রিক্তা বার্ষিক পরীক্ষার পর তার মামার সাথে ঢাকায় বেড়াতে যায়। ঢাকার বিভিন্ন স্থানে বেড়ানোর এক পর্যায়ে সে জাতীয় যাদুঘরে যায়। ২য় তলায় সে খাট- পালং, মাটির তৈরি তৈজসপত্র, গহনা, বিভিন্ন ধরনের নৌকা, সিন্দুক ইত্যাদি দেখতে পায় । মামা তাকে বলেন যে, এগুলো দিনাজপুরের মহারাজা গিরিজানাথ রায়ের সময়কার জিনিসপত্র। এরপর রিক্তা তৃতীয় তলায় গেলে সেখানে বিভিন্ন পুঁথিপত্র, পুরাতন আমলের কিছু মলিন বই-পত্র দেখে। এগুলোর নিচে লেখা আছে ইবনে বতুতার, হিউয়েন সাং-এর ভ্রমণবৃত্তান্ত। মামা তাকে বলেন যে, পুরাতন আমলের ব্যবহৃত বিভিন্ন জিনিসপত্র এবং বিভিন্ন পর্যটকদের ভ্রমণ বৃত্তান্তের সাহায্যে ওই সময়কার পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস লেখা সম্ভব হয়েছে