সুজন একজন ডেইরি পণ্যের উৎপাদনকারী। তিনি মেধা ও দীর্ঘ দিনের প্রচেষ্টায় ২০১৫ সালে নতুন ধরনের আইসক্রিম তৈরি করেন। তিনি এই আইসক্রিমের নাম দেন 'রিফ্রেশ'। এটি অল্প দিনেই অনেক জনপ্রিয় হয়ে যায়। কিছু দিন পরে অন্য একজন ব্যক্তি একই নামে ও একই ধরনের মোড়কে আইসক্রিম বাজারে বিক্রয় শুরু করে। বিষয়টি নিয়ে সুজন আইনের আশ্রয় নেন। আদালত তার কাছে আইসক্রিমের নিবন্ধন দেখতে চায়। সুজন জানান তিনি কোন নিবন্ধন করেননি। আদালত তার পক্ষে কোন সিদ্ধান্ত দেয় না। পরবর্তীতে ২০১৬ সালে সুজন তার উদ্ভাবিত আইসক্রিমের নিবন্ধন গ্রহণ করেন।
রিমু সাহেব একজন ব্যবসায়ী। মিরপুরে তার একটি শোরুম আছে যেখানে ছেলেদের শার্ট, জিন্সের প্যান্ট, টিশার্ট, হাল ফ্যাশনের জুতা বিক্রয় করা হয়। সম্প্রতি তিনি 'রিমু'স ফ্যাশন' নামে ফেসবুকে একটি পেজ খুলেছেন। তাঁর পেজে প্রবেশ করলে বিভিন্ন পণ্যের ছবি, পণ্যের বিবরণ, দাম দেখতে পাওয়া যায়। এখানে পণ্যের দাম অনলাইনে পরিশোধের কথা বলা আছে। দাম পরিশোধের তিন দিনের মধ্যে পণ্য গ্রাহকের ঠিকানায় পৌছানোর প্রতিশ্রুতি দেয়া রয়েছে। রাশেদ 'রিমু'স ফ্যাশন' নামক পেজে প্রবেশ করে লক্ষ করে, একটি কেডসের দাম লেখা রয়েছে ৩ হাজার টাকা। কেডসটি তার পছন্দ হয়। কিন্তু কেডসের গুণগতমান, যৌক্তিক দাম, কীভাবে দাম পরিশোধ করবে ইত্যাদি বিষয়ে চিন্তায় পড়ে যায়।
আজমাইন ও রাতুল দুই ভাই। একটি সমস্যা সমাধানের জন্য তারা তাদের ছোটো মামার কাছে যায়। আজমাইন বলল, "আমি আমার এক বন্ধুকে মেইল পাঠাবো এবং একই মেইল অন্য এক বন্ধুকে জানিয়ে রাখতে চাই। কিন্তু আমি বুঝতে পারছিনা কীভাবে পাঠাবো।” রাতুল বলল, "আমি একই মেইল ৬৭ জন বন্ধুকে এমনভাবে পাঠাতে চাই যেন কেউ কারো মেইল ঠিকানা দেখতে না পারে। কিন্তু আমিও পাঠানোর পদ্ধতি বুঝতে পারছি না।" তাদের ছোটো মামা দুজনকেই বিষয়টি বুঝিয়ে দিলেন।
পশ্চিম এলাহাবাদ বিদ্যালয়ে এই বছর বার্ষিক ক্রীড়ার দৌড় প্রতিযোগিতার ফলাফল নিয়ে তীব্র বিতর্ক দেখা দিয়েছিল। প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান নির্ধারণে খুবই সামান্য ব্যবধান বিচারকের চোখে সূক্ষ্মভাবে ধরা পড়েনি। সমস্যাটি নিয়ে সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা আলোচনা করেছে। তারা এই সমস্যাটির ডিজিটাল সমাধানের জন্য একটি এলগরিদম প্রস্তুত করেছে।
সজল সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। সম্প্রতি তাদের বিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে উপজেলার সকল মাধ্যমিক প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী নিয়ে বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজনের কথা বলা হয়েছে। আগ্রহী শিক্ষার্থীদের এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য বিদ্যালয়ের দায়িত্ব প্রাপ্ত শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। সজল দায়িত্ব প্রাপ্ত শিক্ষকের সাথে কথা বলে তার নাম অন্তর্ভুক্ত করে। তার বন্ধু তমাল বির্তকে অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক। কিন্তু সে নাম অন্তর্ভুক্ত করে নাই। প্রতিযোগিতার দিন তমাল কারো সাথে কথা না বলে সরাসরি বিচারকগণের সামনে দিয়ে মঞ্চে চলে যায়। আয়োজকগণ তাকে জানায় প্রতিযোগী হিসেবে তোমার নাম নেই।