চিত্র A: ওষুধ সেবনের ছবি চিত্র B: সবজিক্ষেতে কীটনাশক ছিটানোর ছবি
ছবি A-তে ওষুধ সেবনের দৃশ্যে রসায়নের সম্পর্কটি বিভিন্ন দিক থেকে বোঝা যায়:
কেমিক্যাল কম্পোজিশন: ওষুধগুলো সাধারণত বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থের সংমিশ্রণ হিসেবে তৈরি হয়। এই রাসায়নিক উপাদানগুলি রোগ নিরাময়ে বা লক্ষণ উপশমে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। উদাহরণস্বরূপ, প্যারাসিটামল বা অ্যাসপিরিনের মতো ওষুধগুলো তাদের রাসায়নিক গঠনের কারণে ব্যথা এবং জ্বর কমাতে সক্ষম।
রাসায়নিক প্রতিক্রিয়া: যখন ওষুধ সেবন করা হয়, তখন তা শরীরে প্রবাহিত হয়ে বিভিন্ন রাসায়নিক প্রতিক্রিয়া শুরু করে। এই প্রতিক্রিয়াগুলি শরীরের কার্যক্রমে পরিবর্তন আনতে সহায়ক হয়। যেমন, অ্যান্টিবায়োটিকস ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কাজ করে এবং ইনফেকশন কমাতে সাহায্য করে।
জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই: অনেক ওষুধের মধ্যে কার্যকরী উপাদান থাকে যা জীবাণু বা ভাইরাসের কার্যক্রমকে নিষ্ক্রিয় করে। এই প্রক্রিয়ায় রাসায়নিক পদার্থগুলি জীবাণুর বৃদ্ধি রোধ করে।
বায়োকেমিস্ট্রি: শরীরের ভেতরে ওষুধ কিভাবে কাজ করে তা বোঝার জন্য বায়োকেমিস্ট্রি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে আমরা জানি কিভাবে ওষুধের রাসায়নিক গঠন এবং তার প্রতিক্রিয়া শরীরের কোষের সাথে সম্পর্কিত।
এভাবে, ছবিতে দেখা ওষুধ সেবন রসায়ন এবং তার প্রয়োগের ক্ষেত্রে গভীর সম্পর্ক তুলে ধরে।
তোমরা যারা নবম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র তারা রসায়ন বইটি হাতে পেয়েছো। বইটি হাতে পেয়ে কিছু প্রশ্ন তোমাদের মনের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে— রসায়ন বিষয়টি কী? কেনই-বা আমরা রসায়ন পড়ব? অর্থাৎ রসায়ন আমাদের কী কাজে লাগে? রসায়নের সাথে বিজ্ঞানের অন্যান্য শাখার কি কোনো সম্পর্ক আছে? এসব বিষয়ের উত্তর এ অধ্যায়টি পড়লে জানতে পারবে।
এ অধ্যায় পাঠ শেষে আমরা-