বাংলাদেশ একসময় ব্যবসা-বাণিজ্যে সারা বিশ্বে সুপরিচিত ছিল। এ দেশে এমন একটি বস্ত্র তৈরি হতো যার খ্যাতি দেশে দেশে ছড়িয়ে পড়েছিল। মেঘনা ও শীতলক্ষ্যা নদীর আবহাওয়া ও জলীয় বাষ্প সে বিখ্যাত বস্তুটির সুতা তৈরিতে সহায়ক ছিল। এর সাথে ছিল শ্রমিক ও কারিগরদের আন্তরিক পরিশ্রম ও সৃজনশীল রচনামূলকতা। বর্তমানে ব্যবসায়িক পরিবেশের সব উপাদানের উন্নয়ন করতে পারলে ব্যবসা-বাণিজ্যের বেশি প্রসার হবে এবং ফিরে আসবে অতীত গৌরব।
সামাজিক পরিবেশের উন্নয়নের মাধ্যমে উদ্দীপকে উল্লিখিত শ্রমিক ও কারিগরদের সৃজনশীল রচনামূলকতা বিকাশ সম্ভব।
কোনো দেশের জনসংখ্যা, তাদের ধর্ম, বিশ্বাস, শিক্ষা-সংস্কৃতি, রীতি- নীতি ও দেশীয় ঐতিহ্য প্রভৃতির সমন্বয়ে সামাজিক পরিবেশ গড়ে ওঠে। এসব উপাদান মূলত মানুষের সৃষ্টি ও তাদের কাজের মাধ্যমে প্রভাবিত হয়। এটি ব্যবসায়ের লাভ-ক্ষতিকে প্রভাবিত করে।
উদ্দীপকে মসলিন বস্ত্রের কথা বলা হয়েছে। এদেশের মানুষ ঐতিহ্যগতভাবে এ বস্ত্র উৎপাদনে দক্ষ ছিল। বর্তমানে এ বস্ত্র উৎপাদনের জন্য দক্ষ শ্রমিক ও কারিগরের অভাব দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে কর্মমুখী করা গেলে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলা সহজ হবে। এতে শ্রমিক ও কারিগররা পুরনো ঐতিহ্য মসলিন কাপড় সম্পর্কে জানতে পারবে। পাশাপাশি উপযুক্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাকরলে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি হবে। এ ধরনের শিক্ষাব্যবস্থা ও মানবসম্পদ সামাজিক পরিবেশের উপাদান। সুতরাং, সামাজিক পরিবেশের উন্নয়নের মাধ্যমে শ্রমিক ও কারিগরদের সৃজনশীল রচনামূলকতা বিকাশ সম্ভব।