হুমরাবেদের মেয়ে মহুয়ার প্রেমে পড়ে জমিদারপুত্র নদের চাঁদ। জমিদার বিষয়টি জানতে পেরে রাতের আঁধারে হুমরাবেদের দলকে গ্রামছাড়া করে। নীচু জাত বেদের মেয়ের সাথে তাঁর পুত্র নদের চাঁদের প্রেম তিনি মেনে নিতে পারেননি। কিন্তু নদের চাঁদ মহুয়াকে পাওয়ার আশায় বাবা-মাকে ছেড়ে যায়। হুমরাবেদে নদের চাঁদকে হত্যার জন্য মহুয়ার হাতে বিষলক্ষার ডুরি তোলে দেয়।
কলিমদ্দি দফাদার ষাটোর্ধ্ব। তিনি সরকারি চাকরি করেন; পাক-সেনাদের পথ দেখিয়ে নিয়ে যাওয়া তাঁর ডিউটি। তাই মানুষ তাঁকে রাজাকার ভাবে। মুক্তিসংগ্রামে যেতে না পারায় তাঁর মনে দুঃখ। কিন্তু সুযোগ পেয়ে একবার একদল পাক হানাদার বাহিনীকে ভুল পথ দেখিয়ে বিপদে ফেলেছিলেন। এটাও তাঁর মুক্তিসংগ্রামে অংশগ্রহণ, কলিমদ্দি স্বস্তি পায় দেশের পক্ষে কাজ করতে পেরে।
(i) তোমাকে যে ভালোবাসি এ কথা বাতাসেও জেনেছে
এই বার্তা মুখে করে প্রভাময়ী আলো নিয়ে যায়
আমাদের প্রেমের রূপে নীলবর্ণ আকাশ টাঙ্গায়
দিকে দিকে জাগে ভোর, বনভূমে পাখিরা সেজেছে।
(ii) তুমি চলে গেছ কত যুগ কত বছর?
এইমাত্র সমুখে ছিলে, পাত্রে জল কাঁপছে এখনো
যেন কোনো এক স্বপ্নঘেরা বাগানে লুকানো
তোমার প্রেমের রূপ, প্রতিশ্রুতি, মিথ্যের শব্দবহর।
বেলতলী গ্রামে বেলায়েতের বাস। গ্রামের মানুষ কুসংস্কারে আচ্ছন্ন। গ্রামবাসী বিশ্বাস করে ‘কাক ডাকলে দুঃখ আসে’ ‘পিছন থেকে ডাকলে বিপদ আসে। ‘শিয়াল দেখলে অমঙ্গল হয়' ইত্যাদি। বেলায়েত দেখেছে গ্রামের সহজ-সরল মানুষের এই সংস্কার কাজে লাগিয়ে এক পির ব্যবসা করে যাচ্ছে। পিরের কবল থেকে গ্রামের মানুষকে উদ্ধারের জন্য, বিজ্ঞানমনস্ক করার তাগিদে একটি আধুনিক স্কুল প্রতিষ্ঠা করতে বদ্ধপরিকর হয়ে শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়।