‘ক’ রাষ্ট্র কর্তৃক ‘গ’ রাষ্ট্রকে দখল করে নেওয়া রাষ্ট্র সৃষ্টির যে মতবাদকে সমর্থন করে, তাকে শক্তির নীতি বা শক্তির রাজনীতি (Power Politics) বলা হয়। এই মতবাদে রাষ্ট্রের ক্ষমতা বা সামরিক শক্তিকে প্রাধান্য দিয়ে বলা হয় যে, একটি শক্তিশালী রাষ্ট্র তার সামরিক ক্ষমতা ব্যবহার করে দুর্বল রাষ্ট্রগুলোকে আক্রমণ বা দখল করতে পারে এবং তাদের সম্পদ ও ক্ষমতা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনতে পারে।
শক্তির নীতির (Realpolitik) প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো:
সামরিক শক্তি ও ক্ষমতার প্রয়োগ: এখানে শক্তিশালী রাষ্ট্র তার সামরিক বা অর্থনৈতিক শক্তি ব্যবহার করে দুর্বল রাষ্ট্রকে আক্রমণ ও দখল করে। এই প্রক্রিয়ায় আন্তর্জাতিক আইন বা নৈতিকতাকে প্রাধান্য দেওয়া হয় না।
আগ্রাসী সম্প্রসারণবাদ: শক্তিশালী রাষ্ট্রের লক্ষ্য থাকে তার ভূখণ্ড বা প্রভাব সম্প্রসারণ করা। ‘ক’ রাষ্ট্রের ক্ষেত্রে, তারা ‘গ’ রাষ্ট্রকে আক্রমণ করে এবং দখল করে, যা আক্রমণাত্মক সম্প্রসারণবাদের উদাহরণ।
জাতীয় স্বার্থের প্রাধান্য: এই মতবাদের অনুসারীরা বিশ্বাস করে যে, একটি রাষ্ট্রের মূল লক্ষ্য হলো তার জাতীয় স্বার্থ সুরক্ষিত করা, এবং প্রয়োজনে সেটি অর্জনের জন্য অন্য দেশকে দখল করা বা আক্রমণ করা যেতে পারে।
ব্যালেন্স অব পাওয়ার: শক্তির নীতি অনুসরণকারী রাষ্ট্র প্রায়ই ক্ষমতার ভারসাম্য বজায় রাখতে চায়, যাতে তাদের প্রভাব বৃদ্ধি পায় এবং প্রতিদ্বন্দ্বী রাষ্ট্রগুলোর ক্ষমতা কমে যায়।
সুতরাং, 'ক' রাষ্ট্রের ‘গ’ রাষ্ট্রকে দখল করে নেওয়া এই শক্তির রাজনীতি বা আগ্রাসী সম্প্রসারণবাদের (Imperialism) একটি নিদর্শন, যেখানে একটি রাষ্ট্র অন্য রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বকে উপেক্ষা করে তার ভূখণ্ড এবং ক্ষমতা কুক্ষিগত করে।