সালাতে দরুদ কখন পড়তে হয়?
ইবাদত অর্থ গোলামি করা, মালিকের কথামতো চলা। আল্লাহ তায়ালা ও তাঁর রাসুল (স)-এর কথামতো কাজ করাকে ইবাদত বলে। ইবাদত শব্দটির অর্থ ব্যাপক। যেমন, সালাত আদায় করা,কুরআন মজিদ তিলাওয়াত করা, রোগীর সেবা করা, কথা বলার সময় সত্য কথা বলা সব কিছুই ইবাদত।
ইবাদতের পরিচয়
আল্লাহ তায়ালা কুরআন মজিদে বলেন, “ আমি সৃষ্টি করেছি জিন এবং মানুষকে এজন্য যে, তারা শুধু আমারই ইবাদত করবে।”
এর অর্থ হলো :
১. আমরা কেবল আল্লাহ তায়ালার গোলামি করব, অন্য কারও নয় ৷
২. আমরা কেবল আল্লাহ তায়ালার আদেশমতো চলব, অন্য কারও নয় ৷
৩. কেবলমাত্র তাঁরই সামনে মাথা নত করব, অন্য কারও নয়।
৪. কেবলমাত্র তাঁকেই ভয় করব, অন্য কাউকে নয় ৷
৫. কেবলমাত্র তাঁর কাছে সাহায্য চাইব, অন্য কারও কাছে নয় ৷
এই পাঁচটি জিনিসকে আল্লাহ তায়ালা বুঝিয়েছেন ইবাদত শব্দ দ্বারা। কুরআন মজিদের বিভিন্ন আয়াত হতে ইবাদত শব্দের এরূপ অর্থ পাওয়া যায় । তাই অর্থ বুঝে ইবাদত করা উচিত । আমাদের প্রিয় নবি (স) এবং তাঁর পূর্ববর্তী সকল নবির শিক্ষার সারকথা হলো, “আল্লাহ ছাড়া আর কারও ইবাদত করো না।” আমরা সালাতের প্রতি রাকআতে সূরা ফাতিহা পড়ি; তখন একথাগুলোরই ঘোষণা করে থাকি।
ইয়্যাকা না'বুদু ওয়া ইয়্যাকা নাসতাঈন,
অর্থ : আমরা শুধু তোমারই ইবাদত করি। আমরা শুধু তোমারই নিকট সাহায্য প্রার্থনা করি।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের উপর বিভিন্ন ইবাদত ফরজ করেছেন। যেমন সালাত, সাওম, যাকাত ও হজ।
দলীয় কাজ : দলে বসে পরস্পর আলাপ-আলোচনা করে ইবাদতের একটি তালিকা তৈরি করে মার্কার দিয়ে পোস্টার পেপারে লিখবে। |