সুমন লক্ষ করল তার বাগানের গাছগুলোর মধ্যে ঘাসজাতীয় গাছের পাতা হলুদ হয়ে গেছে এবং ফুলগাছের পাতা, ফুল ও কুঁড়ি ঝড়ে যাচ্ছে। এ সমস্যা সমাধানে সে একজন উদ্যানতত্ত্ববিদের শরণাপন্ন হলো। তিনি তাকে তার বাগানে উদ্ভিদের প্রয়োজনীয় অত্যাবশ্যকীয় কিছু উপাদান সরবরাহের পরামর্শ দিলেন।
উদ্দীপকে উদ্যানতত্ত্ববিদ উল্লিখিত সমস্যা সমাধানে সুমনকে উদ্ভিদের প্রয়োজনীয় অত্যাবশ্যকীয় উপাদান সরবরাহ করতে বলেন। উদ্ভিদে নানা রকম প্রয়োজনীয় পুষ্টি রয়েছে। যা উদ্ভিদে নানাবিধ কার্য সম্পাদন করে। উদ্ভিদের দৈহিক বৃদ্ধিতে নাইট্রোজেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং কোষ কলায় পানির পরিমাণ বৃদ্ধি করে। উদ্ভিদের মূল বর্ধনের জন্য ফসফরাস অত্যন্ত প্রয়োজনীয় উপাদান। পটাসিয়াম উদ্ভিদে পানি পরিশোষণে সাহায্য করে। পত্ররন্দ্র খোলা ও বন্ধ হওয়ার ক্ষেত্রে পটাসিয়ামের গুরুত্ব অপরিসীম। ইহা ফুল ও ফল উৎপাদন এবং বর্ধনেও সাহায্য করে থাকে। ম্যাগনেসিয়াম ক্লোরোফিল অণুর একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান এবং শ্বসন প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে। ক্লোরোফিল সৃষ্টিতে আয়রনেরও ভূমিকা অপরিসীম। ক্লোরোপ্লাস্ট গঠন ও সংরক্ষণের জন্য ম্যাংগানিজ প্রয়োজন। উদ্ভিদে সক্রিয়ভাবে বর্ধনশীল অঞ্চলের জন্য বোরন প্রয়োজন, চিনি পরিবহনে বোরন পরোক্ষ প্রভাব বিস্তার করে। অ্যামাইনো অ্যাসিড সংশ্লেষণের জন্য দস্তা প্রয়োজন। উদ্ভিদের স্বাভাবিক বিপাকীয় কার্যেও এর কিছু প্রয়োজন হয়।
উপরের আলোচনা হতে বলা যায়, উদ্ভিদের অত্যাবশ্যকীয় উপাদানগুলো উদ্ভিদের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও অন্যান্য যথাযথ কাজ সম্পাদন করবে। সর্বোপরি সুমনের সমস্যা সমাধানেও ভূমিকা পালন করবে।