(i) সমুদ্রের জাহাজ যেমন নাবিকের নির্দেশনায় চলতে থাকে তেমনি দেশ ও সমাজের গতিপথ ঠিক করে দিতে পারেন শিক্ষক। তিনি মানুষের মনের পরিচর্যা করেন, মনের ভেতর শৃঙ্খলা তৈরি করেন। তিনি দেশপ্রেম ও বিচারবুদ্ধির উৎস।
(ii) মহারাজগঞ্জ বিদ্যাপীঠের শিক্ষার্থীরা পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি লাইব্রেরিতে বই পড়ে আসছে। লাইব্রেরির দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক হঠাৎ করেই অসুস্থ থাকায় শিক্ষার্থীরা লাইব্রেরিতে গিয়ে বই পড়তে পারছে না। তারা বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষকের কাছে লাইব্রেরিতে পুনরায় বই পাঠের সুযোগের জন্য অনুরোধ করে। তিনি তাদের অনুরোধে সাড়া দিয়ে দ্রুত লাইব্রেরিতে বই পাঠের ব্যবস্থা করেন। ফলে, শিক্ষার্থীদের মধ্যে আনন্দের সুবাতাস বয়ে যায়।
(i) ছমির মিয়া একজন ভাগ চাষী। সে পরের জমিতে চাষাবাদ করে কোনোমতে চার জনের সংসার চালায়। সে সারাদিন চিন্তা করে কী করে সংসারের অভাব অনটন ঘুচানো যায়। তাই স্ত্রী ও মেয়েকে খেতের কাজে নিয়োজিত করে যাতে সংসারের দুঃখ-কষ্ট ঘোচে। এখন আর তাদের অর্ধাহারে, অনাহারে দিন কাটাতে হয় না।
(ii) সাজিদ ও শেফা ভাইবোন। সারাদিন দুজনের মধ্যে এটাসেটা নিয়ে দ্বন্দ্ব লেগেই থাকে। এজন্যে তাদের মা প্রায়ই বকাঝকা করে। কিন্তু তাতে তাদের কিছুই মনে হয় না। আবার তারা দুজন দুজনকে ছাড়া থাকতেও পারে না।
রেশমপুরের চেয়ারম্যান হাশেম আলি। একবার তার নির্বাচনি এলাকার অধিকাংশ মানুষ ভয়াবহ বন্যায় আক্রান্ত হয়। কিন্তু বানভাসি মানুষ একদিনও চেয়ারম্যান সাহেবের দেখা পেলেন না। কারণ তিনি নাকি ঢাকায় জরুরি কাজে ব্যস্ত আছেন। অসহায় লোকগুলো খোলা আকাশের নিচে বোবা চাউনি মেলে অর্ধাহারে-অনাহারে দিন কাটায়। বন্যা শেষে একদিন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী চেয়ারম্যানের বাগানবাড়ি তল্লাশি করে ত্রাণের টিন ও খাদ্যসামগ্রী উদ্ধার করে।