ফল লাভের জন্য ক্রিয়ার অনুষ্ঠান করেন, তবে উত্তরপদী ধাতুর আত্মনেশনে প্রয়োগ হয় এবং পরের জন্য যদি কাজ করেন, তবে পরপদে প্রয়োগ হয়। যেমন ব্রাহ্মণঃ ফজতে ব্রাহ্মণঃ নিজের কল্যাণের জন্য যজ্ঞ করেন। ব্রাহ্মণঃ যজতি – ব্রাহ্মণ অপরের কল্যাণের জন্য যা

করেন।

 

Content added By

কাউকে কোন কার্যে নিযুক্ত করাকে প্রেরণ বলে। প্রেরণ অর্থে ধাতুর উত্তর পিছ হয়। পিছ এর ই ধাতুর সাথে যুক্ত হয়। ফলে ধাতুটি নতুন রূপ পরিগ্রহ করে। 'গম' একটি ধাতু। এর সঙ্গে পিছ যুক্ত হয়ে ধাতুটি হয় 'গামি' (√গম্ +ই)। আবার 'পঠ একটি ধাতু। এর সঙ্গে পি যুক্ত হয়ে ধাতুটি হয় 'পঠি' (পঠ + ই)।

নিজ ধাতু উত্তরপদী। জিন্ত ক্রিয়ার ক্ষেত্রে একজন বস্তুত কাজ করে এবং অপর ব্যক্তি তাকে সেই কাজে প্রবৃত্ত করায়। যে অন্যকে কাজে প্রবর্তিত করে, সে প্রযোজক কর্তা, আর যে অন্যের প্রেরণায় কাজে প্রবৃত্ত হয়, সে প্রযোজ্য কর্তা, যেমন- মা ছেলেকে চাঁদ দেখাচ্ছেন- এই বাক্যে মায়ের প্রেরণায় পুত্র চাঁদ দেখার কার্যে প্রবর্তিত হচ্ছে। সুতরাং 'মা' প্রযোজক কর্তা এবং 'পুত্র' প্রযোজ্য কর্তা। প্রযোজ্য কর্তার অন্য নাম হেতুকর্তা। প্রযোজক কর্তায় প্রথমা ও প্রযোজ্য কর্তায় সাধারণত তৃতীয়া বিভক্তি হয়; যেমন- প্রভুর পাচকেন অনুং পাচয়তি -প্রভু পাচকের দ্বারা অম্ল পাক করাচ্ছেন। এখানে 'প্রভু' প্রযোজক কর্তা। তাই 'প্রভু' শব্দের সঙ্গে প্রথমা বিভক্তি হয়েছে। 'পাচক' প্রযোজ্য কর্তা। তাই 'পাচক' শব্দের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে তৃতীয়া বিভক্তি।

কতিপয় ণিজন্ত ধাতুরূপের আদর্শ

পিজন্ত ধাতুর রূপ

(লট এর প্রথম পুরুষের একবচন)

আনয়তি (খাওয়ায়)

কারয়তি (করার)

অনু (খাওয়া)

কৃ (করা)

আদি

কারি

আপি

গम (যাওয়া)

গময়তি (যাওয়ায়)

আপয়তি (জানায়)

পা (পান করা) লিখ (লেখা)

শী (শরণ করা)

শু (শ্রবণ করা)

হন (হত্যা করা)

পায়য়তি (পান করায়)

লেখয়তি (লেখায়)

শায়য়তি (শোয়ায়)

পাখি লেখি

শায়ি

তাবি

শ্রাবয়তি (শ্রবণ করায়)

ঘাতয়তি (হত্যা করায়)

কয়েকটি ধাতুর উত্তর পিচ যোগ করলে একাধিক রূপ হয় এবং তাদের অর্থের পার্থক্য থাকে; যেমন-

চলয়তি (কম্পিত করে)- বায়ুঃ বৃক্ষশাখাং চলয়তি-বায়ু বৃক্ষশাখা কম্পিত করে। চালয়তি (বিকৃত করে)- লোভঃ মতিং চালতি লোভ বুদ্ধি বিকৃত করে।

আপয়তি (হত্যা করে)- রাজা শত্রুং জপয়তি- রাজা শত্রুকে হত্যা করেন।

দূষয়তি(খারাপ করে)- বর্ষাঃ জলং দূষয়ন্তি – বর্ষা জল খারাপ করে।

দোষয়তি (চিত্তবিকার জন্মায়)-লোডঃ চিত্তং দোষয়তি-লোভ চিত্তবিকার জন্মায়।

নাটয়তি (নাচায়)- স হিংসান অপি নাটয়তি- সে হিংস্র জন্তুদেরও নাচায়। নাটয়তি (অভিনয় করে)- রাজা শরসস্থানং নাটয়তি- রাজা তীর নিক্ষেপের অভিনয় করেন।

ভায়য়তি (অন্য কিছুর সাহায্যে ভয় দেখায়) স বালকং দণ্ডেন ভারয়তি সে লাঠির সাহায্যে

বালকটিকে ভয় দেখায়।

ভীষয়তে/ভাপয়তে (নিজে ভয় দেখায়)- ব্যাঘ্রঃ তং তীয়তে ভাপয়তে ব্যাঘ্র তাকে ভয় দেখায়।

Content added By

নামপদের সঙ্গে বিভিন্ন প্রত্যয় যুক্ত হলে যে ধাতু গঠিত হয়, তাকে নামধাতু বলা হয়। দুঃখ + ক্য = দুঃখায়। এখানে 'দুঃখ' একটি শব্দ। এর সঙ্গে কাজ প্রত্যয় যুক্ত হয়ে 'দুঃখায় এই ধাতুটি গঠিত হয়েছে। সুতরাং 'দুঃখায়' একটি নামধাতু। এই ধাতুটির উত্তর বিভিন্ন ভিন্ন যুক্ত হয়ে ক্রিয়াপদ গঠিত হয়। যেমন- দুঃখায়তে, দুঃখায়েতে, দুঃখায়ন্তে ইত্যাদি। এখানে উল্লেখ্য যে কা (ক + য + অ + ২) প্রত্যয়ের 'খ' (+ অ) শব্দের সঙ্গে যুক্ত হয়, অবশিষ্টাংশ 'ইং' হয়।

শব্দের সঙ্গে কাচ্ প্রত্যয় যুক্ত হয়েও নামধাতু গঠিত হয় এবং এর স্বর দীর্ঘ হয়। যেমন- আত্মনঃ পুরম্ ইচ্ছতি

= পুত্রীয়তি (পুত্র + কাছ + ল ভি)। আত্মনঃ ধনম্ ইচ্ছতি = ধনীয়তি (ধন + কাচ্ + তি)। =

নামধাতুর সাধারণ কয়েকটি নিয়ম

১। পিপাসা অর্থে উদক (জল) শব্দের উত্তর কাচ্ প্রত্যয় হয় এবং উদক্ শব্দ স্থানে উপস্ হয়। যেমন- উদকং পাতুম ইচ্ছতি = উপন্যতি (উদক + কাচ্ + ল তি)।

