Academy

কুমিল্লার লালমাই থানার একটি গ্রাম দাপাড়। এ গ্রামের কৃষক রহিম মিয়া তের বছর বয়সী ফরিদাকে বিয়ে দিয়েছেন। এলাকার সমাজকর্মী অল্প বয়সে বিয়ে দেওয়াকে সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করেন এবং এ সমস্যা সমাধানে সমাজকর্মের  নিম্নরূপ ধাপটি অনুসরণ করেন- সমস্যা চিহ্নিতকরণ সচেতনতা সৃষ্টি আইন প্রণয়নে চাপ  প্রয়োগ আইন প্রণয়ন আইনের বাস্তবায়ন।

Created: 7 months ago | Updated: 4 months ago
Updated: 4 months ago
Ans :

পাত্র-পাত্রী বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার সময় কন্যাপক্ষ বরপক্ষকে বা বরপক্ষ কন্যাপক্ষকে ইচ্ছা বা অনিচ্ছাকৃতভাবে যে উপঢৌকন দিয়ে থাকে তাকে যৌতুক বলে। এখানে উপঢৌকন বলতে বাড়িঘর, জায়গা-জমি, নগদ অর্থ বা যেকোনো প্রকার আর্থিক সুবিধা ইত্যাদিকে বোঝানো হয়েছে।

7 months ago

সমাজকর্ম

**'Provide valuable content and get rewarded! 🏆✨**
Contribute high-quality content, help learners grow, and earn for your efforts! 💡💰'
Content

Related Question

View More

1 সামাজিক সমস্যা কাকে বলে? (জ্ঞানমূলক)

Created: 7 months ago | Updated: 4 months ago
Updated: 4 months ago

সামাজিক সমস্যা হলো এমন এক প্রতিকূল পরিস্থিতি যা সমাজের অধিকাংশ মানুষের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

উদ্দীপকে বাল্যবিবাহ নামক সামাজিক সমস্যা সমাধানে সমাজকর্মের অনুশীলন দেখানো হয়েছে।

বাল্যবিবাহ বলতে অপ্রাপ্তবয়স্কদের বিয়েকে বোঝানো হয়। বাংলাদেশে প্রচলিত আইন অনুযায়ী বিয়ের জন্য ছেলের বয়স কমপক্ষে ২১ বছর এবং মেয়ের বয়স ১৮ বছর হতে হবে। সে অনুযায়ী পাত্র বা পাত্রীর বয়স এর কম হলে তা বাল্যবিবাহ হিসেবে বিবেচিত হবে। বাল্যবিবাহ আমাদের দেশের অন্যতম সামাজিক সমস্যা। তবে এ সমস্যার কারণ চিহ্নিত করে জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি এবং প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে এ সমস্যা দূর করা সম্ভব।

উদ্দীপকে দেখা যায়, কুমিল্লার লালমাই থানায় দাপাড় গ্রামের কৃষক রহিম মিয়া মাত্র তের বছর বয়সে ফরিদাকে বিয়ে দিয়েছেন যা উপরের বর্ণনানুযায়ী বাল্যবিবাহের অন্তর্ভুক্ত। এক্ষেত্রে ঐ এলাকার একজন সমাজকর্মী অল্প বয়সে বিয়ে দেওয়াকে সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করে তা সমাধানের জন্য সমাজকর্মের পদ্ধতি অনুশীলন করেছেন। তাই বলা যায়, উদ্দীপকে বাল্যবিবাহের মতো সামাজিক সমস্যা সমাধানে সমাজকর্মের অনুশীলন দেখানো হয়েছে।

উদ্দীপকে উল্লিখিত সমাজকর্মের পদ্ধতি প্রয়োগ করে বাল্যবিবাহ ছাড়াও বাংলাদেশের অন্যান্য সামাজিক সমস্যা, যেমন- নারী ও শিশু নির্যাতন, যৌতুক, মাদকাসক্তি, কিশোর অপরাধের মতো সমস্যা সমাধান করা যায়।

