নবম শ্রেণির ছাত্রী রাশিদাকে মাত্র ১৪ বছর বয়সে দরিদ্র বাবা-মা বিয়ে দেয় নিরক্ষর শফিকের সঙ্গে। দেড় বছরের মাথায় রাশিদার কোলজুড়ে আসে ফুটফুটে এক ছেলে। অকর্মণ্য স্বামী স্ত্রী সন্তানের প্রতি কর্তব্য পালন তো করতোই না, উপরন্তু রাশিদার উপর অকথ্য নির্যাতন চালাতো। জীবনের এই দুর্যোগ মুহূর্তে রাশিদা নিষ্ক্রিয় না থেকে আত্মপ্রত্যয়ের সাথে সেলাইয়ের কাজ শেখে। এরপর সে ক্ষুদ্রঋণ প্রকল্প থেকে ঋণ নিয়ে একটি সেলাই মেশিন কিনে ঘরে বসে কাজ শুরু করে। একনিষ্ঠতা, আন্তরিকতা ও দক্ষতার ক্রমোন্নতিতে রাশিদার কাজের মান ও চাহিদা বাড়তে থাকে এবং বড়ো বড়ো কোম্পানি থেকে তার কাছে অর্ডার আসতে থাকে। অসহায় ও দুঃস্থ প্রায় পঁচিশ জন মহিলাকে সে প্রশিক্ষণ দিয়ে কাজে লাগিয়ে দেয়। অদম্য মানসিকতা ও প্রচণ্ড ইচ্ছাশক্তির জন্য রাশিদা এখন স্বনির্ভর একজন নারী।