তার বড় মেয়ে যুঁথিকার বিয়ে না হলে অন্য দু'মেয়েরও বিয়ে হবে না এমন মনে হলেই রায়হান সাহেব অসুস্থ হয়ে পড়েন। কিন্তু সম্প্রতি যুথিকা ক্যান্সার চিকিৎসার ওপর গবেষণার জন্য জার্মান সরকারের বৃত্তি লাভ করায় বাড়িতে পাত্রের হাট বসে গেছে। কিন্তু যুথিকার একটাই কথা-দেশের কল্যাণ আমার প্রধান লক্ষ্য। বিয়ের কথা এখন একদমই ভাবছি না।
বীরবল সাহেব জীবদ্দশায় দানবীর হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তিনি গরিব-দুঃখী অসহায় মানুষকে উৎসব-অনুষ্ঠানে অকাতরে দান করতেন। বীরবল সাহেবের মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রী লীলা স্বামীর সম্পত্তির অর্ধেক বিক্রি করে এলাকার বেকার গরিব ছেলে-মেয়েদের জন্য একটি কর্মমুখী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু করেন। এলাকার ছেলে-মেয়েরা এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি স্বাবলম্বী।
স্বামীহারা তাহেরা বিবির নদী তীরের ছোট্ট বাড়িটা বন্যায় তলিয়ে গেলে আরো অনেকের মতো রাস্তার পাশের বাঁধে নতুন আশ্রয় গড়ে তুলেছে। সরকারি ত্রাণ আর জমানো কিছু টাকা নিয়ে অনিশ্চিত জীবনের প্রহর গুনছে সে। চার ছেলে-মেয়ে নিয়ে জীবন এখন তার কাছে একটা যুদ্ধের মতো। এর মধ্যে দুর্বৃত্তের দল রাতের আঁধারে নিরীহ মানুষের শেষ সম্বলও লুটে নিচ্ছে। তাহেরা জানে, এ যুদ্ধে তাকে জিততেই হবে। তাই সে রামদা হাতে প্রহরীর মতো জেগে থাকে।
পাকা মসজিদের পুকুর পাড়ে কয়েক ঘর দিনমজুরের মাটির ঘর। রাতে প্রচণ্ড কালবৈশাখী কড় আর প্রবল বৃষ্টির তাণ্ডবে তাদের ঘরের খড়ের চালগুলো উড়ে গেল। অগত্যা ওদের একজন সাহস করে মসজিদের ইমাম সাহেবকে তাদের দুরবস্থার কথা জানালে ইমাম সাহেব মসজিদ খুলে দেন। দিনমজুরের পরিবারেরা মসজিদের ভেতর আশ্রয় পেয়ে খুব খুশি হয়। ইমাম সাহেব তাদের সাথেই সে রাতটা জেগে কাটিয়ে দেন।