মিজান কাশীপুর প্রদেশের শাসনক্ষমতা জোর করে গণতন্ত্রের নীতি ধ্বংসের মতো নানা কাজ করেন। ফলে অত্র এলাকার ছোটবড় রাজনৈতিক দলগুলো ভিন্ন ভিন্ন জোট বেঁধে মিজানের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে। মিজান উক্ত আন্দোলনকে দমনের জন্য বলপ্রয়োগ করলেও শেষপর্যন্ত গণঅভ্যুত্থানের কাছে তাকে হার মানতে হয়।
উদ্দীপকে বাংলাদেশের কোন ঘটনার প্রতিফলন ঘটেছে?
১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্টের পর থেকে ১৯৯০ সালের ৬ই ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে সেনাশাসন বহাল ছিল। দেশের সংবিধানকে উপেক্ষা করে খন্দকার মোশতাক, বিচারপতি সায়েম, মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান, বিচারপতি আহসান উদ্দিন এবং লেফটেন্যান্ট জেনারেল এরশাদ এ সময়ের মধ্যে অবৈধভাবে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন। দেশে সেনাশাসন বহাল রেখে সুবিধামতো সময়ে মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান (১৯৭৫-১৯৮১) এবং লেফটেন্যান্ট জেনারেল এরশাদ (১৯৮২-১৯৯০) নির্বাচন সম্পন্ন করে বেসামরিক শাসন চালু করেন। তাদের অগণতান্ত্রিক শাসন, জনগণের ভোটাধিকার হরণ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী কার্যকলাপ দেশের জনগণকে বিক্ষুব্ধ করে তোলে। ফলে সেনাশাসনের বিরুদ্ধে দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের চূড়ান্ত পরিণতিতে ১৯৯০ সালে গণঅভ্যুত্থান সংঘটিত হয়। অবসান ঘটে দীর্ঘ সেনাশাসনের। অবশেষে ১৯৯১ সালে পুনরায় গণতন্ত্রের যাত্রা শুরু হয়।
এই অধ্যায় শেষে আমরা-