পারমী - পরিপূর্ণতা। বুদ্ধত্বলাভের জন্য জন্ম-জন্মান্তরে পারমী পূর্ণ করতে হয়।
বুদ্ধাংকুর- বোধিসত্ব পারমী।
বোধিসত্ত্ব - যার মধ্যে বোধিজ্ঞান উৎপন্ন হয়েছে।
ব্রহ্মবিহার-মৈত্রী, করুণা, মুদিতা ও উপেক্ষাকে একত্রে ব্রহ্মবিহার বলা হয়।
মার্গ-পথ, উপায়। যেমন: আর্য অষ্টাঙ্গিক মার্গ।
অক্রম - অন্যান্য, পরস্পর।
অধিকরণসমথ - বিবাদের নিষ্পত্তি।
অধিষ্ঠান - সংকল্প, দৃঢ় সংকল্প।
অনিয়ত-আক্ষরিক অর্থ হলো অনির্ধারিত।
অপরিহানীয়- সর্বজনীন, অপরিহার্য।
ক্লিষ্টকর্ম - প্রাণীহত্যা, চুরি করা, ব্যভিচার ও মিথ্যা কথা বলা- এগুলোকে ক্লিষ্টকর্ম বলা হয়।
গৃহী বিনয়- গৃহীদের পালনীয় নীতি। যেমন: পঞ্চশীল।
চতুর প্রত্যয়- আহার, ঔষধপথ্য, বাসস্থান ও পোষকপরিচ্ছেদ (চীবর)।
দায়ক - যিনি ভিক্ষুসংঘকে চতুরপ্রত্যয় দান করে করেন।
নিসগ্নিয় - বিনয় অনুসারে নিসন্বিয় হলো লঘু অপরাধ।
পটিদেসনিয়া - খাবার গ্রহণের নিয়ম সংক্রান্ত অপরাধ।
পাচিত্তিয়- এক প্রকার লঘু অপরাধ। যেমন: ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা বললে পাচিত্তিয় অপরাধ হয়।
পারাজিকা - পরাজয় বা নিয়মের গুরুতর লংঘন।
ব্রহ্মচর্য- পূর্ণ বিশুদ্ধতা বা সংযম।
ষড়দোষ-ছয়টি দোষ। যথা: নেশা করা, আমোদ-প্রমোদ, অসময়ে ভ্রমণ, কুসংসর্গ, জুয়া খেলা ও আলস্য।
সংঘাদিসেস- গুরুতর অপরাধ। কোনো ভিক্ষু এ অপরাধ করলে তাঁকে সংঘের নিয়ম অনুসারে দন্ড ভোগ করতে হয়।
সেখিয়া - শিক্ষা, প্রশিক্ষণ।
অন্তেবাসী-ছাত্র, শিষ্য।
আচার্য-শিক্ষক।
উদক সীমা-উদক অর্থ জল। উদক সীমা হলো জল দ্বারা পরিবেষ্টিত ঘর।
কর্মস্থান ভাবনা- ধ্যানের বিষয়। মনকে বশে আনার জন্য কর্মস্থান ভাবনা করা হয়।
জম্বুদ্বীপ-প্রাচীন ভারতের নাম।
প্রত্যবেক্ষণ ভাবনা - আহার, বাসস্থান, পোশাক-পরিচ্ছদ ও ঔষধ-চারটি মৌলিক উপাদান গ্রহণ সম্পর্কে ভাবনা।
ক্ষান্তি-ধৈর্য, ক্ষমা।
চারিত্রশীল - শ্রদ্ধা ও দৃঢ়তার সাথে ধর্মাচরণ করা ও ধর্মের নিয়মাবলী অনুসরণ করা।
থেরবাদ - বুদ্ধ কর্তৃক প্রবর্তিত বৌদ্ধধর্মের নিয়ম-নীতি ও শিক্ষা। থেরবাদ হীনযান হিসেবেও পরিচিত।
নৈষ্ক্রম্য-বন্ধন ত্যাগ, জাগতিক ভোগ বিলাস ত্যাগ করা।
প্রপঞ্চ - অলীক, মোহ, মায়া, বিভ্রান্তি, আধ্যাত্মিক উন্নতির বাধা।
বারিত্রশীল - কায়িক ও বাচনিক অকুশল কর্ম থেকে বিরত থাকা। যেমন: প্রাণিহত্যা ও মিথ্যা বলা থেকে বিরত থাকা ইত্যাদি।
মরীচিকা - ধোঁকা, ছলচাতুরি।
মহাযান - বৌদ্ধধর্মের দুটি ধারার মধ্যে একটি। এ ধারার অনুসারীরা বুদ্ধ হওয়ার জন্য বোধিসত্ত্বের গুণাবলি অর্জন করতে চান।।
অনুলোম – অনুরূপ, স্বাভাবিক নিয়মানুযায়ী।
অব্যাকৃতধর্ম - এমন স্বভাব যা দ্বারা শুভ এবং অশুভ দুপ্রকার কাজ করা যায়।
চিত্ত- মন, অন্তকরণ, হৃদয়।
চৈতসিক - মনোবৃত্তি।
পটঠান - মূল কারণ।
পুগ্গল পঞঞত্তি - পুগল অর্থ ব্যক্তি, লোক এবং পঞ্চতি অর্থ হল ধারণা। পুগ্গল পঞঞতি অর্থ ব্যক্তিবর্গের শ্রেণিবিভাগ।
প্রতীত্যসমুৎপাদ - কোনো কিছুকে অবলম্বন অন্য কিছুর উৎপত্তি কার্যকারণতত্ত্ব।
মাতিকা - সারিবদ্ধভাবে বিন্যস্ত নিয়মাবলির তালিকা, ম্যাট্রিক্স।
সর্বাস্তিবাদী - সর্বাস্তি'র আক্ষরিক অর্থ হলো 'সবকিছু আছে'। অর্থাৎ সর্বাস্তিবাদী বৌদ্ধ দার্শনিকরা মনে করেন অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যত বা অনাগত এই তিন কালেই সমস্ত কিছু বিদ্যমান থাকে।
অবলোকিতেশ্বর – মহাযানী বৌদ্ধধারার বিশ্বাস মতে, বোধিসত্ত্বগণের মধ্যে অন্যতম। -
কর্ণসুবর্ণ-প্রাচীন বাংলার স্বাধীন গৌড় রাজা শশাংকের রাজধানী। বর্তমান ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার ভাগীরথী নদীর তীরে এর অবস্থান।
চর্যাপদ - বাংলা ভাষার প্রথম রচনা। প্রাচীন বৌদ্ধ গান বা কবিতার সংকলন।
চৈত্য - মৃতের সৎকার করার স্থানে নির্মিত ঢিবি। প্রার্থনা ও শ্রদ্ধা ভক্তি প্রদর্শনের পবিত্র স্থান।
পুণ্ড্রবর্ধন – প্রাচীন যুগের উত্তরবঙ্গের একটি এলাকা, যেখানে পুণ্ড্ররা বাস করত। বর্তমান মহাস্থানগড় হলো পুণ্ড্রবর্ধন।
প্রজ্ঞাপ্ত - চালুকৃত, প্রচলনকৃত।
শীলবিপত্তি - নৈতিক চরিত্র লংঘন।
সংগীতি - বৌদ্ধ ভিক্ষুসংঘের সমাবেশ বা সমাবর্তন।
সমতট – প্রাচীন বাংলার একটি অঞ্চল। বর্তমান বাংলাদেশের বৃহত্তর কুমিল্লা ও বৃহত্তর নোয়াখালী অঞ্চল নিয়ে গঠিত।
আরও দেখুন...