পঞ্চম শ্রেণি (প্রাথমিক) - বৌদ্ধধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা - NCTB BOOK

বৌদ্ধধর্মে পূজা ও দান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ পূজা ও দান দুটিই পুণ্যকর্ম, যা দিয়ে মনকে পবিত্র ও সংযত করা যায়। দানচিত্ত উৎপন্ন করতে পূজা ও দানের ভূমিকা অপরিসীম। তাই বৌদ্ধরা নিয়মিত পূজা ও দান করে থাকে। প্রথমে আমরা পূজার গুরুত্ব ও গুণসমূহ জানব।

বৌদ্ধরা প্রতিদিন সকাল-বিকাল বুদ্ধের উদ্দেশ্যে পূজা দিয়ে থাকে। এই পূজার মাধ্যমে দান চেতনা উৎপন্ন হয় এবং সৎকর্মে উৎসাহ বৃদ্ধি পায়। চিত্তে মৈত্রী, করুণা ও উদারতা জাগ্রত হয়। পূজা নানা ধরনের, যেমন: আহার পূজা, পুষ্প পূজা, পানীয় পূজা, প্রদীপ পূজা ও ধূপ পূজা প্রভৃতি ।

এতে তোমরা প্রদীপ পূজা ও ধূপ পূজা সম্পর্কে জানবে।

প্রদীপ পূজা

বৌদ্ধরা প্রতিদিন সন্ধ্যায় প্রদীপ পূজা করে থাকে। প্রদীপের আলো অন্ধকার দূর করে। অনুরূপভাবে বুদ্ধ জ্ঞানের আলো দ্বারা অবিদ্যা, অজ্ঞানতা, তৃষ্ণা, মনের কালিমা লোভ- দ্বেষ-মোহ প্রভৃতি দূর করেছিলেন। তা ছাড়া প্রদীপের আলো যেমন ক্ষণস্থায়ী, প্রদীপ পূজার মাধ্যমে আমরা জীবনের ক্ষণস্থায়িত্ব বা অনিত্যতা উপলব্ধি করতে পারি। অনিত্য ভাবনা দ্বারা লোভ-দ্বেষ-মোহ, তৃষ্ণা প্রভৃতি ক্ষয় হয়। অজ্ঞানতা দূর করে জ্ঞানালোকে আলোকিত হওয়ার জন্য বৌদ্ধরা প্রদীপ দিয়ে বুদ্ধকে পূজা করে থাকেন।

প্রদীপ পূজা বিহার বা প্যাগোডায় গিয়ে অথবা নিজ গৃহে করা যায়। আমরা জানি যে, কোনো পূজা দেওয়ার পূর্বে মন ও দেহকে পবিত্র করতে হয়। পরিচ্ছন্নতা দেহ ও মনের আনন্দ আনয়ন করে। মনের একাগ্রতা বৃদ্ধি করে।

প্রদীপ পূজার পূর্বে পবিত্র মনে বুদ্ধের ছবি বা বুদ্ধমূর্তির সামনে গিয়ে দাঁড়াতে হয়। তারপর প্রদীপ হাতে করজোড়ে হাঁটু ভেঙে বসে ত্রিরত্ন বন্দনা করতে হয়। এরপর পূজার গাথাটি বিশুদ্ধ মনে ধীরে ধীরে আবৃত্তি করতে হয়।

প্রদীপ পূজা গাথাটি নিম্নরূপ :

 

পালি

ঘনসারপ দিত্তেন দীপেন তমধংসিনা,

তিলোক দীপং সম্বুদ্ধং পূজযামি তমোনুদং।

বঙ্গানুবাদ

ঘনসার তৈলযুক্ত প্রদীপ অন্ধকার দূর করে। সে প্রদীপ দিয়ে ত্রিলোকের অজ্ঞানতা বিনাশকারী সেই সর্বজ্ঞ বুদ্ধকে পূজা করছি।

