বাংলা

All Written Question - (1883)

মূলভাব

মলাটবদ্ধ নির্জীব বিদ্যা মানুষ আত্মস্থ না করলে তা যেমন অর্থহীন, তদ্রপ সম্পদ নিজের করায়ত্তে না থাকলে তাও নিরর্থক।

সম্প্রসারিত ভাব

বিদ্যা ও ধন মানবজীবনের অতি প্রয়ােজনীয় অমূল্য সম্পদ। সাধনা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে মানুষকে এগুলাে অর্জন করতে হয়। বিদ্যা মানুষের অজ্ঞানতা দূর করে, শাশ্বত সুন্দরের পথ নির্দেশ করে, ব্যক্তিকে করে তােলে আত্মনির্ভরশীল, সংযমী ও আদর্শবান।। কিন্তু বিদ্যা যদি অর্জিত না হয়ে গ্রন্থের ভেতরেই মলাটবদ্ধ হয়ে নির্জীব পড়ে থাকে, তবে সে বিদ্যা মূলত বিদ্যাই নয়। অনুরূপভাবে নিজের অর্জিত ধন-সম্পদ যদি অন্যের কাছে রক্ষিত থাকে, তাহলে তাও সময় মতাে, প্রয়ােজন মতাে কাজে লাগানাে যায় না।

গ্রন্থের মধ্যে সঞ্জিত জ্ঞানকে আয়ত্ত করে, নিজের কল্যাণে নিয়ােগ করে জীবনকে সুন্দর ও গতিশীল করার পাশাপাশি সমাজ ও দেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধ করার কাজে ব্যবহার করতে পারাই হচ্ছে বিদ্যাচর্চার সার্থকতা। কেননা কঠিন পরিশ্রম ও ত্যাগ-তিতিক্ষার দ্বারা ধন-সম্পদ অর্জন করে নিজের কল্যাণ ও সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের কাজে না লাগাতে পারলে সে সম্পদ অর্জনের প্রয়ােজনীয়তাই বা কী? ইংরেজিতে একটি প্রবাদ আছে, “A bird in hand is worth two in the bush.” তাই গ্রন্থগত বিদ্যা আর পরের হাতে ধন রেখে তার গৌরবে গৌরবান্বিত হওয়া নিরর্থক। বিদ্যাকে গ্রন্থের মধ্যে সীমাবদ্ধ বলে মনে না করে বিদ্যানুশীলনের মাধ্যমে আমাদের আত্মমুক্তির পথ খুঁজতে হবে। মানুষের মঙ্গলার্থে অর্জিত বিদ্যা ও ধন-সম্পদের ব্যবহারে সমর্থ হতে হবে। 

মন্তব্য

গ্রন্থগত বিদ্যা এবং পরের হাতে রক্ষিত ধন অব্যবহৃত থাকে বলেই এগুলাে বিদ্যা বা ধন নয়। এগুলােকে নিজের সম্পদ হিসেবে অর্জন করার মধ্যেই সার্থকতা ও স্বকীয়তা বিদ্যমান।

11 months ago

1. বাংলাদেশের ইতিহাসে মুক্তিযুদ্ধ ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি ঘটনা।

2. তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান থেকে বর্তমান বাংলাদেশের মুক্তির লড়াইয়ে মুক্তিযুদ্ধ বলা হয়।

3. ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ বাঙালি শহীদ হয়।

4. ২৫ মার্চ কালো রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীরা নিরীহ ঘুমন্ত বাঙালির ওপর হামলা চালায়।

5. বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম নেতা ছিলেন হাজার বছরের নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

6. বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম স্লোগান ছিল জয় বাংলা’।

 

11 months ago

  আসমানের বিপরীত শব্দ হলো জমিন। এটি ফারসি ভাষার শব্দ 

2 months ago

অনুচ্ছেদে নুরুল হুদা টুপির প্রভাবকে বোঝাতে ‘টুপির তেজ’ শব্দটি ব্যবহার করেছে। নুরুল হুদার মধ্যে যে হীনমন্যতাবোধ কাজ করছিল রেইন কোটটি পরার পর তার আমূল পরিবর্তন ঘটে। মনের পরিবর্তন হেতু টুপির পানির স্বাদ নুরুল হুদার কছে পানসে মনে হয়, তিনি মনে করেন মুক্তিযোদ্ধার রেইনকোটের তেজের কারণেই সম্ভবত পানির স্বাদ বদলে গেছে। গল্পে টুপির তেজ শব্দটির একটা প্রতীকী তাৎপর্য আছে সেদিকটা এখানে ব্যঞ্জনা পেয়েছে। মূলত মুক্তিযোদ্ধাদের যে সাহস তারই ব্যাঞ্জনাময় প্রকাশ ঘটেছে।

