.
উপসর্গ' শব্দটির অর্থ হলো উপসৃষ্টি বা নতুন সৃষ্টি। বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত যে সকল অব্যয় জাতীয় বর্ণ বা বর্ণ সমষ্টি কোনো ধাতু বা শব্দের পূর্বে বসে ঐ ধাতু বা শব্দের অর্থের পরিবর্তন ঘটাতে পারে তাদেরকে উপসর্গ বলে। নতুন অর্থবোধক শব্দ তৈরি করতে পারলেও উপসর্গের নিজস্ব পূর্ণাঙ্গ অর্থ নেই। এজন্য এদের অর্থ প্রকাশের ক্ষমতা তথা অর্থবাচকতা নেই। কিন্তু এরা অন্য ধাতু বা শব্দের অর্থকে প্রভাবিত করতে পারে। তাই এদের অর্থের রেশ তথা অর্থদ্যোতকতা আছে।
যেমন: 'হার্' একটি ধাতু। এর পূর্বে 'উপ', 'পরি', 'অনা', 'প্র', 'বি' প্রভৃতি উপসর্গ যুক্ত হয়ে যথাক্রমে
নামক নতুন অর্থবোধক শব্দ তৈরি করতে পেরেছে। লক্ষ করলে দেখা যায় যে, এখানে ব্যবহৃত উপসর্গগুলোর ('উপ', 'পরি', 'অনা', 'প্র', 'বি') নিজস্ব কোনো অর্থ নেই; কিন্তু এগুলো 'হার' ধাতুর পূর্বে যুক্ত হয়ে নতুন নতুন শব্দ তৈরি করেছে। তাই এ কথা প্রমাণিত যে, উপসর্গের অর্থবাচকতা না থাকলেও অর্থদ্যোতকতা আছে।