পারভেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ার সময় মিতার সাথে পরিচয় হয়। বিশ্ববিদ্যালয় পড়া শেষে দুজনেরই বিসিএস-এর মাধ্যমে সরকারি চাকরি হয়। তারা উভয়ে বৈবাহিক সম্পর্কে আবদ্ধ হয়। কিন্তু তাদের উভয় পক্ষের মা-বাবা এ সম্পর্ক মেনে নিতে পারেননি। তাই তারা আলাদা বাসা নিয়ে শহরে বসবাস করে। তাদের সংসারে দুটি সন্তানও আছে।
উদ্দীপকে উল্লিখিত পারভেজ ও মিতার মধ্যে গঠিত পরিবারকে। নয়াবাস পরিবার বলা যায়।
বিবাহোত্তর স্বামী-স্ত্রীর বসবাসের স্থানের ওপর ভিত্তি করে পরিবার তিন ধরনের হয়। যথা- পিতৃবাস, মাতৃবাস এবং নয়াবাস পরিবার। বিবাহোত্তর স্বামী-স্ত্রীর 'বসবাসের স্থানের ভিত্তিতে যেসব পরিবার গড়ে ওঠে তার মধ্যে নয়াবাস পরিবার অন্যতম। যে বিবাহিত দম্পতি স্বামী বা স্ত্রী কারও পিতার বাড়িতে বাস না করে পৃথক বাড়িতে বাস করলে তাকে নয়াবাস পরিবার বলে। উদ্দীপকের পারভেজ ও মিতা দু'জনই চাকরিজীবী। পরিবার থেকে তাদের বিয়ে মেনে না নেওয়ায় তারা আলাদা বাসা নিয়ে শহরে বসবাস করে। তাদের এ আলাদা বাসা নিয়ে পৃথক পরিবার গড়ে তোলা নয়াবাস পরিবারকেই নির্দেশ করছে। শহরে চাকরিজীবীদের মধ্যে এ ধরনের পরিবার দেখা যায়।
তাই বৈশিষ্ট্যগত দিক বিবেচনায় বলা যায়, পারভেজ ও মিতার মধ্যে গঠিত পরিবার হলো নয়াবাস পরিবার।