পৈসুঁবিন্যাস হলো বিরল ঘটনা মডেলিংয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি, যেখানে নির্দিষ্ট সময় বা স্থানে ঘটনার সংখ্যা বিশ্লেষণ করা হয়।
P(X=k)=e−λλkk!
যেখানে:
একটি কফি শপে প্রতি ঘন্টায় গড়ে ৫ জন গ্রাহক আসে (λ=5)। ৩ জন গ্রাহক আসার সম্ভাবনা:
P(X=3)=e−5⋅533!=0.139 বা ১৩.৯
পৈসুঁবিন্যাস বিরল ঘটনা বিশ্লেষণের একটি সহজ এবং কার্যকর মডেল, যা বাস্তব জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রয়োগযোগ্য।
একটি ঝুড়িতে যতগুলো সাদা বল আছে তার দ্বিগুণ লাল বল আছে। ঝুড়ি হতে দৈবায়িতভাবে 6টি বল নির্বাচন করা হলো।
কোনো একটি দ্বিপদী বিন্যাসের গড় ৪ এবং ভেদাঙ্ক 41
পৈসুঁবিন্যাস হলো পরিসংখ্যানের একটি বিশেষ সম্ভাব্যতা বিন্যাস, যা নির্দিষ্ট সময় বা স্থানের মধ্যে বিরল ঘটনাগুলির সংখ্যা মডেল করতে ব্যবহৃত হয়। এটি সাধারণত সেই ঘটনাগুলির জন্য প্রযোজ্য, যেখানে ঘটনার মধ্যবর্তী সময় বা দূরত্ব প্রায় নির্দিষ্ট থাকে।
১. ঘটনার নির্দিষ্ট হার: একক সময় বা স্থানে একটি ঘটনা সংঘটিত হওয়ার গড় হার (λ) ধ্রুবক থাকে।
২. স্বাধীনতা: এক ঘটনার সাথে অন্য ঘটনার কোনো সম্পর্ক নেই।
৩. বিরল ঘটনা: ঘটনাগুলি বিরল এবং খুব ঘন ঘন ঘটে না।
৪. সময় বা স্থান নির্ভরতা: নির্দিষ্ট সময় বা স্থানের উপর ভিত্তি করে ঘটনার সংখ্যা গণনা করা হয়।
P(X=k)=e−λλkk!
যেখানে:
একটি কফি শপে প্রতি ঘন্টায় গড়ে ৫ জন গ্রাহক আসে (λ=5)। k=3 জন গ্রাহক আসার সম্ভাবনা কত?
P(X=3)=e−5⋅533!
প্রথমে e−5 গণনা করি:
e−5≈0.0067
তারপর:
P(X=3)=0.0067⋅1256≈0.139
অর্থাৎ, প্রতি ঘন্টায় ৩ জন গ্রাহক আসার সম্ভাবনা ১৩.৯%।
১. টেলিফোন সেন্টার:
২. হাসপাতাল:
৩. মান নিয়ন্ত্রণ:
৪. যানজট বিশ্লেষণ:
৫. জ্যোতির্বিদ্যা:
পৈসুঁবিন্যাসের গড় হলো λ, অর্থাৎ গড় ঘটনা সংঘটিত হওয়ার হার।
পৈসুঁবিন্যাসের ভেদাঙ্কও λ, অর্থাৎ:
E(X)=Var(X)=λ
বিষয় | পৈসুঁবিন্যাস | দ্বিপদী বিন্যাস |
---|---|---|
সংজ্ঞা | নির্দিষ্ট সময় বা স্থানে বিরল ঘটনার সংখ্যা। | নির্দিষ্ট সংখ্যক পরীক্ষায় সফলতার সংখ্যা। |
গাণিতিক মডেল | P(X=k)=e−λλkk! | P(X=k)=(nk)pk(1−p)n−k |
গড় ও ভেদাঙ্ক | λ এবং λ। | n⋅p এবং n⋅p⋅(1−p)। |
ব্যবহার | বিরল ঘটনা মডেলিং। | সীমিত সংখ্যক বার্ণেৌলি প্রচেষ্টা। |
পৈসুঁবিন্যাস বিরল ঘটনার সম্ভাবনা বিশ্লেষণে একটি শক্তিশালী টুল। এর গাণিতিক মডেলটি বাস্তব জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে, যেমন টেলিকমিউনিকেশন, স্বাস্থ্যসেবা, এবং যানজট বিশ্লেষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এর সরলতা এবং কার্যকারিতা এটি একটি জনপ্রিয় পরিসংখ্যানিক মডেল হিসেবে গড়ে তুলেছে।
পৈসুঁবিন্যাসের সম্ভাবনা অপেক্ষক P(X=k)=e−λλkk! উদ্ভাবন করতে বার্ণেৌলি বিন্যাস এবং সীমার ধারণা ব্যবহার করা হয়। পৈসুঁবিন্যাসের মূল ধারণা হলো, বিরল ঘটনাগুলির জন্য দ্বিপদী বিন্যাস থেকে এটি একটি বিশেষ ক্ষেত্রে রূপান্তরিত হয়।
দ্বিপদী বিন্যাসের সম্ভাবনা সূত্র:
P(X=k)=(nk)pk(1−p)n−k
যেখানে:
পৈসুঁবিন্যাসের জন্য, নিম্নলিখিত শর্তগুলো বিবেচনা করা হয়:
দ্বিপদী বিন্যাসে P(X=k) এর মান:
P(X=k)=(nk)(λn)k(1−λn)n−k
(nk)=n!k!(n−k)!
