সর্বজনীন শ্রদ্ধাবোধ হলো সহজ সরল ও সুন্দর মন নিয়ে মানুষের সাথে থাকা ও মানুষের সেবা করা। নম্র-ভদ্র-সুন্দর ব্যবহার ও আচরণ দিয়ে অন্য সকল মানুষকে নিজের মতো ভালোবাসা। যে মানুষ যেমন আছে তাকে সেভাবেই গ্রহণ করা। সেভাবেই তাকে ভালোবাসা। আর এ ভালোবাসার মধ্যে নেই কোন হিংসা, নিন্দা, অহংকার, ঘৃণা ও লোভ। থাকে না কোন অন্যায় ও অন্যায্যতা, কিংবা নিজের কোন সুযোগ-সুবিধা। কারণ যীশুর মধ্যে এসব মন্দ গুণ ছিলো না।
পরস্পর রেষারেষি করা যাবে না, অহংকার করা যাবে না। নম্র হয়ে, অন্যকে শ্রেষ্ঠজ্ঞান করতে ও নিজের চেয়ে অন্যকে বেশি ভালোবাসতে হবে। স্বার্থপর হওয়া যাবে না, অন্যদের স্বার্থের কথা চিন্তা করতে হবে। লোভ করা যাবে না। সহমর্মী হতে হবে, ন্যায়-অন্যায় বিচারবোধ থাকতে হবে। সততাও থাকতে হবে। যীশু অন্যের দুঃখ-কষ্ট দেখে নিজে ব্যথিত হয়েছেন। মানুষের দুঃখ-কষ্ট দূর করার জন্য সাহায্য করেছেন। আমরাও যেন আমাদের সাধ্যমত মানুষের দুঃখ দূর করতে সচেষ্ট হই। যীশু ঈশ্বর, তিনি মানুষ হলেন; মানুষের মাঝে বাস করলেন। তিনি মানুষকে নানাভাবে সাহায্য করলেন। অন্ধকে দৃষ্টি দিলেন। পঙ্গুকে হাঁটার শক্তি দিলেন, কুষ্ঠরোগীকে সুস্থ করলেন। এমনকি তিনি মৃত মানুষকেও জীবন দিলেন। যীশু গোয়াল ঘরে জন্ম নিলেন এবং ক্রুশের উপরে তাঁর জীবন দিয়ে সব মানুষকে পাপ থেকে মুক্ত করলেন। যীশু ক্রুশে জীবন দিয়ে তাঁর পিতার বাধ্য হলেন ও শেষ পর্যন্ত তাঁর ইচ্ছা পূরণ করলেন। এজন্য পিতা তাঁকে তাঁর সর্বোচ্চ সম্মান দিলেন।
ক) সর্বজনীন শ্রদ্ধাশীল হওয়ার জন্য কী কী গুণ অর্জন করবো তা নিচে লিখি।
i)
| |
ii)
| |
iii)
| |
iv)
| |
v)
|
আরও দেখুন...