কবিতায় নির্দিষ্টার্থে কোন পদাশ্রিত নির্দেশক ব্যবহৃত হয়?
যেসব লগ্নক শব্দের সঙ্গে যুক্ত হয়ে নির্দিষ্টতা বোঝায়, সেগুলোকে নির্দেশক বলে। যেমন-টা, টি, -খানা, -খানি, -জন, -টুকু। নিচে কয়েকটি নির্দেশকের প্রয়োগ দেখানো হলো।
ক)-টা,-টি
বিশেষ্য, সর্বনাম ও বিশেষণের সঙ্গে-টা, -টি নির্দেশক বসে। এর দুটি রূপান্তর:-টো ও-টে। যেমন-
বাড়িটা, ছেলেটা, এটা, সেটা, আমারটা, কিছুটা, একটা, সারাটা, করাটা; দিনটি, মেয়েটি, একটি, কয়েকটি, আরেকটি; দুটো; তিনটে ইত্যাদি।
খ) -খানা, -খানি
বিশেষ্য ও বিশেষণ শব্দের সঙ্গে-খানা, খানি নির্দেশক বসে। যেমন-
ব্যাপারখানা, ভাবখানা, একখানা, আধখানা, মুখখানি, অনেকখানি ইত্যাদি।
যেসব ক্ষেত্রে-টা বা-টি বসে, সেসব ক্ষেত্রে-খানা বা-খানি বসতে পারে। যেমন, বাড়িটা বা বাড়িটি না বলে বাড়িখানা বা বাড়িখানিও বলা যায়।
গ) -জন
শুধু মানুষের বেলায়-জন নির্দেশকের ব্যবহার হয়। যেমন -
বিজ্ঞজন, লোকজন, অনেকজন, কয়জন, এতজন, পণ্ডিতজন।
সংখ্যার সঙ্গেও-জন নির্দেশকের ব্যবহার হয়। যেমন-
একজন রাজা, দুজন ডাক্তার ইত্যাদি।
অধিক সংখ্যার বেলায় 'জন' নির্দেশকটি সংখ্যা পরে আলাদা শব্দের মতো বসে। যেমন-
পাঁচ জন, পঁচিশ জন, ৪৫ জন ইত্যাদি।
ঘ)-টুকু
-টুকু নির্দেশক দিয়ে কোনো কিছুর সামান্য অংশ বা অল্প পরিমাণ বোঝায়। বিশেষ্য ও বিশেষণ শব্দের সঙ্গে নির্দেশকটি ব্যবহৃত হয়। এর রূপভেদ:-টু বা-টুক। যেমন-
সাবানটুকু, হাসিটুকু, শরবতটুকু, এতটুকু, সময়টুকু, একটু, আধটু, যতটুক, ততটুক ইত্যাদি।