আব্বা-আম্মা আমাদের সবচেয়ে আপনজন। তাঁরা আমাদের জন্য অনেক কষ্ট করেন। স্নেহ-মমতা ও দরদ দিয়ে লালন-পালন করেন। না খেয়ে আমাদের খাওয়ান। আমাদের অসুখ-বিসুখ হলে তাঁরা সেবাযত্ন করেন। সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। আমাদের সুখে তারা সুখী হন। আনন্দ পান। আমাদের কষ্টে কষ্ট পান। দুঃখ পান। তারা সবসময় আমাদের কল্যাণ কামনা করেন। দোয়া করেন ।
সবসময় আব্বা-আম্মার সাথে ভালো ব্যবহার করা আমাদের কর্তব্য। আমরা তাঁদের সম্মান করব। শ্রদ্ধা করব। তাঁদের সাথে রাগারাগি করব না। ঝগড়া-বিবাদ করব না । কর্কশ ভাষায় কথা বলব না। তাঁদের মনে কষ্ট দেব না। সব সময় হাসিমুখে কথা বলব। বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় আব্বা-আম্মাকে সালাম দিয়ে বের হব। আবার বাড়িতে ফিরে আসলে আব্বা-আম্মাকে সালাম জানাব। সুন্দর সুন্দর কথা বলব ।
আল্লাহ তায়ালা বলেন, “ (কুল লাহুমা ক্বাওলান কারীমা)।”“
অর্থ : তুমি আব্বা-আম্মার সাথে সুন্দর সুন্দর কথা বল ।
তাঁদের ভালো খাওয়া-পরার ব্যবস্থা করব। তাঁদের অসুখ হলে সেবাযত্ন করব। তাঁদের আদেশ-নিষেধ মেনে চলব। তাঁরা বুড়ো হয়ে গেলে তাঁদের সাথে খুব ভালো ব্যবহার করব। তাঁদের কাজে ও চলাফেরায় সাহায্য করব।
আল্লাহ বলেন," (ওয়াবিল ওয়ালিদাইনি ইহসানা ) ।”
অর্থ: আব্বা-আম্মার সাথে উত্তম ব্যবহার করো।
আব্বা-আম্মার মৃত্যুর পর তাঁদের প্রতি আমাদের অনেক কর্তব্য রয়েছে। আব্বা-আম্মার জিম্মায় যদি কোনো ঋণ থাকে তা পরিশোধ করব। দান-খয়রাত এবং নফল ইবাদত করে তাঁদের আত্মার মাগফেরাত চাইব। মঙ্গল কামনা করব। আমরা সবসময় আব্বা-আম্মার জন্য দোয়া করব—
(রাব্বির হামহুমা কামা রাব্বাইয়ানী সাগীরা ) ।
অর্থ : হে আমার প্রতিপালক, আমার আব্বা-আম্মা আমাকে ছোটবেলায় যেমনি সেবাযত্নে লালন-পালন করেছেন, আপনি তাঁদের প্রতি তেমনি দয়া করুন।
মহানবি (স) বলেছেন, “মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের জান্নাত।”
আমরা সর্বদা-
আব্বা-আম্মার কথা শুনব ও মানব ।
তাঁদের শ্রদ্ধা করব, সম্মান করব।
তাঁদের অবাধ্য হব না ৷
তাঁদের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করব।
পরিকল্পিত কাজ: কী কী উপায়ে আব্বা-আম্মার সম্মান করা যায়, শিক্ষার্থীরা তার একটি তালিকা তৈরি করবে। |
আরও দেখুন...