On This Page

খাদ্য

- সাধারণ বিজ্ঞান - জীব বিজ্ঞান | NCTB BOOK

খাদ্য ও পুষ্টি

Food & Nutrition

খাদ্য (Food)

যে সকল দ্রব্য গ্রহন করলে শরীরের ক্ষয়পূরণ, বৃদ্দিসাধন, তাপ উৎপাদন,রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্দি পায় তাকেই খাদ্য বলে। খাদ্য শরীরে শক্তি জোগায়। আমাদের দেশে একজন পূর্ণ বয়ষ্ক মানুষের গড়ে দৈনিক ২৫০০ ক্যালরি শক্তি জোগায়। খাদ্য অনেকগুলো রাসায়নিক উপাদানের সমম্বয়ে গঠিত। এ রাসায়নিক উপাদানগুলোকে খাদ্য উপাদান বলা হয়। কেবল একটি উপাদান নিয়ে গঠিত এমন খাদ্যবস্তর সংখ্যা খুবই কম। উপাদান অনুযায়ী খাদ্য বস্তকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যথা-

 

১) শর্করা বা শ্বেতসার-শক্তি উৎপাদন করে।

২) আমিষ বা প্রোটিন-ক্ষয়পূরণ, বৃদ্ধিসাধন ও দেহ গঠন করে।

৩) চর্বি বা স্নেহ-তাপ ও শক্তি উৎপাদন করে।

 

এছাড়া তিন প্রকার অন্যান্য উপাদান বিশেষ প্রয়োজন। যথা-

১) ভিটামিন বা খাদ্যপ্রাণ -রোগ প্রতিরোধ, শক্তি বৃদ্দি, জৈব রাসায়নিক বিক্রিয়ায় উদ্দীপনা যোগায়।

২) খনিজ লবণ-বিভিন্ন জৈবিক প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়।

৩) পানি-দেহে পানির সমতা রক্ষা করে, কোষের গুণাবলি নিয়ন্ত্রণ করে এবং কোষ অঙ্গাণুসমূহকে ধারণ ও তাপের সমতা রক্ষা করে।

 

সতর্কতা: খাদ্য তিন প্রকার। খাদ্য উপাদান ছয় প্রকার।

 

দুধ (Milk): দুধকে মোটামুটিভাবে একটি সম্পূর্ণ খাদ্য বলা যায়। প্রতি ১০০ গ্রাম দুধে ৫.২৬ গ্রাম শর্করা, ৩.২৫ গ্রাম চর্বি, ৩.২২ গ্রাম আমিষ, প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন (এ, বি১, বি২, বি১২,ডি), খনিজ লবণ (ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম এবং সোডিয়াম) এবং ৮৮.৩২ গ্রাম পানি থাকে। দুধের শর্করাকে বলা হয় ল্যাকটোজ (এক ধরনের ডাইস্যাকারাড)। দুধের আমিষের নাম কেসিন। কেসিনের জন্য দুধের রঙ সাদা হয়।

 

Content added By
অনিদ্রা দূর করে
মানসিক চাপ দূর করে
উষ্ণ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে
এটি একটি প্রাকৃতিক প্রতিবিধান

আরও দেখুন...

Promotion

Promotion