পদ্যাকারে প্রদীপ পূজা

অন্ধকার ধ্বংসকারী এ দীপ দানে 

পূজিতেছি পূজিতেছি বুদ্ধ ভগবানে ।

দীপের আলোক যথা অন্ধকার হরে, 

জ্ঞানের আলোক জ্বালিয়ে মোহ দূর করে।

এ সলিতা এ তৈল যবে ফুরাইবে, 

তখনি এ আলোকিত দীপ যাবে নিভে।

এরূপ তৃষ্ণা তৈল গেলে ফুরাইয়া,  

জীবনের দুঃখ শিখা যায় নিভিয়া ।

এ বন্দনা এ পূজা এ জ্ঞান প্রভায়, 

সব তৃষ্ণা, সর্ব দুঃখ ক্ষয় যেন পায় ৷

গাথা আবৃত্তির পর ভক্তি ও শ্রদ্ধা দিয়ে বুদ্ধকে প্রণাম করবে। এরপর সুন্দর করে দাঁড়িয়ে বুদ্ধের সম্মুখের আসনে প্রদীপ জ্বালাবে। প্রদীপ জ্বালানোর পর আবার দুই হাঁটু ভেঙে বুদ্ধকে প্রণাম জানাবে। বুদ্ধের গুণ অনুসরণ করবে। প্রদীপের আলোর ন্যায় জীবন গড়ার শপথ নেবে। অনিত্য ভাবনা করবে। ক্ষণস্থায়ী জীবনের কথা চিন্তা করবে।

 

ধূপ পূজা

সুগন্ধ ধূপ দিয়েই এই ধূপ পূজা করা হয়। ধূপের সুগন্ধ ও সুবাস যেমন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে, তেমনি আমাদের কুশল কর্মের সুবাস সর্বত্র বিরাজ করে। ধূপ পূজায় আমাদের হৃদয়ের সৎ চেতনা ও সৎ কর্মের ভাব জেগে ওঠে। এতে মন আনন্দে ভরে যায়।

সকাল-বিকাল দুই বেলা প্রার্থনার সময় ধূপ পূজা করা যায়। তবে ধূপ পূজার উত্তম সময় হলো সন্ধ্যাবেলা। ধূপ পূজার জন্য প্রয়োজন ধূপদানি অথবা ধূপকাঠি। ধূপদানিতে ধূপ রেখে অথবা ধূপকাঠি জ্বালিয়ে বুদ্ধকে পূজা করতে হয়। বুদ্ধের সামনের বেদিতে এ পূজা দিয়ে প্রথমে ত্রিরত্ন বন্দনা করতে হয়। তারপর ভক্তিচিত্তে ধূপ পূজার গাথাটি আবৃত্তি করতে হয়। একাগ্রচিত্তে গাথা আবৃত্তি না করলে চিত্তে প্রীতিভাব আসে না ।

ধূপ পূজা গাথাটি নিম্নরূপ :

পালি

গন্ধসম্ভার যুত্তেন ধূপেনাহং সুগন্ধিনা, 

পূজযে পূজনেয্যন্তং পূজা—ভাজন মুত্তমং।

বঙ্গানুবাদ

গন্ধসম্ভারযুক্ত এ সুগন্ধ ধূপের দ্বারা 

আমি সেই পূজাযোগ্য বুদ্ধকে পূজা করছি।

পদ্যাকারে ধূপ পূজা

গন্ধসম্ভারযুক্ত এ ধূপ দানে, 

পূজিতেছি ভক্তিচিত্তে বুদ্ধ ভগবানে।

ধূপের সুগন্ধে চারিদিক হয় সুবাসিত, 

পুণ্যের সঞ্চয় তেমনি হয় সুরভিত।

সুগন্ধি এ ধূপদানে তোমায় মোরা স্মরি, 

জন্ম-জন্মান্তরে যেন পুণ্য লাভ করি।

গাথা আবৃত্তি শেষে ভক্তিচিত্তে করজোড়ে বুদ্ধের উদ্দেশে প্রণাম করবে। বিহারে গিয়ে অথবা নিজ বাড়িতে ধূপ পূজা করা যায়। তোমরা নিজে পূজা দেবে এবং এ গাথাগুলো শ্রদ্ধার সাথে সুর করে আবৃত্তি করবে। এতে তোমাদের চিত্ত নির্মল হবে এবং বুদ্ধের প্রতি গভীর ভক্তি উৎপন্ন হবে।