২। আচরণ অর্থে কর্মবাচক ও অধিকরণবাচক উপমানের উত্তর কাছ হয়। যেমন- শিষ্যং পুত্রম্ ইব আচরতি = পুত্রীয়তি (পুত্র + কাচ্ + লট তি)। গৃহে ইব আচরতি = গৃহীয়তি (গৃহ + কাচ্ + লট্‌ তি)।

আচরণ অর্থে কর্তৃবাচক উপমানের উত্তর কাজ প্রত্যয় হয় এবং ধাতুর আত্মনেশন হয়। কাজ প্রত্যেয়ের 'য' শব্দের সঙ্গে যুক্ত হয় এবং অবশিষ্ট অংশ ইং হয়। কাং প্রভায় যুক্ত হলে শব্দের অন্তস্থিত ন- কার ও সূ-কারের লোপ হয়। যেমন- রাজা ইব আচরতি = রাজায়তে (রাজন্ + কা গই তে)। গুজ ইব আচরতি = ওজায়তে(ওজস্ + কাচ্ + ল তে)।

৪। ক্যং প্রতায় পরে থাকলে শব্দের অন্তস্থিত ক্রুসম্বর দীর্ঘ হয়। যেমন- পুত্রঃ ইব আচরডি = পুত্রায়তে (পুত্র + কাছ + লট্ তে)। শিষ্যা ইব আচরতি = শিষ্যায়তে (শিষ্য + ক + ল তে)। হংসা ইব আচরতি= হংসায়তে (হংস + কাচ্ + ল তে)।

৫। করা অর্থে শব্দ ও কলহ শব্দের উত্তর এবং অনুভব অর্থে সুখ ও দুঃখ শব্দের উত্তর কাজ প্রত্যয় হয়। যেমন শব্দং করোতি = শব্দায়তে (শব্দ + কাছ + ল তে)। কলহং করোতি = কলহায়তে (কলহ + কাঙ্ + লট্ তে)। সুখম্ অনুভবতি = সুখায়তে (সুখ + কাছ + ল তে)। দুঃখ অনুভবতি = দুখায়তে (দুঃখ + ক + লট্ তে)।

 

Content added By

কোকিল + টা (আ) কোকিলা নর্তক + ভীষু (ঈ) = শর্ত

উপরে দুটো উদাহরণ প্রদত্ত হয়েছে। প্রথম উদাহরণে 'কোকিল' একটি পুংলিঙ্গ শব্দ। এর সঙ্গে 'টাপ' প্রত্যয়যোগে 'কোকিলা' এই স্ত্রীলিঙ্গ শব্দটি গঠিত হয়েছে। দ্বিতীয় উদাহরণে 'নর্তক' এই পুত্রলিঙ্গ শব্দটির সঙ্গে 'ডী' প্রত্যয়যোগে 'নর্তকী' শব্দটি গঠন করা হয়েছে। এরূপ-

যেসব প্রত্যয় পুংলিঙ্গ শব্দের সাথে যুক্ত হয়ে স্ত্রীলিঙ্গ শব্দ গঠন করে, তাদেরকে স্ত্রী প্রতায় বলা হয়। টাপ দ্বীপ, ভী ডীন, ঊ, প্রকৃতি উল্লেখযোগ্য স্ত্রী প্রভায়। টাপ্‌ এর আ, দ্বীপ, স্ত্রী, ও জীনের 'ঈ' এবং উত্ত, এর উ পুংলিঙ্গ শব্দের সঙ্গে যুক্ত হয়ে স্ত্রীলিঙ্গ শব্দ গঠন করে। নিম্নে এদের ব্যবহার বিধি প্রদর্শন করা হচ্ছে।

টা (আ)

১। অঙ্গ প্রভৃতি শব্দ এবং অ-কারান্ত শব্দের উত্তর টা হয়। যেমন-

পুংলিঙ্গা

পুংলিঙ্গা

জ্যেষ্ঠ

মনোহর

জ্যেষ্ঠা

মনোহরা

কৃশ

চতুর

চতুরা

২। টা প্রতায় পরে থাকলে প্রত্যয়ের ক-কারের পূর্ববর্তী অ-কার স্থানে ই-কার হয়। যথা-

পুংলিঙ্গ

নায়ক

পুংলিঙ্গ

নায়িকা

পাচিকা

পাঠক

সাধক

পাচক

সম্পাদক

সম্পাদিকা

গায়িকা

পাঠিকা সাধিকা

১। অ-কারান্ত ও -কারান্ত শব্দের উত্তর সূরীলিঙ্গে ডীপ হয়। যেমন-

সী

রাজন

কর্তৃ

মানিন

নেতৃ

শুন

ি

মানিনী

মেধাবিন

ধাতৃ

মেধাবিনী

২। যজ্ঞফলের অংশভাগিনী হলে 'পতি' শব্দের 'ই' স্থানে ন এবং তারপর ডীপ প্রত্যয় হয়। যেমন- পতিঃ

৩। উ এবং বই যায়, এরূপ প্রত্যায়ান্ত শব্দের উত্তর স্ত্রীলিঙ্গো তী হয়। মতুপ, ভবভু, ঈশ্বসুন, প্রভৃতি

প্রত্যয়ের উ- কার এবং "শত্রু' প্রত্যয়ের ঋ-কার ইং যায়। যেমন-

মতুপ-

শ্রীমতী,

বুদ্ধিমত্

শ্রীমৎ জ্ঞাবন‍ জ্ঞানবর্তী,

গভবতী,

শুবতী লক্ষীয়সী

গতবহু গরীয়ান গরীয়সী,

৪। ভী প্রত্যয় হলে, ভ্লাদি ও দিবাদি গণীয় ধাতুর উত্তর যুক্ত শতৃ প্রত্যয়ে নৃ-এর আগম হয় এবং মৃ

পূর্ববর্তী ও-কারে মিলিত হয়। যেমন-

ভবৎ (তৃ + তৃ যাবৎ (ধাব্ + শত

ধাবন্তী

দীবাৎ (দিব্‌ + পতৃ)

দীবান্তী

পশাৎ (দৃশ + শতৃ)

১। জায়া অর্থে জাতিবাচক অ-কারান্ত শব্দের উত্তর স্ত্রীলিঙ্গো ভীযূ হয়। যেমন-

বৈশ্য বৈশ ২। ইন্দ্র, বরুণ, ভব, শর্ব, রুদ্র, মাতুল ও আচার্য শব্দের উত্তর স্ত্রীলিকো প্রথমে আনুক (আন) আগম হয় ও পরে ভী হয়। যেমন-

ইন্দ্ৰ ইন্দ্ৰানী (ইন্দ্ৰ + আ = ইন্দ্ৰান, ইন্দ্রান

বরুণ-বরুণানী (বরুণ + আ = বৰুণান, বৰুণান্ + ঈ) ভব-ভবানী (ভব + আ = ভবান, ভবান্ + ঈ) রুদ্র- রুদ্রানী (রুদ্র + আৰু = মাতুল মাতুলানী (মাতুল + আ = মাতুলান, মাতুলা আচার্য- আচার্যাণী (আচার্য + আন = আচার্যান, আচার্যান + ঈ)