10 months ago

গল্পে একজন সাধারণ ভীতু মানুষ হিসেবে নুরুল হুদাকে আমরা দেখতে পাই। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা শ্যালকের রেইনকোটটি পরার পর থেকে তার ভেতর ইতিবাচক পরিবর্তন আসে। ভীতু নুরুল হুদার ভেতর পাকিস্তানি বাহিনীর বর্বর নিপীড়ন ও হত্যাযজ্ঞের জন্য তাদের প্রতি ঘৃণাবোধ কাজ করছিল তা উল্লিখিত শব্দচয়নে স্পষ্ট বোঝা যায়। সুতরাং বলা যায় গুষ্টি সুরত, শব্দদ্বয় পাকস্তিানিদের প্রতি নুরুল হুদার যে ক্ষোভ- ঘৃণা জন্মেছিল তারই বহিঃপ্রকাশ।

10 months ago

মুক্তিযোদ্ধা শ্যালকের রেইনকোট গায়ে দিয়ে সাধারণ ভীতু প্রকৃতির নুরুল হুদার মধ্যে সঞ্চারিত হয়েছে উষ্ণতা সাহস ও দেশপ্রেম। তাই রেইনকোটটা রেখে যাওয়ার জন্য মিন্টুর প্রতি সে মনে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে। দেশের প্রতি প্রত্যেকটা মানুষের অত্যন্ত আবেগ ও ভালোবাসা থাকে। নানান কারণে সব সময় এই ভালোবাসা দৃশ্যমান হয়না। নুরুল হুদাও সংসারের টানাপোড়নে নীরব থাকতে চেয়েছে কিন্তু ঐ সময়ে নীড় তথা মা ও মাটির প্রতি যে ভালোবাসা এটাকে তিনি লুকিয়ে রাখতে পারেন নি। রেইনকোটটি তাকে শক্তি ও সাহস জুগিয়েছে। ক্রমশ তিনি ভয়কে জয় করে সাহসের সাথে পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছেন।

10 months ago

অনুচ্ছেদটিতে রেইনকোট সাহস ও দেশ প্রেমের প্রতীক হয়ে উঠেছে। মুক্তিযোদ্ধা শ্যালকের রেইনকোট গায়ে দিয়ে সাধারণ ভীতু প্রকৃতির নুরুল হুদার মধ্যে সঞ্চারিত হয় সাহস ও দেশপ্রেম। একজন মুক্তিযোদ্ধার রেইনকোট হিসেবে প্রর প্রতীকি তাৎপর্য অসাধারণ।

10 months ago

জীবন ও বৃক্ষ প্রবন্ধে মানুষের দৈহিক বৃদ্ধির পাশাপাশি আত্মিক বিকাশের উপর জোর দিতে প্রাবন্ধিক উল্লেখিত শব্দটি ব্যবহার করেছেন। দৈহিক বৃদ্ধির পাশাপাশি মানুষকে তার আত্মার বিকাশ ঘটাতে হয়। না হলে সে অসম্পূর্ণ থেকে যায়। আর মানুষের বৃদ্ধির উপর তার নিজের হাত রয়েছে। মানুষকে ‘আত্মা’ তৈরী করে নিতে হয়। প্রাবন্ধিকের দৃষ্টিতে সুখ-দুঃখ-বেদনা উপলব্ধির ফলে অন্তরের যে পরিপক্কতা আসে তাই আত্মা। জীবনের নানান অভিজ্ঞতা যেমন- প্রেম ও গভীর অনুভুতির দ্বারা আত্মার পরিপুষ্টি ও মাধুর্য সম্পাদন করতে পারে। আর এর মাধ্যমে মানুষ দৈহিক বৃদ্ধির পাশাপাশি আত্মারও বিকাশ ঘটাতে পারে।

10 months ago