দান

মানব জীবনে দানের গুরুত্ব অপরিসীম। ‘দান' শব্দের অর্থ হলো ত্যাগ। এই ত্যাগ হলো নিঃস্বার্থভাবে কাউকে কিছু দেওয়া বা দান করা। নিঃস্বার্থ ত্যাগই প্রকৃত দান। দানের দ্বারা মানুষের চিত্ত উদার হয়, ত্যাগশক্তি বৃদ্ধি পায়। দানের মাধ্যমে দুস্থ, অসহায়দের প্রতি সহানুভূতিশীল মনোভাব সৃষ্টি হয়। দানের দ্বারা মানুষের চিত্ত পরিশুদ্ধ হয় এবং লোভ, দ্বেষ, মোহ বিদূরিত হয়। শুধু তাই নয়, দান স্বর্গের সোপান স্বরূপ। দান মানুষের দুঃখ ত্রাণকারীও বটে। তাই ইহকাল ও পরকালে শান্তি সুখ লাভের আশায় মানুষ দান দিয়ে থাকে। দানীয় বস্তু বা দানীয় সামগ্রী নিয়ে পালিতে একটি গাথা আছে। যেমন-

পালি

অন্ন, পানং, বত্তং, যানং,

মালাগন্ধ, বিলেপনং,

সেয্যা, বসত, প্রদীপেয্যং

দানবথু ইমে দসা।

বঙ্গানুবাদ

অন্ন, জল, বস্ত্র, যান, মাল্য, গন্ধ আর বিলেপন, শয্যা, গৃহ, প্রদীপ – এই দশ প্রকার দানবস্তু শাস্ত্রের বচন ।

এ ছাড়াও নানা ফল-মূল, অর্থ-বিত্ত, জায়গা-জমি প্রভৃতি দান করা যায়। তবে বৌদ্ধ মতে সর্বোৎকৃষ্ট দান হলো ধর্ম দান ও বিদ্যা দান ৷

দানের পূর্বে দাতাকে তিনটি বিষয়ে সচেতন থাকতে হয়। যেমন :

১. দানীয় বস্তু সৎ উপায়ে অর্জিত হতে হবে। 

২. লোভ, দ্বেষ ও মোহশূন্য হয়ে উদারচিত্তে দান দিতে হবে। 

৩. সৎ পাত্রে দান দিতে হয়।

মানুষের মধ্যে শীলবান ব্যক্তিই শ্রেষ্ঠ। তাই শীলবান ব্যক্তিকে বা ভিক্ষু শ্রামণকে দান দিলেই বেশি পুণ্য লাভ হয় ৷

দান বিভিন্ন রকম। যেমন : সংঘদান, অষ্টপরিষ্কার দান, কঠিন চীবর দান ইত্যাদি।

 

অষ্টপরিষ্কার দান

বৌদ্ধধর্মে দান একটি অন্যতম পুণ্যকর্ম। এ দান অনেকখানি সংঘদানের মতো। বৌদ্ধরা নিজের কিংবা পরিবার-পরিজনের মঙ্গল কামনায় ও সুখ-শান্তি লাভের আশায় এ দান করে থাকে। এ দানে জ্ঞাতিগণেরও মঙ্গল হয়। দাতারও পুণ্য সঞ্চয় হয়।

