অবসাদ কী?




Created: 1 year ago | Updated: 1 year ago
Updated: 1 year ago
Vote Statistics
Option 1 : 1
Option 2 : 0
Option 3 : 0
Option 4 : 0

মানসিক স্বাস্থ্য ও অবসাদ সম্পর্কে আলোচনার আগে স্বাস্থ্য বলতে আমরা কী বুঝি তা জানা প্রয়োজন। স্বাস্থ্য বলতে শারীরিক সুস্থতা বা শরীরের নীরোগ অবস্থাকে বুঝি। ব্যাপক অর্থে শারীরিক সুস্থতার সাথে মানসিক সুস্থতারও প্রয়োজন। মানসিক সুস্থতা শারীরিক সুস্থতার উপর নির্ভরশীল। যে কোনো কাজে আমরা নিযুক্ত থাকি না কেন শরীর সুস্থ না থাকলে কিছুই ভালো লাগে না, কাজে উৎসাহ থাকে না, কর্মক্ষমতা হ্রাস পায় । মানুষের চাহিদা অনুযায়ী পরিবেশের সাথে সঙ্গতি বিধানের মাধ্যমে মানসিক সুস্থতা বজায় থাকে। অতএব, যে ব্যক্তি নিজের চাহিদা ও পরিবেশের সাথে সফলভাবে সঙ্গতি বিধান করতে পারে, সেই মানসিক দিক দিয়ে সুস্থ। একজন মানুষের ব্যক্তিসত্তার সাথে সামঞ্জস্যমূলক শারীরিক ও মানসিক ক্রিয়াকলাপকে ঐ ব্যক্তির মানসিক স্বাস্থ্য হিসেবে অভিহিত করা যায়। অতিরিক্ত কাজ বা পরিশ্রমের চাপে একজন সাধারণ মানুষ বা একজন খেলোয়াড়ের কর্মক্ষমতা সাময়িকভাবে হ্রাস পায়। আবার দীর্ঘক্ষণ একই কাজ করার ফলে সেই কাজের প্রতি মানুষের শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন দেখা দেয়। ফলে ব্যক্তির কর্মক্ষমতার অবনতি হয়। ব্যক্তির মানসিক ও শারীরিক অবস্থার এই পরিবর্তনকেই ক্লান্তি বা অবসাদ বলা হয়।

এ অধ্যায় শেষে আমরা-

  • স্বাস্থ্যকর জীবনের জন্য মানসিক স্বাস্থ্যের ভূমিকা ব্যাখ্যা করতে পারব।
  • মানসিক আচরণের ধারণা বর্ণনা করতে পারব।
  • অবস্থাভেদে মানুষের আচরণের ব্যাখ্যা করতে পারব।
  • মানসিক অস্থিরতা দূর করার উপায় ব্যাখ্যা করতে পারব।
  • অবসাদের ধারণা ও প্রকারভেদ ব্যাখ্যা করতে পারব।
  • অবসাদগ্রস্ত হওয়ার কারণ ও ফলাফল ব্যাখ্যা করতে পারব।
  • অবসাদ দূরীকরণের উপায় বর্ণনা করতে পারব।
  • অবসাদগ্রস্ততা দূর করে সুস্থ জীবনযাপনে অভ্যস্ত হতে পারব।
Content added by
Promotion