01 মহত্ত্ব বোঝাতে হিম ও অরণ্য শব্দের উত্তর আনুক ও ভী হয়। যেমন-

হিম হিমানী (হিম + আ + 9) ৎ হিম

অরণ্য- অরণ্যানী (অরণ্য + আ + ঈ) মহৎ অরণ্য।

81 'খ' ইৎ যায় এরূপ প্রত্যয়াপ্ত শব্দ এবং গৌর প্রভৃতি শব্দের উত্তর স্ত্রীলিঙ্গে ভীষ হয়। যেমন-

য ইং প্রত্যয়ান্ত শব্দ-

গৌর

নট

মাতামহ

গৌরী

নটী

গৌৱাদি শব্দ-

নক

মাতামহী

৫। ভীষ যুক্ত হলে মৎস্য শব্দের য-কারের লোপ হয়। যেমন- মৎস্য-মসী।

দেবতা বোঝালে 'সূর্য' শব্দের উত্তর সত্রীলিঙ্গে আপ হয়। যেমন- সূর্যস্য ত্রী = দেবতা না বোঝালে ভী হয়। যেমন- সূর্যস্য স্ত্রী সুরী (কুষী)।

অধ্যাপিকা অর্থৈ 'আচার্য' শব্দের উত্তর টা হয়। যেমন- আচার্যা। ৮। লিপি অর্থে 'যবন' শব্দের উত্তর আনুক ও ভী হয়। যেমন- যবনানাং লিপিঃ = যবনানী (যবন +

আ + ঈ)। স্ত্রী অর্থে ভী হয়। যেমন- যখন ভী যবনী।

৯। স্থল, নীল, নাগ প্রভৃতি শব্দের উত্তর বিকল্পে তী ও টাপ হয় এবং পরস্পর অর্থের প্রভেদ ঘটে। যেমন-

স্থলী (স্থল + ভীষ) অকৃত্রিম ভূমি স্থলা (স্থল + টাপ) কৃত্রিম ভূমি ।

-কবরী (কবর + ভীষ) চুলে খোঁপা

- কবরা (কবর + টাপ) বিচিত্রা নাগী (নাগ) হস্তিনী

- মাগা (নাগ টা) সী

কাল

-কালী (কালী কৃষ্ণ ব - কালা (কাল + টা) ওষধিবিশেষ

- (+) ঙ, নীলগাছ - (+ টা) নীল রঙে রঞ্জিতা শাড়ি।

“উ প্রত্যয়”

'শ্বশুর' শব্দের উত্তর স্ত্রীলিঙ্গে উচু হয় এবং 'শ্বশুর' শব্দের উ-কার ও অ-কারের লোপ হয়। যেমন- শ্বশুর +উঙ্ - শশ্বশ্রু

Content added By

উপসর্গ শব্দটি উপ-পূর্বক সৃজ ধাতু ও প্রত্যয়যোগে গঠিত। সৃজ-ধাতুর অর্থ সৃষ্টি করা। সুতরাং উপসর্গ শব্দের ব্যুপত্তিগত অর্থ হল যা বিবিধ অর্থের সৃষ্টি করে। পাণিনি বলেন, “উপসর্গাঃ ক্রিয়াযোগে" -যে সমস্ত অব্যয়শব্দ ধাতুর সঙ্গে যুক্ত হয়ে ক্রিয়াপদ গঠন করে, তাদের উপসর্গ বলা হয়। যেমন- প্রভূ + প = প্রভবতি। বি- বর্মণ + প তি = বিনশ্যতি। সমৃ- √g + ল তি = সংহরতি (সম্ + হরতি

উপসর্গের কার্যাবলি উপসর্গ ধাতুর সঙ্গে যুক্ত হয়ে ধাতুর অর্থের পরিবর্তন সাধন করে। যেমন- ব্লু-ধাতুর অর্থ 'হরণ করা'। কিন্তু প্র-পূর্বক ভূ- ধাতুর অর্থ 'প্রহার করা'। গম্‌ ধাতুর অর্থ 'গমন করা'; কিন্তু অনু-পূর্বক গম্ - ধাতুর অর্থ 'অনুগমন করা। এ সম্পর্কে একটি কারিকা রয়েছে-

“উপসর্গেণ ধাতুর্থো বলাপনায় নীয়তে। প্রহাবাহার সংহার-বিহার পরিহারবঃ"

প্রহার, আহার, সংহার, বিহার ও পরিহার -এর মত উপসর্গ বলপূর্বক ধাতুর অর্থ অন্যত্র নিয়ে যায়।

উপসর্গ অনেক সময় ধাতুর অর্থের পরিবর্তন সাধন না করে ধাতুর অর্থে অনুগমন করে। যেমন- বসতি বাস করে। নিবসতি বাস করে। উপসর্গ কখনও কখনও ধাতুর অর্থকে বিশেষিত করে। যেমন- নমতি-নত হয়। প্রণমতি প্রকৃষ্টরূপে নত হয়। উপসর্গের এ সকল বৈশিষ্ট্য পর্যালোচনা করে বৈয়াকরণগণ একটি কারিকা প্রণয়ন করেছেন-

“ধাতুৰ্থং বাধতে কৃচিৎ কুচি মনুবর্ততে। তমের বিশিষ্টান্য উপসর্গগতিবিাঃ"

-কখনও কখনও উপসর্গ ধাতুর অর্থের পরিবর্তন সাধন করে এবং কখনও কখনও ধাতুর অর্থের অনুসরণ করে এবং কখনও বা ধাতুর অর্থকে বিশেষভাবে প্রকাশ করে।

উপসর্গের সংখ্যা। উপসর্গ ২০টি- প্র, উপ, অপ, অব, আ, পরা, বি, নি, সু, উৎ, অতি, প্রতি, পরি, অপি, অভি, অধি, অনু, নিঃ, দুঃ ও সমৃ

Content added By

অহং চন্দ্রং পশ্যামি।

ময়া চন্দ্রঃ দৃশ্যতে।

উপরের দুটো বাক্যের বক্তব্য বিষয় এক। কিন্তু বাক্য দুটোর প্রকাশভঙ্গি পৃথক। বাক্যের এরূপ বিভিন্ন প্রকাশ ভঙ্গিকে বাচ্য বলা হয়। সংস্কৃতে বাচা চার প্রকার-

২। কর্মবাচ্য

৩। ভাববাচ্য

৪। কর্মকর্তৃবাচ্য।

১। কর্তৃবাচ্য কর্তৃবাচ্য

বাক্যের যে রীতিতে কর্তার কথাই প্রধানভাবে বলা হয়, তাকে কর্তৃবাচ্য বলে। এই বাচ্যে কর্তৃকারকে প্রথমা বিভক্তি ও কর্মকারকে দ্বিতীয়া বিভক্তি হয় এবং ক্রিয়া কর্তার অধীন হয়, অর্থাৎ কর্তায় যে পুরুষ ও যে বচন হয়, ক্রিয়ায়ও সেই পুরুষ ও সেই বচন হয়ে থাকে।

