সুষম খাদ্য গ্রহণ বলতে খাদ্যের প্রতিটি প্রকার থেকে সঠিক পরিমাণ খাদ্য গ্রহণ করাকে বোঝায়। নিচের ছকে ৬–১২ বছর বয়সের শিশুদের জন্য প্রয়োজনীয় খাবারের পরিমাণের একটি সাধারণ নির্দেশনা দেওয়া হলো।
৬ -১২ বছর বয়সের শিশুর খাদ্য তালিকা
খাদ্যের প্রকারভেদ | খাদ্যের নমুনা | পরিমাণ | কত বার |
---|---|---|---|
খাদ্যশস্য ও আলু ( শর্করা ) | রুটি, পরটা, পাউরুটি | ১-২টা | প্রতিদিন ৩ – ৪ বার |
ভাত, আলু, অথবা নুডুলস | ১ কাপ | ||
শাক-সবজি (ভিটামিন, খনিজ লবণ ) | রান্না করা বা কাঁচা সবজি | আধা কাপ | প্রতিদিন ৩ অথবা ৪ বার |
ফলমূল (ভিটামিন, খনিজ লবণ ) | যে কোনো ধরনের ফল। যেমন— আম, আপেল, কমলা | ১ টি | প্রতিদিন ২ অথবা ৩ বার |
ফলের রস | ছোট গ্লাসের ১ গ্লাস | ||
মাছ, মাংস ও ডাল (আমিষ) | মাংস | ১-৩ টুকরা | প্রতিদিন ১ – ২ বার |
মাছ | মাঝারি মাপের ১ টুকরো | ||
ডিম | ১টি | ||
ডাল | মাঝারি মাপের ১-৩ কাপ | ||
দুগ্ধ জাতীয় খাদ্য (ক্যালসিয়াম, ভিটামিন) | দুধ | এক গ্লাস | প্রতিদিন ১ -২ বার |
দই | এক কাপ | ||
পনির | এক টুকরা | ||
তেল ও চর্বি | ঘি, মাখন অথবা তেল | ১ টেবিল চামচ | ১ বার |
আমরা যা খাই তা কি সুষম খাবার ?
১. ডানে দেখানো ছকের মতো খাতায় একটি ছক তৈরি করি।
২. গতকাল যে সকল খাবার খেয়েছি সেগুলোকে বিভিন্ন শ্রেণিতে ভাগ করি এবং মোট কতবার খেয়েছি তার তালিকা করি।
৩. খাবারের তালিকাটি পূর্বের ছকের সাথে তুলনা করি এবং তা সুষম কি না যাচাই করি।
৪. সহপাঠীদের সাথে আলোচনা করে কাজটি সম্পন্ন করি।
খাদ্যের প্রকারভেদ | যা খেয়েছি | কত বার খেয়েছি |
---|---|---|
খাদ্যশস্য ও আলু | ||
শাকসবজি | ||
ফল-মূল | ||
মাছ, মাংস ও ডাল | ||
দুগ্ধজাতীয় খাদ্য | ||
তেল ও চর্বি |
আরও দেখুন...