ক বিভাগ—গদ্য
গ্রামীণ পরিবেশে বেড়ে ওঠা সবুজ ও সাকিল সার্বক্ষণিক মোবাইল ফোনে মেতে থাকে। তাছাড়া টেলিভিশনে খেলা দেখাও তাদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। ঘর থেকে তারা বেরুতেই চায় না। তাদের মা বিলকিস বেগম ছেলেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত। কখনো আদর করে, কখনোবা রাগ করে মোবাইল ফোনের আসক্তি থেকে তাদের দূরে রাখার চেষ্টা করেন। তিনি বলেন, "মোবাইল দরকার কিন্তু লেখাপড়া সবার আগে দরকার, বাবা।"
বিয়ের দশ বছর পর রেবেকার একটি পুত্র সন্তান হয়। অনেক সাধনার পুত্রকে বড় করতে গিয়ে তিনি দুধ, ডিম, কলা, মিষ্টি একটার পর একটা জোর করে খাওয়াতে থাকেন। কিন্তু পুত্রের বয়স পাঁচ বছর হলেও সে হাঁটতে পারে না। অস্বাভাবিক মোটা হওয়ায় তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে ডাক্তার বলেন, "বয়স ও রুচি অনুযায়ী যা খেতে চায় এবং যতটুকু খেতে পারে তাই খাওয়াবেন। অতিরিক্ত খাওয়ার কারণে বয়সের তুলনায় মোটা বলে হাঁটা-শিখতে দেরি হচ্ছে।"
"দেশকে এমনভাবে স্বাধীন করব, যাতে দেশের সবাই দরজা খোলা রেখে ঘুমাতে পারে", এ মূলমন্ত্র নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে নেমেছিলেন সাহসী সার্জেন্ট মহি আলম চৌধুরী। তিনি প্রতিটি অপারেশন সম্মুখ থেকে পরিচালনা করতেন। কিন্তু সাধনপুর বোর্ড অফিস মিলিটারি ক্যাম্প অপারেশনের সময় রহস্যজনকভাবে তিনি ধরা পড়েন এবং তাদের নির্মম অত্যাচারে শহিদ হন। এরকম অসংখ্য মহি আলম মিলিটারিদের অত্যাচারে প্রাণ হারান।
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার 'পুরাতন ভৃত্য' কবিতায় পুরাতন ভৃত্য কেষ্টা সম্পর্কে বলেছেন (i) তিনখানা দিলে একখানা রাখে, বাকি কোথা নাহি জানে,
একখানা দিলে নিমেষ ফেলিতে তিনখানা করে আনে।
যেখানে সেখানে দিবসে-দুপুরে নিদ্রাটি আছে সাধা।
(ii) ঘরের কর্ত্রী রুক্ষ মূর্তি বলে, আর পারি নাকো
রহিল তোমার এ ঘর, দুয়ার, কেষ্টারে লয়ে থাকো।
শুনে মহা বেগে ছুটেযাই রেগে আনি তার ঢিকি ধরে;
বলি তারে 'পাজি বের হ তুই আজই, দূর করে দিনু তোরে।'