নিচেরঅ নুচ্ছেদটি পড় এবং ৪ ও ৫ নং প্রশ্নের উত্তর দাও

রানা প্লাজা ধসে আহত শামীমকে চিকিৎসার জন্য কর্তৃপক্ষ তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যায় । ডাক্তার তার অত্যধিক রক্তক্ষরণ দেখে দ্রুত রক্ত দেওয়ার কথা বলে ।শামীমকে বাচানোর তাগিদে উপস্থিত একজন ব্যক্তি তাকে দ্রুত এক ব্যাগ রক্ত দেন। রক্ত নেওয়ার পর অন্যান্য চিকিৎসা শেষে দুই সপ্তাহ পর মোটামুটি সুস্থ হয়ে শামীম বাড়ি ফিরে যায়। মাস ছয়েক পর তার শরীরে চুলকানি ও শুকনা কাশি দেখা দেয়। এসবের পাশাপাশি ঘন ঘন জ্বর, পাতলা পায়খানাও হতে লাগল ।সে ডাক্তারের কাছে গেলে ডাক্তার পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে কিছু ঔষধ দেন এবং পরিবারকে তার প্রতি সহানুভূতিশীল আচরণ করতে পরামর্শ দেন ।

শামীম কী রোগে আক্রান্ত হয়েছে?

Created: 1 year ago | Updated: 1 year ago
Updated: 1 year ago
Vote Statistics
Option 1 : 0
Option 2 : 1
Option 3 : 0
Option 4 : 0

মাদকাসক্তি হলো ব্যক্তির জন্য ক্ষতিকর এমন একটি মানসিক ও শারীরিক প্রতিক্রিয়া যা জীবিত ব্যক্তি ও তার সেবনকৃত মাদকের পারস্পরিক ক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সৃষ্টি হয়। যে দ্রব্য গ্রহণের ফলে মানুষের শারীরিক ও মানসিক অবস্থার উল্লেখযোগ্য নেতিবাচক পরিবর্তন ঘটে এবং ঐ দ্রব্যের প্রতি নির্ভরশীলতা সৃষ্টি, পাশাপাশি দ্রব্যটি গ্রহণের উদগ্র আকাঙ্খা ক্রমশই বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়, এমন দ্রব্যকে মাদকদ্রব্য বলে। মাদকাসক্তি বলতে মাদকদ্রব্যের প্রতি আসক্তি বা নেশাকে বোঝায়। সিপারেট, বিড়ি, তামাক, চুট, মদ, গাঁজা, চরস, আফিম, মারিজুয়ানা, হেরোইন, মরফিন, ফেনসিডিল, ইয়াবা ইত্যাদি মাদকদ্রব্য। এ এক আংকর নেশা। এই নেশার আসর হলে সহজে কেউ পরিত্রাণ পায় না। আমাদের শরীরের নিজৰ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আছে। এই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকার কারণে শরীরে কোনো রোগজীবাণু প্রবেশ করলে সহজে শরীরের কোনো ক্ষতি করতে পারে না। কিন্তু এমন কিছু ক্ষতিকর ভাইরাস আছে যা শরীরের রোগ প্রতিরোধকারী ক্ষমতাকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দিতে পারে। এইচআইভি তেমনই একটি ভাইরাস। এইচআইভি ভাইরাস রক্ত, বীর্য, যোনিরস, বুকের দুধ প্রভৃতির মাধ্যমে অন্যের দেহে সংক্রমিত হয়। কোনো মানুষের শরীরে এই ভাইরাস প্রবেশ করলে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে, ক্ষণিক চিকিৎসার সে সুস্থ হয়ে উঠে না। এইচআইভি ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত ব্যক্তির অবস্থাকে বা রোগকে এইডস বলে।


এ অধ্যায় শেষে আমরা

  • মাদকাসক্তির কারণ ও লক্ষণ বর্ণনা করতে পারব।
  • তামাক ও মাদক দ্রব্য সেবনের কুফল ব্যাখ্যা করতে পারব।
  • ধূমপান ও মাদক থেকে বিরত থাকার কৌশল বর্ণনা করতে পারব।
  • ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজ মাদকমুক্ত থাকার ব্যাপারে অন্যদের ভূমিকা ব্যাখ্যা করতে পারব।
  • ধূমপান ও মাদকের কুফল উপলব্ধি করে এগুলি পরিহার করার ব্যাপারে সচেতন হব।
  • মাদকাসক্তির বিরুদ্ধে জনমত গঠন করে ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজকে মাদকমুক্ত রাখতে সমর্থ হব।
  • HIV-AIDS-এর ধারণা ব্যাখ্যা করতে পারব।
  • বাংলাদেশে HIV-AIDS-এর বিস্তার ও পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করতে পারব।
  • HIV-AIDS-এর বিস্তার প্রতিরোধে করণীয় ব্যাখ্যা করতে পারব।
  • HIV-AIDS-থেকে ঝুঁকিমুক্ত থাকার উপায় বর্ণনা করতে পারব।
  • HIV-AIDS-প্রতিরোধে সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের সেবাদানের ধরন সম্পর্কে জানতে পারব।
  • HIV-AIDS-এর পরিণতি উপলব্ধি করে পরিশীলিত জীবন যাপনে উদ্বুদ্ধ হব।

 

 

 

Content added/updated by
Promotion