গ বিভাগ—উপন্যাস
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় অনেক মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য শহর ছেড়ে গ্রামে আশ্রয় নেয়। আবার অনেকে ঘর-বাড়ির মায়া ত্যাগ করে জীবন বাঁচাতে ভারতে গিয়ে বিভিন্ন শরণার্থী কেন্দ্রে আশ্রয় গ্রহণ করে। যাত্রাপথে এসব শরণার্থীদের খাবার ও পানি দিয়ে সাহায্য করে রাজু নামে এক কিশোর। তাদের কাছে পাকিস্তানীদের অত্যাচারের কাহিনি শুনে তার মনে প্রতিশোধস্পৃহা জেগে ওঠে। সে ভেতরে ভেতরে ফুঁসতে থাকে, আর মনে মনে ভাবে যদি সে একটি পাকিস্তানী সেনাকে হত্যা করতে পারতো, তাহলে তার গায়ের জ্বালা কিছুটা জুড়াতো।
মৃন্ময় তার বাবার সাথে ১৬ ডিসেম্বর সকালে অপরাজেয় ৭১-এ ফুল দিতে যায়। এখানে হাজার হাজার মানুষকে সে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে দেখে। সে তার বাবার কাছে অপরাজেয় ৭১ সম্পর্কে জানতে চায়। বাবা তাকে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় যে বীর-যোদ্ধারা প্রাণপণ যুদ্ধ করে দেশের জন্য জীবন দিয়েছেন, তাঁদের স্মরণে এটি নির্মিত হয়েছে। তাই, অপরাজেয় ৭১ তরুণ প্রজন্মের নিকট মুক্তিযুদ্ধের প্রামাণ্য দলিল হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।