Academy

মাদার তেরেজা ১৪ বছর বয়সে ঈশ্বর কর্তৃক আহবান পেয়ে সেবার কাজে নিয়োজিত হন। ভারত ও বাংলাদেশ অনাথ, দুঃখী, অবহেলিত, লাঞ্ছিত, পীড়িত, বঞ্চিত ও অসুস্থদের সেবায় বিভিন্ন সেবামূলক প্রতিষ্ঠান গড়েছেন। তাদের আশ্রয় দিয়েছেন। কুষ্ঠরোগীদের নিজে সেবা করেছেন। এভাবে অন্যের কল্যাণে নিজেকে বিলীন করে দিয়ে সারা বিশ্বের কাছে 'মাদার তেরেজা' উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন।

মাদার তেরেজার সাথে ফ্লোরেন্স নাইটিংগেলের চিকিৎসা ও সেবাকাজের অবদানের মিল/অমিল খুঁজে বর্ণনা করো।

Created: 2 months ago | Updated: 2 months ago
Updated: 2 months ago

মাদার তেরেজা ও ফ্লোরেন্স নাইটিংগেল উভয়ই মানবতার সেবা ও চিকিৎসার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। যদিও তাঁদের কাজের পদ্ধতি এবং প্রেক্ষাপট ভিন্ন, তবুও উভয়েই মানবিকতা, সহানুভূতি এবং সেবার জন্য নিবেদিত ছিলেন। এখানে তাঁদের কাজের কিছু মিল এবং অমিল তুলে ধরা হলো:

মিল:

1. মানব সেবায় নিবেদিত:

মাদার তেরেজা: মাদার তেরেজা অসহায়, দুঃখী, পীড়িত ও অবহেলিত মানুষের সেবা করতে কাজ শুরু করেন। তিনি বিভিন্ন সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে মানবিক সেবা প্রদান করেন এবং নিজের জীবনকে অন্যদের কল্যাণে উৎসর্গ করেন।

ফ্লোরেন্স নাইটিংগেল: ফ্লোরেন্স নাইটিংগেলও অসুস্থ সৈন্যদের সেবা করার জন্য তাঁর জীবন উৎসর্গ করেন এবং চিকিৎসা সেবায় মানসম্পন্ন পদ্ধতির উন্নয়ন করেন। তিনি স্বাস্থ্য ও পরিচ্ছন্নতার গুরুত্বের প্রতি সমাজের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

2.সেবার পদ্ধতির উন্নয়ন:

মাদার তেরেজা: তিনি সেবার জন্য একটি বিশেষ পদ্ধতি গড়ে তোলেন, যেখানে কষ্টের মধ্যে থাকা মানুষদের কাছে যান এবং তাদেরকে মানবিক সহানুভূতি প্রদান করেন।

ফ্লোরেন্স নাইটিংগেল: তিনি আধুনিক নার্সিংয়ের পদ্ধতি প্রতিষ্ঠা করেন এবং নার্সদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সেবার মান উন্নত করেন।

3. ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস:

উভয়েই ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে কাজ করেছেন। মাদার তেরেজা ঈশ্বরের আহ্বানে সাড়া দিয়ে সেবার কাজ শুরু করেন, এবং ফ্লোরেন্স নাইটিংগেলও তাঁর কাজের পেছনে ঈশ্বরের নির্দেশনা অনুভব করেন।

অমিল:

সেবার ক্ষেত্র:

  • মাদার তেরেজা: তিনি মূলত গরিব, অনাথ, দুঃখী এবং কুষ্ঠরোগীদের সেবা করার জন্য কাজ করেছেন। তাঁর কাজের মূল লক্ষ্য ছিল মানবিক এবং সামাজিক কল্যাণ।
  • ফ্লোরেন্স নাইটিংগেল: তিনি প্রধানত চিকিৎসা সেবা এবং নার্সিংয়ের উন্নয়নে কাজ করেছেন। তাঁর কাজ বেশি করে স্বাস্থ্য সেবা এবং সৈন্য চিকিৎসার দিকে কেন্দ্রীভূত ছিল।

সমাজের প্রতি প্রভাব:

  • মাদার তেরেজা: তিনি মানবিক সেবার মাধ্যমে পুরো বিশ্বে একটি মানবিক গুণাবলী ও উদাহরণ স্থাপন করেন, যা সমাজের সকল স্তরের মানুষের মধ্যে প্রভাব বিস্তার করে।
  • ফ্লোরেন্স নাইটিংগেল: তিনি নার্সিংকে একটি পেশায় রূপান্তরিত করেন এবং আধুনিক নার্সিংয়ের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে পরিচিত। তাঁর কাজ চিকিৎসা পদ্ধতির উন্নয়নে বিশেষ প্রভাব ফেলেছে।

কাজের পদ্ধতি:

  • মাদার তেরেজা: তিনি সরাসরি মানুষের কাছে গিয়ে তাদের সেবা করেছেন এবং মানবিক সহানুভূতি প্রদর্শন করেছেন।
  • ফ্লোরেন্স নাইটিংগেল: তিনি একটি সংগঠিত পদ্ধতি গ্রহণ করেন এবং নার্সিংয়ের মান উন্নয়নের জন্য প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠার উপর জোর দেন।

উপসংহার:

মাদার তেরেজা এবং ফ্লোরেন্স নাইটিংগেল উভয়েই সেবার ক্ষেত্রে অনন্য অবদান রেখেছেন। তারা মানবিকতা, সহানুভূতি এবং সেবার গুণাবলীর মাধ্যমে সমাজে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এনেছেন। যদিও তাঁদের কাজের পদ্ধতি ও ক্ষেত্র আলাদা, কিন্তু তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল একই—মানবতার সেবা এবং মানুষের জীবনমান উন্নত করা।

1 month ago

খ্রিষ্টধর্ম শিক্ষা

Please, contribute to add content.
Content
Promotion