নিচের শ্লোকটি মুখস্থ করলে কথাগুলো সহজে মনে থাকবে-

“লক্ষণং কর্তৃবাচ্যস্য প্রথমা কর্তৃকারকে।

দ্বিতীয়ান্তং ভবেৎ কর্ম কর্মাধীনং ক্রিয়াপদ।"

যেমন- পুরুষভেদে-

অহং চন্দ্রং পশ্যামি।

ত্বং চন্দ্রং পশ্যসি ।

বচনভেদে

স চন্দ্ৰং পশ্যতি। বালকঃ পুস্তকং পঠতি।

বালকৌ পুস্তকে পঠতঃ।

বালকাঃ পুস্তকানি পঠস্তি।

কর্মবাচ্য

বাক্যের যে রীতিতে কর্মের প্রাধান্য থাকে তাকে কর্মবাচ্য বলে। কর্মবাচ্যে কর্তায় তৃতীয়া ও কর্মে প্রথমা বিভক্তি হয় এবং কর্ম অনুসারে ক্রিয়াপদ গঠিত হয়। অর্থাৎ কর্ম যে

পুরুষ ও যে বচনের হয়, ক্রিয়াও সেই পুরুষ ও সেই বচনের হয়ে থাকে। এ বাচ্যে সকল ধাতুই আত্মন্নেপদী মনে রাখতে হবে-

"কর্মবাচ্যে প্রয়োগে তু তৃতীয়া কর্তৃকারকে। প্রথমাস্তং ভবেৎ কর্ম কর্মাধীনং ক্রিয়াপদঃ "

যেমন-

পুরুষভেদে

তেন অহং দৃশ্যে।

কেন ভূং দৃশ্যসে। ময়া বালকঃ দৃশ্যতে। ময়া বালকাঃ দৃশ্যন্তে। কর্মকর্তৃবাচ্য যে বাচ্যে কর্তার নিজগুণেই যেন আপনা থেকে কাজ হচ্ছে এরূপ বোঝায়, তাকে কর্মকর্তৃবাচ্য বলা হয় । এ বাচ্যে ক্রিয়াটি সকর্মক হলেও অকর্মকরূপে ব্যবহৃত হয়, ধাতু আত্মনেপদী হন এবং কর্মপদ কর্তৃপদে পরিণত হয়। এখানে বৃক্ষটি আপনা আপনিই ভেঙে যাচ্ছে এরূপ বোঝায়।

ময়া সদৃশ্যতে।

ময়া বালকৌ দৃশ্যেতে।

ভাববাচ্য

যে বাচো ক্রিয়ার প্রাধান্য থাকে তাকে ভাববাচ্য বলে। এই বাচো কর্তৃকারকে তৃতীয়া বিভক্তি হয়, কর্ম থাকে না এবং ক্রিয়াপদ প্রথম পুরুষ ও এক বচনান্ত হয়। কর্মবাচ্যের মত লট প্রভৃতি ভান বিভক্তিতে ধাতুর উত্তর

“হয়।

স্মরণ রাখতে হবে-

“ভাববাচ্যে কর্মাভাবস্তৃতীয়া কর্তৃকারকে।

প্রথম পুরুষাকবচনং স্যাৎ ক্রিয়াপদেঃ"

যেমন- শিশুনা শয্যতে।

বালকৈঃ হস্যতে।

যেমন- ভিসাতে বৃক্ষঃ।

অনুরূপ উদাহরণঃ

ছিলাতে বাম্ ।

পচাতে ওদনা

বাচ্য পরিবর্তন

বিলাতে হৃদয়গ্রস্থিঃ।

অর্থের পরিবর্তন না ঘটিয়ে এক বাচ্যের বাক্যকে অন্য বাচ্যে রূপান্তরিত করার নাম বাচ্য পরিবর্তন।

মনে রাখবে-

১। কর্তৃবাচ্যের বাক্যে যদি কর্ম থাকে, তবেই তাকে কর্মবাচ্যে রূপান্তরিত করা যায়। নতুবা কর্তৃবাচ্যকে ভাববাচ্যে পরিণত করা চলে।

২। কর্মবাচ্যে ও ভাববাচ্যের বাক্যকে কর্তৃবাচ্যে পরিণত করা যায় । ৩। ক্রিয়া সকর্মক হলেও যদি কর্ম না থাকে, তবে সেই বাক্যকে ভাববাচ্যে পরিণত করা চলে।