P(X=k)=n!k!(n−k)!⋅(λn)k⋅(1−λn)n−k
যখন n→∞:
তাহলে, P(X=k) এর সীমা দাঁড়ায়:
P(X=k)=e−λλkk!
তাহলে, পৈসুঁবিন্যাসের সম্ভাবনা অপেক্ষক হয়:
P(X=k)=e−λλkk!
ধরা যাক, প্রতি মিনিটে একটি ফোন সেন্টারে গড়ে ৩টি কল আসে (λ=3)। ২টি কল আসার সম্ভাবনা গণনা করতে:
P(X=2)=e−3⋅322!
এখানে:
তাহলে:
P(X=2)=0.0498⋅92=0.224
অর্থাৎ, ২টি কল আসার সম্ভাবনা ২২.৪%।
পৈসুঁবিন্যাসের অপেক্ষক বার্ণেৌলি বিন্যাস থেকে রূপান্তরিত হয়, যেখানে n→∞ এবং p→0, কিন্তু n⋅p=λ ধ্রুবক থাকে। এর মাধ্যমে বিরল ঘটনার মডেলিং সহজ হয়।
পৈসুঁবিন্যাসের গড় (Mean) এবং ভেদাঙ্ক (Variance) নির্ধারণের জন্য এর মূল সূত্র এবং গাণিতিক প্রত্যাশা E(X) ও ভেদাঙ্ক Var(X)-এর ধারণা ব্যবহার করা হয়।
গড় বা গণিতগত প্রত্যাশা E(X) হলো প্রত্যাশিত ঘটনাগুলির গড় সংখ্যা। পৈসুঁবিন্যাসে এটি λ-এর সমান।
E(X)=λ
λ হলো গড় হার, যা নির্দিষ্ট সময় বা স্থানের মধ্যে একটি ঘটনা ঘটার গড় সংখ্যা নির্দেশ করে।
ভেদাঙ্ক Var(X) হলো গড় থেকে মানগুলোর বিচ্যুতি। পৈসুঁবিন্যাসের ক্ষেত্রে ভেদাঙ্কও λ-এর সমান।
Var(X)=λ
গড় হার λ যেটি গড় সংখ্যার মতো একই মান নির্ধারণ করে, তা একইসাথে ভেদাঙ্ক হিসেবেও কাজ করে।
পৈসুঁবিন্যাসের জন্য সম্ভাব্যতা ফাংশন:
P(X=k)=e−λλkk!
E(X)=∞∑k=0k⋅P(X=k)
E(X)=∞∑k=1k⋅e−λλkk!
k!-এর পরিবর্তে (k−1)! দিয়ে সরলীকরণ করলে:
E(X)=λ⋅∞∑k=1λk−1(k−1)!
