যোগাযোগ দক্ষতা বলতে বোঝায় একটি ব্যক্তির সেই ক্ষমতা, যার মাধ্যমে সে কার্যকরভাবে তথ্য, চিন্তা, অনুভূতি এবং মতামত অন্যদের সাথে ভাগাভাগি করতে পারে। এটি মুখোমুখি যোগাযোগ, লিখিত যোগাযোগ, ই-মেইল, ফোন বা সামাজিক মাধ্যমের মাধ্যমে হতে পারে। যোগাযোগ দক্ষতা বিভিন্ন দিক নিয়ে গঠিত, যেমন:
১. মৌখিক যোগাযোগ:
- সঠিক উচ্চারণ, স্বরসার্থকতা এবং স্পষ্টতা সহ বক্তৃতা করা।
- কার্যকরভাবে আলোচনা করা এবং মতামত প্রকাশ করা।
২. লিখিত যোগাযোগ:
- পরিষ্কার, সংক্ষিপ্ত এবং সঠিকভাবে লেখা।
- ই-মেইল, প্রতিবেদন, চিঠি ইত্যাদিতে সঠিক ভাষা ও শৈলী ব্যবহার করা।
৩. শ্রবণ দক্ষতা:
- অন্যের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনা।
- প্রশ্ন করা এবং প্রতিক্রিয়া দেওয়ার মাধ্যমে সক্রিয়ভাবে শুনতে থাকা।
৪. অবতারনা (Non-verbal communication):
- শরীরের ভাষা, মুখাবয়ব এবং হাতের ইশারার মাধ্যমে কথা বলা।
- সঠিক চেহারা ও অভিব্যক্তির মাধ্যমে চিন্তা ও অনুভূতি প্রকাশ করা।
৫. আবেগী যোগাযোগ:
- অন্যান্য মানুষের অনুভূতি বুঝতে এবং প্রতিক্রিয়া জানাতে সক্ষম হওয়া।
- সহানুভূতি প্রদর্শন করা এবং সম্পর্ক উন্নয়ন করা।
৬. বিষয়বস্তুর স্পষ্টতা:
- বক্তব্যে বা লেখায় বিষয়বস্তুকে পরিষ্কারভাবে উপস্থাপন করা।
- মূল পয়েন্টগুলো উল্লেখ করে অপ্রয়োজনীয় তথ্য এড়িয়ে চলা।
৭. অভিনবতা:
- সৃষ্টিশীলভাবে সমস্যা সমাধান এবং নতুন ধারণা উপস্থাপন করা।
যোগাযোগ দক্ষতা বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ, যেমন ব্যক্তিগত সম্পর্ক, ব্যবসায়িক পরিবেশ, শিক্ষা, এবং সামাজিক পরিস্থিতিতে। এটি সফল যোগাযোগ, সম্পর্ক গঠন এবং অন্যান্য মানুষের সাথে সহযোগিতার জন্য অপরিহার্য।