বাচ্য পরিবর্তনের সাধারণ নিয়ম

কর্তৃবাচ্য

১। কায় প্রথমা।

২। কর্তার বিশেষণে প্রথমা।

৩। কর্মে দ্বিতীয়া।

৪। কর্মের বিশেষণে দ্বিতীয়া । ৫। কর্তা অনুযায়ী ক্রিয়া।

কর্মবাচ্য

১। কর্তায় তৃতীয়া।

২। কর্তার বিশেষণে তৃতীয়া।

৩। কর্মে প্রথমা।

৪। কর্মের বিশেষণে প্রথমা।

৫। কর্ম অনুযায়ী কিনা।

সেই লোট প্রভৃতি চারটি বিষক্তিতে 'য' হয়। ধাতু আত্মনেশনী হয়।

ভাববাচ্য

১। কায় তৃতীয়া।

২। ক্রিয়া প্রথম পুরুষের একবচন, আত্মনোপনী এবং লট প্রভৃতি চার বিভক্তিতে 'য' হয়।

বাচ্য পরিবর্তনের আদর্শ

কর্তৃগাছাস চন্দ্ৰং পশ্যতি।

কর্মবাচ্য তেন চন্দ্ৰঃ দৃশ্যতে। কর্তৃবাচ্য [বৃদ্ধা ব্রাহ্মণা বেদং পঠতি।

কে কর্মবাচ্য) --- বুদ্ধেন ব্রাহ্মণেন লেদা পঠাতে।

কর্তৃবাচ্য ধর্মঃ রক্ষতি ধার্মিক।

কর্মবাচ্য ধর্মেণ ধার্মিকঃ রক্ষাতে।

কর্তৃবাচ্য—স মৃগং পশ্যতি।

কর্মবাচ্য)——- তেন মৃগঃ দৃশ্যতে।

কর্তৃবাচ্য তুং মৃগৌ পশ্যসি ।

কর্মবাচ্য ভুয়া মৃগৌ দৃশ্যেতে।

কর্তৃবাচ্য)—— অহং মৃগান পশ্যামি ।

কর্মবাচ্য ময়া মৃগাঃ দৃশ্যন্তে।

কর্তৃবাচ্য তে বনে তিষ্ঠন্তি

ভাববাচ্য তৈঃ বনে স্মীয়তে।

কর্তৃবাচ্য তুষ্টাঃ শিশবা হসন্তি।

ভাববাচ্য— তৃষ্টৈ। শিশুভিঃ হসাতে।

কর্তৃবাচা — অহং তিষ্ঠামি ।

ভাববাচ্য — ময়া স্বীয়তে।

Content added By

রামঃ শ্যামাৎ বলবত্তরা।

সিংহঃ পশু বলিষ্ঠ।

অমল বিমলাং কনীয়ান।

মদনঃ ভ্রাতৃ কনিষ্ঠঃ ।

উপরে প্রদত্ত বাক্যগুলো লক্ষ্য কর। প্রথম উদাহরণে রামের সঙ্গে শ্যামের তুলনায় রামের উৎকর্ষ এবং তৃতীয় উদাহরণে অমলের সঙ্গে বিমলের তুলনায় অমলের অপকর্ষ প্রকাশিত হয়েছে। দ্বিতীয় উদাহরণে পশুদের সঙ্গে সিংহের উৎকর্ষ এবং চতুর্থ উদাহরণে ভ্রাতাদের সঙ্গে তুলনায় মদনের অপকর্ম প্রকাশ পেয়েছে। এরূপ- কোন বিশেষণের দ্বারা দুখানের মধ্যে একের কিংবা বস্তুর মধ্যে একের উৎকর্ষ বা অপকর্ম প্রকাশ করাকে বিশেষণের অতিশায়ন বলা হয়। কেউ কেউ একে বিশেষণের তারতম্য বলে থাকেন।

দুজনের মধ্যে তুলনা বোঝালে বিশেষণের উত্তর "তরপূ" ও "জয়সুন' প্রত্যয় হয়। তরুণ প্রত্যয়ের "ভর" এবং

'ঈয়াসুন প্রত্যয়ের "ঈয়স' বিশেষণ পদের সঙ্গে যুক্ত হয়। যেমন- অ্যাম্ অনয়োঃ অতিশয়েন প্রিয়া প্রিয়তরা (প্রিয় + ভরপ)।

=

প্রেয়ান (প্রিয় + ঈয়স্ প্রেয়স্ প্রথমার একবচন)

বস্তুর মধ্যে তুলনা বোঝালে বিশেষণের উত্তর তম (তম) বা ইঠন (ইউ) প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন- অস্ত্র এখান

অতিশয়েন প্রিয়া = প্রিয়তমা (প্রিয় + তম)। শ্রেষ্ঠ (প্রিয় + হ)।

মনে রাখবে-

ঈয়াসুন ও ইন্ঠন প্রত্যয় যুক্ত হলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শব্দ নতুন রূপ ধারণ করে। যেমন-

দীর্ঘ

বিশেষণের অতিশায়নবোধক শব্দের তালিকা

বিশেষণ

ঈয়েসুন বা ভরণ

প্রত্যয়ান্ত শব্দ

অস্তিক (নিকট)

নেদীয়

অগ্নীয়স, অল্পতার

দ্রাঘিষ্ঠ

ইউ বা ত

প্রত্যয়ান্ত শব্দ

অমিষ্ঠ, অত

কৃশ

ক্ষিপ্ৰ (বেগবান)

রুশীয়স, কৃশতর ক্ষেপীয়স্, ক্ষিপ্রতার

ফোনীয়স্,ক্ষুদ্রতর

গতীয়, গুরুতর প্রতিয়স, দৃঢ়র

পটীয়স, পটুতর

পুরু

দৃঢ় (কঠিন)

পল্টু (দক্ষ)

প্রেয়স্, প্রিয়তর

শুধু (বৃহৎ স্থল) প্রশস্য (প্রশংসনীয়) শ্রেয়স, জ্যায়স্

প্রিয়

তুয়া, বহুতর

মহীয়, মহত্তর

মণীয়স, মৃদুতর

যধীয়স, কনীয়স্ দঘীয়স্, লঘুতর

বাঢ় (অধিক)

বুদ্ধ

বর্ষীয় জায়

ষ (, ক্ষুদ্র)

জসীয়স্

রুশিষ্ঠ, কৃশতম

ক্ষেপিষ্ঠ, ক্ষিপ্রতম

ক্ষোপিষ্ঠ, ক্ষুদ্রতম

গরিষ্ঠ গুরুতম

পটিষ্ঠ, পটুতম

প্রতিষ্ঠ

শ্রেষ্ঠ, জ্যেষ্ঠ

শ্রেষ্ঠ, প্রিয়তম

ভূষিষ্ঠ, বহুতম

বাহিত

মহিষ্ঠ, মহত্তম

শৰিষ্ঠ, কনিষ্ঠ

লঘিষ্ঠ তম

সাধিষ্ঠ

বর্ধিত, জ্যেষ্ঠ

Content added By

(ক) কারক

কৃ-ধাতু ও পক্ প্রভায়যোগে কারক শব্দটি নিষ্পন্ন। কৃ-ধাতুর অর্থ "করা"। সুতরাং কারক শব্দটির ব্যুৎপত্তিগত অর্থ 'যা ক্রিয়া নিম্পন্ন করে। রিয়া বা কার্য সম্পাদনের ব্যাপারে কোন না কোনভাবে সাহায্য করাই কারকের কাজ। সুতরাং বলা হয়, 'রিনাহয় কারকম"। ক্রিয়ার সঙ্গে যে যে পদের অক্ষয় বা সম্বন্ধ থাকে, তাদের কারক বলা হয়। যেমন- তীর্থক্ষেত্রে রাজা স্বহস্তেন কোষাৎ দরিদ্রায় ধনং যচ্ছতি (তীর্থক্ষেত্রে রাজা স্বহস্তে কোষাগার থেকে দরিদ্রকে ধন দান করছেন)।

কং যচ্ছতি (কে দিচ্ছেন ? -রাজা (কর্তৃকারক),

কিং যচ্ছতি (কি দিচ্ছেন? ধনম্ (কর্মকারক)...