বাংলাদেশে বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা বিদ্যমান। আমাদের সমাজে প্রতিনিয়ত নারী ও শিশুরা বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। বিয়ের সময় কন্যাপক্ষের কাছে যৌতুক দাবি করা হচ্ছে। আবার, শিশু-কিশোরদের বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়তে দেখা যায়। এছাড়া মাদকদ্রব্যের সহজলভ্যতা, সঙ্গদোষ, কৌতূহল, হতাশা প্রভৃতির কারণে যুবকবয়সীরা মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে। এসব সমস্যা সমাধানে সমাজকর্মের পদ্ধতি ও কৌশল কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। এক্ষেত্রে সমাজে বিদ্যমান সমস্যাগুলোর ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করতে হবে। এতে সমস্যাগুলো প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। এর পাশাপাশি সমস্যাগুলো দূর করতে সরকারকে প্রয়োজনীয় সামাজিক আইন প্রণয়নে চাপ প্রয়োগ করতে হবে। একইসাথে সরকার প্রণীত আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন করতে পারলে এ সমস্যাগুলো সমাধান করা সম্ভব হবে।

উদ্দীপকে দেখা যায়, কৃষক রহিম মিয়া মাত্র তের বছর বয়সে ফরিদাকে বিয়ে দিয়েছেন, যা ওপরের বর্ণনানুযায়ী বাল্যবিবাহের অন্তর্ভুক্ত। এক্ষেত্রে এলাকায় কর্মরত সমাজকর্মী সমস্যা সমাধানে সমাজকর্মের সমস্যা চিহ্নিতকরণ সচেতনতা সৃষ্টি আইন প্রণয়নে চাপ প্রয়োগ আইন প্রণয়ন আইনের বাস্তবায়ন পদ্ধতিটি অনুসরণ করেছেন। একইভাবে এ পদ্ধতি অনুসরণ করে সমাজে বিরাজমান বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করা সম্ভব।

উপরের আলোচনা থেকে তাই বলা যায়, বাংলাদেশের যৌতুক, নারী ও শিশু নির্যাতন, মাদকাসক্তি, কিশোর অপরাধ প্রভৃতিসহ বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করতে উদ্দীপকে বর্ণিত সমাজকর্মের পদ্ধতিটি প্রয়োগ করা যায়।

১৯৮৩ সালের নারী নির্যাতন আইন নারীদের সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করলেও এর অনেকগুলো সীমাবদ্ধতা রয়েছে। যেমন- নারীর মানসিক নির্যাতনের শাস্তি এ আইনে নেই। এছাড়া যৌতুক আদায়ের জন্য যে অপরাধ করা হয় তা প্রতিরোধে যে আইনি বিধান রাখা হয়েছে তা কঠোর কিন্তু যৌতুক লেনদেনের ব্যাপারে তেমন কোনো ব্যবস্থা রাখা হয়নি। এ আইনে নারী নির্যাতন প্রতিকারে শাস্তির বিধান করলেও বিবাহ ভাঙনজনিত পরিস্থিতিতে স্ত্রী ও সন্তানদের অধিকার এবং স্বার্থরক্ষার কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেই। তাছাড়া নির্যাতিত নারীসমাজের এক বিরাট অংশই এ আইনের আলো থেকে বঞ্চিত। এর কার্যকারিতার অভাবে দেশে নারী নির্যাতন ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

উদ্দীপকের জমিলা বাংলাদেশের সামাজিক কু-প্রথা বাল্যবিবাহের প্রতিচ্ছবি।

বাংলাদেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী বিবাহের সময় ছেলের বয়স কমপক্ষে ২১ আর মেয়ের বয়স ১৮ বছর হতে হবে। এক্ষেত্রে প্রাপ্তবয়স্ক অর্থাৎ ছেলের বয়স ২১ এবং মেয়ের বয়স ১৮ হওয়ার আগেই যদি একজন ছেলে ও মেয়ের মধ্যে বিবাহ সম্পন্ন হয় তাহলে তা বাল্যবিবাহ হিসেবে অভিহিত হবে। উদ্দীপকে জমিলার ক্ষেত্রেও তাই ঘটেছে।

উদ্দীপকের জমিলার বিয়ের সময় তার বয়স ছিল ১৩ বছর। অর্থাৎ জমিলার ১৮ বছর হওয়ার আগেই তিন সন্তানের জনক রফিকের সাথে তার বিয়ে হয় যা বাল্যবিবাহের অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং বলা যায়, উদ্দীপকের জমিলা বাল্যবিবাহের প্রতিচ্ছবি।

Promotion
NEW SATT AI এখন আপনাকে সাহায্য করতে পারে।

Are you sure to start over?

Loading...