'অন্ধবধূ' কবিতায় অন্ধবধূ এক দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী মানুষ। তার অনুভবের জগৎ সমৃদ্ধ। অনুভবশক্তি দিয়ে সে জগৎ ও জীবন সম্পর্কে ধারণা লাভ করে। এমনকি ঋতু ও প্রকৃতির পরিবর্তনও সে বুঝতে পারে। আত্মমর্যাদাবোধেও সে সচেতন। দীঘিরঘাটে যখন 'শ্যাওলা পড়া পিছল সিঁড়ি জাগে' তখন সে পিছল খেয়ে জলে পড়ে ডুবে মরার ভয় করে। সে এও ভাবে যে, ডুবে মরলে তার অন্ধত্বের অভিশাপ ঘুচত।
দৃশ্যকল্প-১: গ্রন্থগত বিদ্যা পর হস্তে ধন নহে বিদ্যা, নহে ধন, হলে প্রয়োজন।
দৃশ্যকল্প-২: লাইব্রেরি জাতির সভ্যতা ও উন্নতির মানদণ্ড। কারণ, বুদ্ধির জাগরণ ভিন্ন জাতীয় আন্দোলন হুজুগপ্রিয়তা ও ভাববিলাসিতার নামান্তর, আর পুস্তক অধ্যয়ন ব্যতীত বুদ্ধির জাগরণ অসম্ভব। লাইব্রেরির শ্রেষ্ঠতা এইখানে যে, তা আমাদের ডাল-ভাতের ব্যবস্থা না করতে পারলেও সভ্যতার আদর্শটি অক্ষুণ্ণ রেখে আমাদের আলোক অভিসারী করে তুলতে পারে।
মতিন ও সুজা দুই ভাই। দুজনই শিক্ষিত। মতিন আলুর হিমাগারে ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আলুর ব্যবসা শিখে ফেলে। ব্যবসাকে পুঁজি করে সে আজ অর্থ-বিত্তের মালিক। আর সুজা শিক্ষকতা পেশা বেছে নিয়ে জ্ঞানগর্ভ প্রবন্ধ, গল্প ও কবিতা লিখে বেশ সুনাম কুড়িয়েছে। একজন চিনেছে লাভ আর প্রয়োজনকে, অপরজন চিনেছে জীবন ও জগৎকে।
চার সন্তানের জনক দুলুমিয়া ছোট মুদি দোকানদার। দোকান দিয়ে তার সংসার ভালো না চলায় সে দোকানের পাশাপাশি একটি এন. জি. ওতে নাইট গার্ডের চাকরি নেয়। সারারাত তাকে ঘন্টায় ঘন্টায় বাঁশী বাজাতে হয় ও চলাফেরা করতে হয়। চোর-ডাকাতের ভয় তাকে তাড়া করে। একবার ডাকাতেরা তাকে মারধর করে হাত-পা বেঁধে রেখে রাস্তায় ফেলে চলে যায়।