কেন যচ্ছতি (কিসের দ্বারা দিচ্ছেন) হতেন (করণকারক),

কস্মৈ যচ্ছতি (কাকে দিচ্ছেন? দরিদ্রায় (সম্প্রদান কারক),

কস্মাৎ যচ্ছতি (কোথা থেকে দিচ্ছেন)? - কোথাৎ (অপাদান কারক),

কুত্র যচ্ছতি (কোথায় দিচ্ছেন)? - তীর্থক্ষেত্রে (অধিকরণকারক)।

এভাবে যচ্ছতি ক্রিয়াপদের সঙ্গে বাক্যস্থ অন্য সকল পদের সম্বন্ধ আছে। সুতরাং এরা প্রত্যেকেই কারক।

কারকের প্রকারভেদ

কারক ছয় প্রকার (ষট্ কারকাণি )- কর্তৃকারক, কর্মকারক, করণকারক, সম্প্রদানকারক, অপাদানকারক ও

অধিকরণ কারক।

১। কর্তৃকারক

"করোতি ইতি কর্তা" যে কোন কাজ করে সেই কর্তা । কর্তাকেই বলা হয় কর্তৃকারক। ক্রিয়া সম্পাদনের ব্যাপারে কর্তৃকারকের মুখ্য ভূমিকা থাকে। স্বতন্ত্রঃ কর্তা যে নিজে ক্রিয়া সম্পন্ন করে, তাকে কর্তৃকারক বলে। যেমন- শিশুঃ হসতি। মেঘঃ পদ্ধতি। ময়ূরাঃ নৃত্যন্তি ।

২। কর্মকারক

ক্রিয়া দ্বারা কর্তা যাকে বা যে বস্তুকে প্রধানভাবে পেতে চান, তাকে কর্মকারক বলে। সাধারণত ক্রিয়াপদকে 'কি' বা 'কাকে' দিয়ে প্রশ্ন করে যে উত্তর পাওয়া যায়, তাকে কর্মকারক বলা হয়। যেমন- অহং চন্দ্রং পশ্যামি -আমি চাঁদ দেখছি। যদি প্রশ্ন করা হয় 'কি দেখছি? তাহলে উত্তর হবে 'চাঁদ'। সুতরাং 'চন্দ্রং' কর্মকারক।

মাং জানাতি সে আমাকে জানে। যদি প্রশ্ন করা হয় কাকে জানে'? তাহলে উত্তর হবে আমাকে। সুতরাং,

'মা' কর্মকারক।

৩। করণকারক

হতেন গৃহাতি বালিকা। সা চক্ষুয়া পশ্যতি।

উপরে প্রদত্ত উদাহরণ দুটি লক্ষ্য কর। প্রথম উদাহরণে কর্তা 'বালিকা' গ্রহক্রিয়া সম্পন্ন করছে 'হস্তেন' (হাত দিয়ো)। দ্বিতীয় উদাহরণ ‘সঃ' এই কর্তা দর্শন ক্রিয়া সম্পাদন করছে 'চক্ষুষা' (চোখ দিয়ে)

এরূপভাবে

কর্তা যার সাহায্যে ক্রিয়া সম্পাদন করে, তাকে করণকারক বলা হয়।

৪। সম্প্রদানকারক

রাজা দরিদ্রায় ধনং দদাতি । মাতা ভিক্ষুকায় অনুং যচ্ছতি।

উপরের দুটি উদাহরণের মধ্যে প্রথম উদাহরণে রাজা 'দরিদ্রায় (দরিদ্রকে) স্বত্ব ত্যাগ করে ধন দান করছেন এবং মাতা 'ভিক্ষুকায়' স্বত্ত্ব ত্যাগ করে দান করছেন অম্ল । এরূপভাবে- যাকে স্বত্ব ত্যাগ করে কোন কিছু দান করা হয়, তাকে সম্প্রদানকারক বলে।

৫। অপাদান কারক

বৃক্ষাৎ পরাশি পতন্তি । জলাৎ উত্তিষ্ঠতি বালিকা।

উপরের প্রথম উদাহরণে 'বৃক্ষাৎ' (বৃক্ষ থেকে) পাতাগুলো পড়ছে, কিন্তু বৃক্ষ স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। দ্বিতীয় উদাহরণে বালিকা 'জলাৎ' (জল থেকে) উঠছে, কিন্তু জল স্থির হয়ে আছে। এরূপভাবে-

একটি বস্তু থেকে অন্য একটি বস্তু পৃথক হওয়ার পর যে বস্তুটি স্থির থাকে, তাকে অপাদান কারক বলে।

৬। অধিকরণ কারক

জলে মৎস্যার নিবসন্তি। বসন্তে কোকিলাঃ কুজন্তি। পাণিনিঃ ব্যাকরণে নিপুণঃ।

উপরে তিনটি উদাহরণ প্রদত্ত হয়েছে। প্রথম উদাহরণে 'মৎস্যাঃ' কর্তা এবং 'নিবসন্তি' ক্রিয়া। যদি প্রশ্ন করা হয় মৎস্যাঃ কুত্র নিবসন্তি' (মাছগুলো কোথায় বাস করে), তবে উত্তর হবে 'গে' দ্বিতীয় উদাহরণ 'কোকিলাঃ' কর্তা এবং 'কুতাঞ্জি' রিনা। যদি প্রশ্ন করা হয় 'কদা কোকিলাঃ কুন্তি' (কোকিলগুলো কখন কুজন করে), তাহলে উত্তর হবে 'বসন্তে'। তৃতীয় উদাহরণে যদি প্রশ্ন করা হয় পাণিনির কমিন বিষয়ে নিপুণঃ), (পাণিনি কোন বিষয়ে নিপুণ), তাহলে উত্তর পাওয়া যাবে 'ব্যাকরণে'। এরূপভাবে-

যে স্থানে, যে কালে ও যে বিষয়ে ক্রিয়া সম্পন্ন হয়, তাকে অধিকরণ কারক বলে।

(খ) বিভক্তি

বিভক্তি সাত প্রকার -প্রথমা, দ্বিতীয়া, তৃতীয়া, চতুর্থী, পঞ্চমী, ষষ্ঠ ও সপ্তমী।

নিম্নলিখিত স্থলে প্রথমা বিভক্তি হয়ঃ

১। যা ধাতুও নয়, প্রত্যয়ও নয়, অথচ যার অর্থ আছে, তাকে প্রাতিপদিকার্থ বলা হয়। প্রাতিপদিকার্থে

প্রথমা বিভক্তি হয়। যেমন- বৃক্ষা, পুষ্পম, লতা, পরম, ইত্যাদি।

২। কর্তৃবাচ্যে কর্তৃকারকে প্রথমা বিভক্তি হয়। যেমন- বালকঃ পঠতি। শিশুঃ রোদিতি ।

৩। কর্মবাচ্যে কর্মকারকে প্রথমা বিভক্তি হয়। যেমন- বালকেন চন্দ্রো দৃশ্যতে। ছাত্রেণ পুস্তকং পঠাতে।

৪। সম্বোধনে প্রথমা বিভক্তি হয়। যেমন- শুনু রে পাচ্ছ। তো রাজন! ৫। ইতি, নাম প্রভৃতি অব্যয় যোগে প্রথমা বিভক্তি হয়। যেমন- ত্বাং পণ্ডিত ইত্তি জানামি। দশরথো নাম

রাজা আসীৎ।

দ্বিতীয়া বিভক্তি

নিম্নলিখিত সালে দ্বিতীয়া বিভক্তি হয় :-

১। কর্মকারকে দ্বিতীয়া বিভক্তি হয়। যেমন- অহং রামায়ণং পঠামি। বালকঃ চন্দ্রং পশ্যতি। ২। ক্রিয়াবিশেষণে দ্বিতীয়া বিভক্তি হয়। যেমন- কোকিলা মধুরং কৃজতি। অশ্বঃ দ্রুতং ধাবতি ।

