দশমঃ পাঠঃ নামধাতু

নবম-দশম শ্রেণি (মাধ্যমিক) - সংস্কৃত - তৃতীয় ভাগঃ তৃতীয়ঃ | NCTB BOOK

নামপদের সঙ্গে বিভিন্ন প্রত্যয় যুক্ত হলে যে ধাতু গঠিত হয়, তাকে নামধাতু বলা হয়। দুঃখ + ক্য = দুঃখায়। এখানে 'দুঃখ' একটি শব্দ। এর সঙ্গে কাজ প্রত্যয় যুক্ত হয়ে 'দুঃখায় এই ধাতুটি গঠিত হয়েছে। সুতরাং 'দুঃখায়' একটি নামধাতু। এই ধাতুটির উত্তর বিভিন্ন ভিন্ন যুক্ত হয়ে ক্রিয়াপদ গঠিত হয়। যেমন- দুঃখায়তে, দুঃখায়েতে, দুঃখায়ন্তে ইত্যাদি। এখানে উল্লেখ্য যে কা (ক + য + অ + ২) প্রত্যয়ের 'খ' (+ অ) শব্দের সঙ্গে যুক্ত হয়, অবশিষ্টাংশ 'ইং' হয়।

শব্দের সঙ্গে কাচ্ প্রত্যয় যুক্ত হয়েও নামধাতু গঠিত হয় এবং এর স্বর দীর্ঘ হয়। যেমন- আত্মনঃ পুরম্ ইচ্ছতি

= পুত্রীয়তি (পুত্র + কাছ + ল ভি)। আত্মনঃ ধনম্ ইচ্ছতি = ধনীয়তি (ধন + কাচ্ + তি)। =

নামধাতুর সাধারণ কয়েকটি নিয়ম

১। পিপাসা অর্থে উদক (জল) শব্দের উত্তর কাচ্ প্রত্যয় হয় এবং উদক্ শব্দ স্থানে উপস্ হয়। যেমন- উদকং পাতুম ইচ্ছতি = উপন্যতি (উদক + কাচ্ + ল তি)।

২। আচরণ অর্থে কর্মবাচক ও অধিকরণবাচক উপমানের উত্তর কাছ হয়। যেমন- শিষ্যং পুত্রম্ ইব আচরতি = পুত্রীয়তি (পুত্র + কাচ্ + লট তি)। গৃহে ইব আচরতি = গৃহীয়তি (গৃহ + কাচ্ + লট্‌ তি)।

আচরণ অর্থে কর্তৃবাচক উপমানের উত্তর কাজ প্রত্যয় হয় এবং ধাতুর আত্মনেশন হয়। কাজ প্রত্যেয়ের 'য' শব্দের সঙ্গে যুক্ত হয় এবং অবশিষ্ট অংশ ইং হয়। কাং প্রভায় যুক্ত হলে শব্দের অন্তস্থিত ন- কার ও সূ-কারের লোপ হয়। যেমন- রাজা ইব আচরতি = রাজায়তে (রাজন্ + কা গই তে)। গুজ ইব আচরতি = ওজায়তে(ওজস্ + কাচ্ + ল তে)।

৪। ক্যং প্রতায় পরে থাকলে শব্দের অন্তস্থিত ক্রুসম্বর দীর্ঘ হয়। যেমন- পুত্রঃ ইব আচরডি = পুত্রায়তে (পুত্র + কাছ + লট্ তে)। শিষ্যা ইব আচরতি = শিষ্যায়তে (শিষ্য + ক + ল তে)। হংসা ইব আচরতি= হংসায়তে (হংস + কাচ্ + ল তে)।

৫। করা অর্থে শব্দ ও কলহ শব্দের উত্তর এবং অনুভব অর্থে সুখ ও দুঃখ শব্দের উত্তর কাজ প্রত্যয় হয়। যেমন শব্দং করোতি = শব্দায়তে (শব্দ + কাছ + ল তে)। কলহং করোতি = কলহায়তে (কলহ + কাঙ্ + লট্ তে)। সুখম্ অনুভবতি = সুখায়তে (সুখ + কাছ + ল তে)। দুঃখ অনুভবতি = দুখায়তে (দুঃখ + ক + লট্ তে)।

 

Content added By

আরও দেখুন...

Promotion