টনি জাপান থেকে তার বন্ধু শাকিলের দেশে বেড়াতে যায়। শাকিল তার দেশের একটি ঐতিহাসিক আন্দোলনের কথা টনিকে বলে। আন্দোলনের সময় তাদের দেশের সরকার একটি আইন পাস করে। এ আইনে পরোয়ানা ছাড়াই যেকোনো ব্যক্তিকে গ্রেফতার ও সাক্ষ্য প্রমাণ ছাড়াই আদালতে দণ্ড দেওয়ার ক্ষমতা পুলিশকে দেওয়া হয়। ফলে সে দেশের একজন নেতা সরকারকে সহযোগিতা না করার আন্দোলন গড়ে তোলেন।
উদ্দীপকের আন্দোলনটির সাথে ব্রিটিশ ভারতের কোন আন্দোলনের মিল রয়েছে?
বাঙালিরা কখনই বিদেশি ইংরেজ শাসকদের মেনে নিতে পারেনি। ফলে, পলাশি যুদ্ধের পর পরই এদেশে ব্রিটিশ বিরোধী নানা বিদ্রোহ সংঘটিত হয়। পরাধীনতার একশ' বছর পর স্বাধীনতা ঘোষণা করে এদেশের সৈনিকরা ও দেশীয় রাজারা। পরবর্তী পর্যায়ে স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত তরুণ সমাজ। বাঙালি তরুণ সমাজ সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে দলে দলে আত্মাহুতি দিয়ে কাঁপিয়ে তোলে ইংরেজ শাসনের ভিত । উপমহাদেশের স্বাধিকার আন্দোলনে সবচেয়ে গৌরবময় ভূমিকা ছিল বাঙালিদের । এই অধ্যায়ে ১৮৫৭ সালে প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রামসহ পরবর্তী আন্দোলনসমূহে বাঙালি তথা তৎকালীন ভারতবাসীর গৌরব ও আত্মত্যাগের ইতিহাস সংক্ষিপ্তভাবে বর্ণনা করা হয়েছে ।
এই অধ্যায় শেষে আমরা-