৩। অভান্ত সংযোগ অর্থাৎ ব্যাপ্তি বোঝালে কালবাচক ও পথবাচক শব্দের উত্তর দ্বিতীয়া বিভক্তি হয়। একে সংক্ষেপে বলা হয় ব্যাস্ত্যর্থে দ্বিতীয়া।

(ক) কালবাচক শব্দের উত্তর- সমাসং ব্যাকরণং পঠতি। ছাত্রো বর্ষং কাব্যম্ অধাতে।

(খ) পথবাচক শব্দের উত্তর- গিরিঃ ক্রোশ তিষ্ঠতি। যোজনং হিমালয়তিষ্ঠতি।

৪। উভয়তা, সর্বতঃ, ধিক, যাবৎ ও ঋতে শব্দের যোগে দ্বিতীয়া বিভক্তি হয়। যেমন- বিশ্বং সর্বতঃ ঈশ্বরঃ

বিরাজতে। ধিক্ দেশদ্রোহিণ। নদীং যাবৎ পন্থাঃ জ্ঞানং ঋতে সুখং নাস্তি। ৫। অভিতঃ, (সম্মুখে), পরিতঃ (চতুর্দিকে), সময়া (নিকটে), হা- (হায়) এবং প্রতি শব্দের যোগে দ্বিতীয়া বিভক্তি হয়। যেমন-বিদ্যালয়ম্ অভিত উদ্যানম্। গ্রামং পরিতঃ বনম্ অস্তি। ন সময় নদী

প্রবহতি। হা পাপিনম্। দীনং প্রতি কৃপাং কুরু। ৬। অনু, প্রতি প্রভৃতি কতগুলো অব্যয় স্বতন্ত্রভাবে বিভিন্ন অর্থে প্রযুক্ত হলে তাদের কর্মপ্রবচনীয় বলা হয়। কর্মপ্রবচনীয়যোগে দ্বিতীয়া বিভক্তি হয়। যেমন- জপম অনু প্রাবর্ষ। অনু হরিং সুরাঃ।

তৃতীয়া বিতরি

নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে তৃতীয়া বিভক্তির প্রয়োগ হয়ঃ-

১। অনুক্ত কর্তায় অর্থাৎ কর্মবাচ্যে ও ভাববাচ্যের কর্তায় এবং করণকারকে তৃতীয়া বিভক্তি হয়। যেমন-

(ক) কর্মবাচ্যের কর্তায় ৩য়া -বালকেন চন্দ্রো দৃশ্যতে।

(খ) ভাববাচ্যের কর্তায় ওয়া শিশুনা বুদ্যতে ।

(গ) করণকারকে ৩য়া -বয়ং চক্ষুষা পশ্যামঃ।

২। হেতু অর্থে হেতুবোধক শব্দে তৃতীয়া বিভক্তি হয়। যেমন- বিদ্যয়া যশো লভ্যতে। দুঃখেন রোদিতি বৃদ্ধা ।

৩। সহা (সহ, সাধন, সাকম্ ও সমম) শব্দের যোগে অপ্রধান শব্দের উত্তর তৃতীয়া বিভক্তি হয়। যেমন-

তেন সার্ফম অহং গমিষ্যামি। পিত্ৰা সময় পুত্রা গচ্ছতি। সহার্থ শব্দের অপ্রযোগেও তৃতীয়া বিভক্তি হয়। পিতা পুত্রেণ পদ্ধতি (পুত্রেণসহ গচ্ছতি এরূপ অর্থ)।

৪। জনার্থ (ঊন, হীন, শূন্য, রহিত), বারণার্থ (অলম্, কৃতম্ কিম) ও প্রয়োজনার্থ (প্রয়োজন, অর্থ, কার্য,

গুণ) শব্দের যোগে তৃতীয়া বিভক্তি হয়। যেমন- একেন উনা। বিদ্যয়া হীনা। অলং প্রদেশ। ধনেন

কি? বিবেকেন রহিতঃ।

৫। অপবর্গ অর্থাৎ ক্রিয়াসমাপ্তি ও ফলপ্রাপ্তি বোঝালে অর্থবাচক (পথবাচক) ও কালবাচক শব্দের উত্তর তৃতীয়া বিভক্তি হয়। যেমন- কোশেন কাবাং পরিতম্ (এক ক্রোশ পথ হেঁটে কাব্য পাঠ করে শেষ করেছে এবং কাব্যজ্ঞান লাভ করেছে)।

তেন মাসেন ব্যাকরণম্ অধীতম্ (সে একমাস ব্যাকরণ পড়ে শেষ করেছে এবং ব্যাকরণবিষয়ক জ্ঞান লাভ করেছে।

৬। যে অঙ্গের বিকারে অঙ্গীর বিকৃতি পরিলক্ষিত হয়, তাতে তৃতীয়া বিভক্তি হয়। যেমন- বালকঃ চক্ষুষা কাণঃ। স পালেন খঞ্জ

কেবল হানি হলেই অঙ্গবিকৃতি হয় না। আধিক্য বোঝাতেও অঙ্গবিকৃতি হয়। মুখেন ত্রিনয়ন। বপুষা

৭। যে লক্ষণ অর্থাৎ চিহ্ন দ্বারা কোন ব্যক্তি বা বস্তু সূচিত হয়, সেই লক্ষণবোধক শব্দের উত্তর তৃতীয়া বিভক্তি হয়। একে উপলক্ষণে তৃতীয়াও বলা হয়। যেমন- পুষবেন ছাত্রং জানামি। জটাভিঃ তাপসম্ অপশ্যম্।

চীব

31 সম্প্রদানকারকে চতুর্থ বিভক্তি হয়। যেমন- দরিদ্রায় ধনং দেহি। স ভিক্ষৰে ভিক্ষাং দদাতি । ২। তাদর্থ্য অর্থাৎ নিমিতার্থ বোঝাতে চতুর্থী বিভক্তি হয়। যেমন- কুচলায় হিরণাম। অশ্বায় খাসা।

৩। প্রকৃতির অন্যরূপ ভাবকে বলা হয় উৎপাত। উৎপাতের দ্বারা যার সূচনা হয় তাতে চতুর্থী বিভক্তি হয়। যেমন-

বাতায় কপিলা বিদ্যুৎ। বিদ্যুতের স্বাভাবিক রং লাল।

অতএব, বিদ্যুতের কপিল রং, প্রকৃতির অস্বাভাবিক ব্যাপার। সুতরাং এর দ্বারা সূচিত 'বাত' শব্দের উত্তর চতুর্থী বিভক্তি হয়েছে।

৪। হিত শব্দের যোগে যার হিত কামনা করা হয়, তার উত্তর চতুর্থী বিভক্তি হয়। যেমন- ব্রাহ্মণায় হিতম্। ভেষজং রোগিণে হিতম্। ৫। তুমুন প্রভায়ের অর্থে ভাববাচ্য নিষ্পন্ন শব্দ ব্যবহৃত হলে, তাতে চতুর্থী বিভক্তি হয়। যেমন- বিপ্রা

