কোন একটা নতুন কাজ করিতে গেলে সমাজ প্রথমত গোলযোগে উপস্থিত করে এবং পরে সেই নতুন চালচলন সহিয়া লয় , তাহারই দ্টাক পাসি মহিলাদের পরিবর্তিত অবস্থার উল্লেখ করিয়াছি । পূর্বে তহারা ছত্র ব্যবহারেরও অধিকারিণী ছিলেন না, তারপর তাহাদের বাড়াবাড়িটা স্গীমা লঙ্গরন করিয়াছে, তবু তো পৃথীবি ধ্বংস হয় নাই । এখন পার্সি মহিলাদের পর্দা মোচন হইয়াছে সত্য, কিন্তু মানসিক দাসত্ব মোচন হইয়াছে কিট অবশ্যই হয় নাই । আর এ যে পর্দা ছাড়িয়াছেন, তাহা দ্বারা তাহাদের স্বকীয় বুদ্ষি-বিবেচনার তো কোন পরিচয় পাওয়া যায় না। পার্সি পুরুষগণ কেবল অঙ্গভাবে বিলাতী সভ্যতার অনুসরণ করিতে যাইয়া স্ত্রীদিগকে পর্দার বাহিরে আনিয়াছে, ইহাতে অবলাদের জীবনীশক্তির তো কিছু পরিচয় পাওয়া যায় না- তহারা যে জড়পদার্থ, সেই জড়পদার্থই আছেন । পুরুষ যখন তাহাদিগকে অন্ত:পুরে রাখিতেন, তাঁহারা তখন সেইখানে থাকিতেন । আবার পুরুষ যখন তাহাদের “নাকের দড়ি” ধরিয়া টানিয়া তাহাদিগকে যাঠে বাহির করিয়াছেন, তখনই তাহারা পর্দার বাহির হইয়াছেন । ইহাতে রমগীকৃলের বাহাদূরী কি? এক্ষপ পর্দা-বিরোধ কখনই প্রশংসনীয় নহে ।