অষ্টপরিষ্কার দান বলতে ভিক্ষুর ব্যবহার্য আটটি দ্রব্য সামগ্রীকে বোঝায়। এগুলো হলো- সংঘাটি, উত্তরাসংঘ, অন্তর্বাস, পিন্ডপাত্র, ক্ষুর, সূচ, সুতা, কটিবন্ধনী ও জলছাঁকুনি।

যেকোনো দায়ক ইচ্ছা করলে বছরের যেকোনো সময় এ দান একাধিকবার করতে পারে। ভিক্ষুসংঘের উদ্দেশ্যেই এ দান দেওয়া হয়। নিজ গৃহে অথবা বিহারে এই দান সম্পন্ন করা যায়। এ দান করতে কমপক্ষে পাঁচজন ভিক্ষুর প্রয়োজন হয়। বৌদ্ধ দায়ক-দায়িকারা ভিক্ষুসংঘকে নিমন্ত্রণ বা ফাং করেন ।

অষ্টপরিষ্কার দানের নিয়ম হলো ভিক্ষুদের উদ্দেশ্যে নানা দানীয় বস্তু সাজিয়ে ভিক্ষুসংঘের সামনে রাখতে হয়। তারপর পরিবারের সদস্য, স্বজন-পরিজন ও আমন্ত্রিত অতিথিরা সকলে ভিক্ষুসংঘের সামনে করজোড়ে বসেন। প্রথমে ত্রিরত্ন বন্দনা করে পঞ্চশীল গ্রহণ করতে হয়। এরপর ভিক্ষুদের মুখে মুখে অষ্টপরিষ্কার দানের গাথাটি তিনবার আবৃত্তি করতে হয়। গাথা আবৃত্তির সময় চিত্তকে প্রফুল্ল রাখতে হয়। দানের প্রতি মনোযোগ রাখতে হয়।

গাথাটি নিম্নরূপ :

ইমং ভিক্‌খং অট্ঠপরিক্খারং ভিসংঘস দেম ।

দুতিযম্পি ইমং ভিক্‌খং অট্ঠপরিক্খারং ভিসংঘস দেম।

ততিযম্পি ইমং ভিক্‌খং অট্ঠপরিক্খারং ভিক্ষুসংঘস দেম ।

বঙ্গানুবাদ

উপকরণসহ এ অষ্টপরিষ্কার দানীয় বস্তু ভিক্ষুসংঘকে দান করছি।

দ্বিতীয়বার উপকরণসহ এ অষ্টপরিষ্কার দানীয় বস্তু ভিক্ষুসংঘকে দান করছি।

তৃতীয়বার উপকরণসহ এ অষ্টপরিষ্কার দানীয় বস্তু ভিক্ষুসংঘকে দান করছি।

অষ্টপরিষ্কার দানের পূর্বে ভিক্ষুগণ জীবিত ও মৃত জ্ঞাতিগণের মঙ্গলের জন্য সূত্রপাঠ করেন। অষ্টপরিষ্কার দানের গুরুত্ব তুলে ধরে ধর্মদেশনা করেন। দেশনা শেষে উপস্থিত দায়ক-দায়িকারা সাধু সাধু সাধু বলে তিনবার সাধুবাদ প্রদান করেন। এভাবে অষ্টপরিষ্কার দানকার্য সম্পন্ন করা হয়। এ দানের দ্বারা দাতার অশুভ ও অমঙ্গল দূর হয়। এতে দাতার জ্ঞাতিগণও সুখী হন।

তোমরা সব সময় দান করার অভ্যাস গড়ে তুলবে। মানুষের আপদে-বিপদে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে। গরিব, দুঃখীকে সব সময় সাহায্য করার জন্য এগিয়ে যাবে। প্রতিবেশীদেরও সাহায্য করবে। তোমাদের শ্রেণিতে কোনো দরিদ্র বন্ধু থাকলে তাকে সাধ্যমতো সাহায্য করবে। তাকে খাতা কলম কিনে দেবে। প্রয়োজন হলে অর্থও দেবে।

