দৃশ্যপট ১: চার বছর বয়সী মিতুল পরিবারের সবার ছোট মেয়ে। সবাই তাকে খুব আদর করে। সে এত দুষ্টু হয়েছে যে, তাকে সামলাতে গিয়ে দাদা-দাদি, চাচা-চাচি, বাবা-মা হিমশিম খেয়ে ওঠে।
দৃশ্যপট ২: ফৌজিয়া বেগম গ্রামে থাকেন। নৈমিত্তিক কাজকর্মের অবসরে উপার্জন করার চিন্তা করেন। একটি সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে হাঁস-মুরগির খামার করেন।
উদ্দীপকের দৃশ্যপট-১ এ উল্লিখিত মিতুলের পরিবারটি আকারের দিক থেকে যৌথ পরিবারের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
পরিবার হলো সমাজ কাঠামোর মৌল সংগঠন। আকারের ভিত্তিতে শারবার তিন ধরনের হয়ে থাকে, যেমন- একক বা অণু পরিবার, যৌথ পরিবার ও বর্ধিত পরিবার। যখন দাদা-দাদি বা পিতা-মাতার কর্তৃত্বাধীনে বিবাহিত পুত্র ও তার সন্তানাদি এক সংসারে বাস করে তখন তাকে যৌথ পরিবার বলে। একক পরিবারের মতো যৌথ পরিবারের বন্ধনও মূলত রক্তের সম্পর্কের মাধ্যমে গড়ে ওঠে। উদ্দীপকের মিতুল যৌথ পরিবারের সদস্য। সে তার বাবা-মা ছাড়াও দাদা-দাদি চাচা-চাচির আদর ভালোবাসায় বেড়ে উঠছে। মিতুলের মতো এরূপ অনেক সন্তানই যৌথ পরিবারে সকলের আদর যত্নে বেড়ে উঠে। এ ধরনের পরিবারে একে অপরের প্রতি অনেক আন্তরিক থাকে। আমাদের দেশে গ্রামাঞ্চলের অধিকাংশ পরিবারই যৌথ পরিবার। এখন এ ধরনের পরিবারের সংখ্যা নানা কারণে হ্রাস পাচ্ছে।