দৃশ্যপট ১: চার বছর বয়সী মিতুল পরিবারের সবার ছোট মেয়ে। সবাই তাকে খুব আদর করে। সে এত দুষ্টু হয়েছে যে, তাকে সামলাতে গিয়ে দাদা-দাদি, চাচা-চাচি, বাবা-মা হিমশিম খেয়ে ওঠে।
দৃশ্যপট ২: ফৌজিয়া বেগম গ্রামে থাকেন। নৈমিত্তিক কাজকর্মের অবসরে উপার্জন করার চিন্তা করেন। একটি সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে হাঁস-মুরগির খামার করেন।
হ্যাঁ, আমি মনে করি উদ্দীপকে উল্লিখিত ফৌজিয়া বেগমের কার্যক্রম সামাজিক পরিবর্তনে ভূমিকা রাখবে।
সমাজ পরিবর্তনশীল। বাংলাদেশের সমাজও এর ব্যতিক্রম নয়। সামাজিক পরিবর্তন বলতে সমাজ কাঠামো ও এর কার্যাবলির পরিবর্তনকে বোঝায়। উদ্দীপকের দৃশ্যপট-২ এ ফৌজিয়া বেগম সামাজিক পরিবর্তনে নারী সমাজের প্রতিনিধিত্ব করছেন। বাংলাদেশে শিল্পের ক্রমোন্নতি নারীর সামাজিক জীবন ও মর্যাদার ক্ষেত্রে প্রভৃত পরিবর্তন সাধন করেছে। শিল্পের প্রসার আজ নারীকে গৃহের সীমিত পরিবেশ থেকে বাইরের কর্মমুখর জগতে টেনে এনেছে। তাছাড়া নারীদের চাকরিতে নিযুক্ত হওয়া পরিবারে বাড়তি অর্থোপার্জনের সুযোগ সম্প্রসারিত করেছে। শিক্ষাক্ষেত্রে নারী আগের তুলনায় অনেক অগ্রসর হয়েছে। নারীরা এখন শুধু প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডিতে আবদ্ধ নয়। তারা এখন উচ্চশিক্ষার জন্য মেডিকেল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করছে। ফলে শিক্ষাদীক্ষায় তার নিজেরা যোগ্যতা অর্জন করে চাকরি করছে। আবার গ্রামাঞ্চলের নারীরাও নিজ উদ্যোগে বা বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় নিজেদের স্বাবলম্বী করে তুলছে। ফলে সমাজ দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে।
পরিশেষে বলা যায়, ফৌজিয়া বেগমের কার্যক্রম সামাজিক পরিবর্তনে ভূমিকা রাখবে।