যাগায় (যটুং) যাতি। ব্রাহ্মণঃ পাকার (পরুম) যাতি। 'যটুম' এর পরিবর্তে ব্যবহৃত যাগ (জর (যজ) + ভাবে ঘ) শব্দের উত্তর এবং পম' -এর পরিবর্তে ব্যবহৃত পাক (জৱ (পছ) + ভাবে খ) শব্দের উত্তর চতুর্থী বিভক্তি হয়েছে।

৬। নমস্, স্বস্তি, স্বাহা স্বধা, অলম্ ও বষট্ শব্দের যোগে চতুর্থী বিভক্তি হয়। যেমন- দুর্গায়ৈ নমঃ। প্রজাত্যা বস্তি। অগ্নয়ে যাহা। পিতৃত্যঃ কথা। অলং (সমর্থঃ) মরো মল্লায়। ইন্দ্রায় বষট্।

দুষ্টব্য— অলম্ শব্দের সমার্থক শব্দের যোগেও চতুর্থী বিভক্তি হয়। যেমন- ভোজনায় শক্তঃ । বিবাদায়

পঞ্চমী বিভক্তি

নিম্নলিখিত সালে পঞ্চমী বিভক্তির যোগ হয় -

১ । অপাদান কারককে পঞ্চমী বিভক্তি হয়। যেমন- বৃক্ষাৎ পত্রং পততি। স গ্রামাৎ আয়াতি।

২। লাপ প্রত্যয়ান্ত ক্রিয়া উহ্য থাকলে তার কর্মে ও অধিকরণে পঞ্চমী বিভক্তি হয়। একে লাবর্থে বা খবৰ্থে পঞ্চমী বলে। যেমন- স শ্বশুরাৎ জিয়েতি (শ্বশুরং বীক্ষ্য জিয়েতি এরূপ অর্থ) স প্রাসাদাৎ নদীং পশ্যতি

(প্রাসাদ আৰুহ্য পশ্যতি এরূপ অর্থ)

৩। দুই বা বস্তুর মধ্যে একের উৎকর্ষ বোঝালে নিকৃষ্টের উত্তর পঞ্চমী বিভক্তি হয়। একে অপেক্ষার্থে পঞ্চমী বলে। যেমন- খনাৎ বিদ্যা গরীয়সী। জন্মভূমি বর্গাৎ অপি গরীয়সী।

৪। প্রভৃতি এবং বহিস শব্দযোগে পঞ্চমী বিভক্তি হয়। যেমন- শৈশবাৎ প্রভৃতি সেব্যো হরিঃ। স গ্রামাৎ বহিঃ গচ্ছতি।

৫। হেতু বোঝালে হেতুবোধক শব্দের উত্তর পঞ্চমী বিভক্তি হয়। যেমন- দুঃখাৎ রোদিতি বালা। শীতার কম্পতে বালকঃ।

ষষ্ঠী বিভক্তি

নিম্নলিখিত স্থলে ষষ্ঠী বিভক্তির ব্যবহার হয় -

১। কারক প্রভৃতির অর্থ ভিন্ন অবশিষ্ট সম্পন্ন অর্থে ষষ্ঠী বিভক্তি হয়। যেমন- মম গৃহ। বৃক্ষলা ছায়া। ২। কৃৎ প্রত্যয়ের যোগে কর্তায় ও কর্মে ষষ্ঠী বিভক্তি হয়। যেমন- কর্তায়ঃ- শিশোঃ শয়নম। সূর্যস্য উদয়ঃ । কর্মেঃ- দুখস্য পানম্ ।

৩। কর্তা ও কর্ম উভয়ের ষষ্ঠী বিভক্তি প্রাপ্তির সম্ভাবনা থাকলে সাধারণত কর্মে ষষ্ঠী বিভক্তি হয়। যেমন- পৰাং দোহঃ গোপেন । জলস্য শোষণং সূর্যেগ।

৪। 'মতিবুদ্ধিপূজার্থেভাশ্চ এই সূত্র অনুসারে বর্তমানকালে বিহিত 'ত্ব' প্রত্যয়ের যোগে কর্তার ষষ্ঠী বিভক্তি

হয়। যথা- সর্বেষাং বিদিত। রাজা সতাং পূজিতা। ৫। অধিকরণবাচো বিহিত 'ত্ব' প্রত্যয়ের যোগে কর্তায় ষষ্ঠী বিভক্তি হয়। যেমন- ইদম এবাং শয়িতম্ (শয্যতে অস্মিন্ ইতি শয়িত- শয্যা)। এবং এখাম্ অসিতম্ (আসাতে অস্মিন্ ইঞ্চি আসিত= আসন)।

৬। এন প্রভাষের প্রয়োগে ষষ্ঠী ও দ্বিতীয়া বিভক্তি হয়। যেমন- বৃক্ষবাটিকায়া বৃক্ষবাটিকাং বা দক্ষিণেন

(দক্ষিণ + এনপ) সরা

গ্রামস্য গ্রামং বা উত্তরেণ (উত্তর + এনপ) নদী বর্ততে।

নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে প্রধানত সপ্তমী বিভক্তি হয় -

১। অধিকরণে সপ্তমী বিভক্তি হয় যেমন গগনে চন্দ্রঃ উদেতি। জলে মৎস্যঃ নিবসস্তি।

২। ইন প্রভায়যুক্ত প্রত্যয়ের ফর্মে সপ্তমী বিভক্তি হয়। যেমন- অধীতী ব্যাকরণে। ৩। কর্মের সাথে নিমিত্তের যোগ থাকলে নিমিত্তবোধক শব্দের উত্তর সপ্তমী বিভক্তি হয়। যেমন- চর্মণি

দ্বীনি হস্তি। ৪। যখন কোন একটি ক্লিয়ার দ্বারা অন্য একটি ক্রিয়া নির্বাহিত হয়, তখন পূর্বঘটিত নিমিত্তবোধৰ ক্রিয়াটিতে সপ্তমী বিভক্তি হয়। একে ভাবে সপ্তমী বলে। যেমন- উদিতে সূর্যে উত্থিতঃ। রবো অস্ত্রমিতে স গৃহং গতঃ

৫। অনাদর বোঝালে যে ক্রিয়া দ্বারা ক্রিয়ার লক্ষিত হয় তাতে বিকল্পে ষষ্ঠী ও সপ্তমী বিভক্তি হয়। যেমন- - রূপতঃ পুত্রস্য বুদতি পুত্রে বা মাতা জগান।

৬। নির্ধারণ বোঝালে অর্থাৎ জাতি, গুণ, ক্রিয়া ও সংজ্ঞা এদের যে কোন একটির সমুদয় থেকে একের পৃথককরণ বোঝালে জাতি প্রভৃতিতে বিকল্পে যষ্ঠী ও সপ্তমী বিভক্তি হয়। যেমন- কবীনাং কবিষু কালিদাসঃ শ্রেষ্ঠ।।

Content added By