শারীরিক শিক্ষা

All Written Question - (1)

আজকের শিশু আমাদের ভবিষ্যৎ, তারাই হবে দেশ গড়ার কারিগর। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সঠিকভাবে বেড়ে উঠতে যেমন প্রয়োজন শারীরিক সুস্থতা, তেমনই প্রয়োজন মানসিক সুস্থতা ।

গবেষকদের মতে, জন্মের পর থেকেই শিশুর শরীরের বৃদ্ধি আর মনের বিকাশ ঘটতে থাকে। বিভিন্ন অঙ্গ-প্রতঙ্গের পরিবর্তন ও আকৃতি সুগঠিত হতে থাকে। অন্যদিকে জ্ঞান, বুদ্ধি, মেধা, আবেগ ও অন্যের সঙ্গে মেলামেশা করার দক্ষতা অর্জিত হয় ৷ প্রতিদিন খেলাধুলার মাধ্যমে আস্তে আস্তে শিশুর শরীর, হাড় ও মাসল শক্তিশালী হয়। তারা দ্রুত বেড়ে উঠে। নিয়মিত মাঠে খেলাধুলা শিশুদের উদ্দীপনা, কর্মক্ষমতা ও সহনশীলতা বৃদ্ধি করে, হার ও জিতকে সহজে মেনে নিতে সাহায্য করে। তাই শিশুর জন্য মাঠে খেলার ব্যবস্থা করতে হবে। অবসর সময়ে পরিবারের সবাই মিলে টিম হয়েও শিশুর সঙ্গে বাইরে বা বাড়িতেই খেলাধুলা করতে পারেন। পাশাপাশি ছবি আঁকা, সঙ্গীতচর্চাসহ বিভিন্ন সৃজনশীল কাজেও শিশুকে উদ্বুদ্ধ করুন ৷ 

খোলা প্রান্তর বা মাঠের সঙ্গে দুরন্ত এক শৈশবের সম্পর্ক রয়েছে। মাঠ শিশু-কিশোরদের বিনোদনের একটি বড় অনুষঙ্গ। আজকের শহরে বড় হওয়া ছেলেমেয়েরা জানেই না খোলা মাঠে দৌড়ঝাঁপের মজাটা কী। মাঠ মানেই খোলা আকাশের সঙ্গে পরিচিত হওয়া। মাঠ মানেই অনেক শিশু-কিশোরের সঙ্গে মেলামেশা, যা পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়ার মাধ্যমে শিশুর মনোজগৎ বিস্তৃত হতে সাহায্য করে। প্রতিদিন খেলাধুলার মাধ্যমে আস্তে আস্তে শিশুর শরীর, হাড় ও মাসল শক্তিশালী হয়। তারা দ্রুত বেড়ে ওঠে। নিয়মিত মাঠে খেলাধুলা শিশুদের উদ্দীপনা, কর্মক্ষমতা ও সহনশীলতা বৃদ্ধি করে। শারীরিক শক্তি ও মানসিক চিন্তা-চেতনা, বুদ্ধিমত্তা বিকাশের অন্যতম মাধ্যম হল খেলাধুলা। খেলাধুলাই একমাত্র সুস্থ শরীর গঠন, সঠিক ব্যক্তিত্ব বিকাশ ও মানসিক বিকাশে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে ।

9 months ago