∑∞k=1 কে eλ-এর প্রসারণে পরিবর্তিত করলে:
E(X)=λ
ভেদাঙ্কের সূত্র:
Var(X)=E(X2)−[E(X)]2
E(X2) বের করতে k2-এর উপর ভিত্তি করে P(X=k)-এর গাণিতিক গুণফল ব্যবহার করা হয়। নির্ধারণ শেষে প্রমাণিত হয় যে:
E(X2)=λ+λ2
তাহলে:
Var(X)=(λ+λ2)−λ2=λ
ধরা যাক, একটি কফি শপে প্রতি ঘণ্টায় গড়ে λ=4 জন গ্রাহক আসে।
E(X)=λ=4
Var(X)=λ=4
অর্থাৎ, প্রতি ঘণ্টায় গড় গ্রাহক সংখ্যা ৪, এবং এই গড় থেকে বিচ্যুতির মানও ৪।
পৈসুঁবিন্যাসের ক্ষেত্রে:
E(X)=Var(X)=λ
এটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য যা পৈসুঁবিন্যাসকে অন্য অনেক বিন্যাস থেকে আলাদা করে।
পৈসুঁবিন্যাসের ক্ষেত্রে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মাবলী রয়েছে, যা এটি অন্য বিন্যাস থেকে আলাদা করে।
পৈসুঁবিন্যাস বাস্তব জীবনের অনেক ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়, বিশেষত যেখানে বিরল ঘটনা বিশ্লেষণ করা হয়। এর কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহার নিচে দেওয়া হলো:
পৈসুঁবিন্যাস বিরল এবং নির্দিষ্ট সময় বা স্থানের মধ্যে সংঘটিত ঘটনাগুলি বিশ্লেষণে ব্যবহৃত হয়। এর গড় ও ভেদাঙ্ক সমান (λ) এবং এটি বাস্তব জীবনের সমস্যাগুলিতে, যেমন টেলিকমিউনিকেশন, যানজট, মান নিয়ন্ত্রণ, স্বাস্থ্যসেবা ইত্যাদিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
পরিমিত বিন্যাস এবং পরিমিত রেখা দুটি ভিন্ন ধারণা যা বিভিন্ন প্রেক্ষিতে ব্যবহৃত হয়।
পরিমিত বিন্যাস হলো তথ্যের এমন কাঠামোবদ্ধ উপস্থাপন পদ্ধতি যা স্পষ্ট, সংক্ষিপ্ত, এবং কার্যকরী। এটি মূলত ডেটার বিন্যাস বা ফরম্যাটকে বোঝায়।
বৈশিষ্ট্য:
উদাহরণ:
{
"name": "পরিমিত বিন্যাস",
"type": "ডেটা ফরম্যাট",
"usage": "তথ্যের বিনিময়ে"
}
পরিমিত রেখা হলো জ্যামিতিক ধারণা যা সরল রেখার দৈর্ঘ্য বা আকার নির্ধারণে ব্যবহৃত হয়। এটি সাধারণত একক পরিমাপের মাধ্যমে সরল রেখার গঠন, দৈর্ঘ্য, অথবা দিকনির্দেশ প্রকাশ করে।
বৈশিষ্ট্য:
উদাহরণ:
বৈশিষ্ট্য | পরিমিত বিন্যাস | পরিমিত রেখা |
---|---|---|
প্রকৃতি | ডেটার গঠন বা বিন্যাস পদ্ধতি। | জ্যামিতিক রেখা বা এর পরিমাপ। |
ব্যবহারক্ষেত্র | সফটওয়্যার, ডেটাবেস, এবং ডেটা এক্সচেঞ্জ। | জ্যামিতি, গ্রাফিক্স, এবং ডিজাইন। |
উদাহরণ | JSON, XML ফরম্যাট। | ত্রিভুজের একটি বাহু। |
এগুলো আলাদা প্রেক্ষিতে ব্যবহৃত হলেও উভয়ের গুরুত্বই সমানভাবে প্রাসঙ্গিক।
পরিমিত বিন্যাসে গড় (Mean) এবং ভেদাঙ্ক (Variance) ডেটা বিশ্লেষণের গুরুত্বপূর্ণ পরিমাপ। এগুলো সাধারণত তথ্যের উপাত্ত বিশ্লেষণে ব্যবহৃত হয়, যা ডেটার কেন্দ্রীক প্রবণতা ও বিচিত্রতা বুঝতে সাহায্য করে।
পরিমিত বিন্যাসে গড় হলো সমস্ত উপাত্তের যোগফলকে উপাত্তের সংখ্যার দ্বারা ভাগ করলে যে মান পাওয়া যায়।
সূত্র:
গড়(Mean)=∑XN
উদাহরণ:
ধরা যাক, একটি পরিমিত বিন্যাসে উপাত্ত: 10,20,30,40,50।
গড়=10+20+30+40+505=1505=30
ভেদাঙ্ক হলো গড় থেকে উপাত্তগুলোর বিচ্যুতি বা পরিবর্তনের পরিমাণ। এটি ডেটার বিভিন্নতা বা ছড়ানোর মাত্রা বোঝায়।
সূত্র:
ভেদাঙ্ক(Variance)=∑(Xi−μ)2N
উদাহরণ:
উপাত্ত: 10,20,30,40,50 এবং μ=30।
প্রথমে গড় থেকে প্রতিটি উপাত্তের বিচ্যুতি বের করি:
এবার ভেদাঙ্ক বের করি:
ভেদাঙ্ক=400+100+0+100+4005=10005=200
উপসংহার:
গড় এবং ভেদাঙ্ক ডেটা বিশ্লেষণের মূল উপাদান। গড় দিয়ে কেন্দ্রীয় মান নির্ধারণ করা হয় এবং ভেদাঙ্ক দিয়ে ডেটার পরিবর্তনশীলতা বা বৈচিত্র্য বোঝা যায়।