স্বার্থান্ধ মানুষের লোভের কারণে এই পৃথিবীতে যুগে যুগে অনেক নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। ইতিহাস সাক্ষী এসব হত্যাকাণ্ডের সাথে অর্থলিলা, ক্ষমতার দ্বন্দ্ব যেমন জড়িত তেমনিভাবে জড়িত থাকে খুব কাছের মানুষ এবং অত্যন্ত প্রিয়ভাজন ব্যক্তিবর্গ। যার উদাহরণ-জুলিয়াস সিজার, মহাত্মা গান্ধী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ইন্দিরা গান্ধী প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
বাংলাদেশের একটি ছোট্ট গ্রাম রসুলপুর। সেখানকার অধিকাংশ মানুষ অশিক্ষিত। সভ্যতার ছোঁয়া বিবর্জিত এই গ্রাম অন্ধবিশ্বাস এবং কুসংস্কারে পরিপূর্ণ। কারো অসুস্থতায় হাশেম মিয়ার স্বপ্নে পাওয়া তাবিজ, ঝাড়ফুঁক, পানিপড়া একমাত্র ভরসা। এ গ্রামের জরিনা অশিক্ষিত হলেও সে হাশেম মিয়ার ঝাড়ফুঁকে বিশ্বাস করে না। প্রতিবাদী ও সাহসী জরিনা তার বুদ্ধিমত্তা দিয়ে গ্রামের লোকদেরকে ঝাড়ফুঁকের অসাড়তার দিকটি বোঝানোর চেষ্টা করে।
সাধু সুন্দরলাল সাঁওতালদের কাছে দেবতাতুল্য। তবে সে নিরীহ সাঁওতালদের বিশ্বাসের সাথে খেলা করে। করম দেবতা ও শিং বোঙ্গার ভয় দেখায়। দেবতার কোপে মড়ক লেগে সবাই মরে যাবে এমন কথায় ভয় পেয়ে সবাই তার কাছেই সাহায্য চায়। এই সুযোগে সুন্দরলাল তাদের আসামের চা বাগানে কুলির কাজ করতে পাঠিয়ে দেয়। মনে মনে হিসেব করে কতজন পাঠালো আর কমিশন কত টাকা পাবে।