তোমরা খাদ্যদ্রব্যও দান করবে। প্রতিবেশী বা দেশের যেকোনো দুর্যোগ, দৈব-দুর্বিপাকে দান দিতে এগিয়ে আসবে। সব সময় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে। এতে জনসেবা তথা মানবসেবা হবে।

যেকোনো ক্ষুধার্ত প্রাণীকে দান দেওয়া ভালো। ছোটবেলা থেকেই তোমরা দানের অভ্যাস গড়ে তুলবে। দানে ত্যাগশক্তি বাড়ে। দানের পুণ্য ফলে জীবন সুন্দর ও সুখময় হয়। মৃত্যুর পর সুগতি লাভ করা যায়।

Content added By

শূন্যস্থান পূরণ কর :

১. পৃথিবীর সবকিছুই ___ ।

২. সর্বতৃষ্ণা, ___ ক্ষয় যেন হয় ।

৩. ধূপের ___ মতো আমাদের কুশলকর্মের সুবাস যেন বিরাজ করে।

৪. পুণ্যের ___ তেমনি হয় সুরভিত।

৫. দানের গুরুত্ব মানব জীবনে ___ ।

৬. মানুষের মধ্যে ___ ব্যক্তিই শ্রেষ্ঠ ।

 

বাম পাশের বাক্যাংশের সাথে ডান পাশের বাক্যাংশের মিল কর :

বামডান

১. বৌদ্ধধর্মে পূজা 

২. সমাজ ও বিশ্বে জ্ঞানের 

৩. ঘনসার তৈলযুক্ত প্ৰদীপ 

৪. ধূপ পূজায় আমাদের হৃদয়ের সৎ চেতনা 

৫. অষ্টপরিষ্কার দান বলতে 

৬. সৎ পাত্রে দান

১. প্রদীপ ছড়াতে পারি । 

২. দেওয়াই উত্তম । 

৩. ও দান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । 

৪. ও সৎ কর্মের ভাব জেগে ওঠে। 

৫. অন্ধকার দূর করে। 

৬. ভিক্ষুসংঘকে প্রদত্ত নানা দ্রব্যসামগ্রীকে বোঝায় । 

৭. সুগতি লাভও করা যায় ৷

 

নিচের প্রশ্নের সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও :

১. দান শব্দের অর্থ কী? দান করলে কী হয় ? 

২. প্রদীপ পূজা করলে কী হয় ? 

৩. জীবন অনিত্য কেন ? 

৪. অষ্টপরিষ্কার দান করতে কয়জন ভিক্ষুর প্রয়োজন? ভিক্ষুরা সেখানে কী করেন? 

৫. দানের পূর্বে দাতাকে কী কী বিষয়ে সচেতন থাকতে হয়? 

৬. কাকে দান দিলে বেশি পুণ্য লাভ হয়?

 

নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

১. প্রদীপ পূজার মাহাত্ম্য বর্ণনা কর । 

২. পদ্যাকারে ধূপ পূজাটি লেখ । 

৩. অসহায়-দুস্থদের সাহায্য করা উচিত কেন বর্ণনা কর? 

৪. ধূপ পূজার পালি গাথাটি লেখ । 

৫. অষ্টপরিষ্কার দানের নিয়মাবলি বর্ণনা কর । 

৬. দানের সুফল তুলে ধর।

Content added By
আলোর প্রদীপ
ধ্যানের প্রদীপ
বিত্তের প্রদীপ
চিত্তের প্রদীপ
রাতের প্রদীপ
দিনের প্রদীপ
জ্ঞানের প্রদীপ
কামনার প্রদীপ
চিরস্থায়ী
অর্ধস্থায়ী
ঊর্ধ্বস্থায়ী
ক্ষণস্থায়ী
দায়ক-দায়িকাকে
শ্রমণদেরকে
ভিক্ষুসংঘকে
জ্ঞাতিগণকে