টি, টা, খানা, খানি নির্দেশকগুলো কখন ব্যবহৃত হয়?

Created: 1 year ago | Updated: 1 year ago
Updated: 1 year ago

যেসব লগ্নক শব্দের সঙ্গে যুক্ত হয়ে নির্দিষ্টতা বোঝায়, সেগুলোকে নির্দেশক বলে। যেমন-টা, টি, -খানা, -খানি, -জন, -টুকু। নিচে কয়েকটি নির্দেশকের প্রয়োগ দেখানো হলো।

ক)-টা,-টি

বিশেষ্য, সর্বনাম ও বিশেষণের সঙ্গে-টা, -টি নির্দেশক বসে। এর দুটি রূপান্তর:-টো ও-টে। যেমন- 

বাড়িটা, ছেলেটা, এটা, সেটা, আমারটা, কিছুটা, একটা, সারাটা, করাটা; দিনটি, মেয়েটি, একটি, কয়েকটি, আরেকটি; দুটো; তিনটে ইত্যাদি।

খ) -খানা, -খানি

বিশেষ্য ও বিশেষণ শব্দের সঙ্গে-খানা, খানি নির্দেশক বসে। যেমন- 

ব্যাপারখানা, ভাবখানা, একখানা, আধখানা, মুখখানি, অনেকখানি ইত্যাদি।

যেসব ক্ষেত্রে-টা বা-টি বসে, সেসব ক্ষেত্রে-খানা বা-খানি বসতে পারে। যেমন, বাড়িটা বা বাড়িটি না বলে বাড়িখানা বা বাড়িখানিও বলা যায়।

গ) -জন

শুধু মানুষের বেলায়-জন নির্দেশকের ব্যবহার হয়। যেমন -

বিজ্ঞজন, লোকজন, অনেকজন, কয়জন, এতজন, পণ্ডিতজন।

সংখ্যার সঙ্গেও-জন নির্দেশকের ব্যবহার হয়। যেমন-

একজন রাজা, দুজন ডাক্তার ইত্যাদি।

অধিক সংখ্যার বেলায় 'জন' নির্দেশকটি সংখ্যা পরে আলাদা শব্দের মতো বসে। যেমন- 

পাঁচ জন, পঁচিশ জন, ৪৫ জন ইত্যাদি।

ঘ)-টুকু

-টুকু নির্দেশক দিয়ে কোনো কিছুর সামান্য অংশ বা অল্প পরিমাণ বোঝায়। বিশেষ্য ও বিশেষণ শব্দের সঙ্গে নির্দেশকটি ব্যবহৃত হয়। এর রূপভেদ:-টু বা-টুক। যেমন-

সাবানটুকু, হাসিটুকু, শরবতটুকু, এতটুকু, সময়টুকু, একটু, আধটু, যতটুক, ততটুক ইত্যাদি।

Content added By
Promotion