Academy

বাংলা একাডেমি প্রণীত তৎসম শব্দের বানানেয় পাঁচটি নিয়ম উদাহরণসহ লেখো।

Created: 4 months ago | Updated: 4 months ago
Updated: 4 months ago

বাংলা একাডেমি প্রণীত প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম অনুসারে তৎসম শব্দের ৫টি নিয়ম নিচে দেওয়া হলো: 

১. যেসব তৎসম শব্দে ই ঈ বা উ উ উভয় শুদ্ধ কেবল সেসব শব্দে ই বা উ এবং তার কারাচিহ্ন (ু ি) হবে। যেমন: কিংবদন্তি, সূচিপত্র; উর্ণা, উষা। 

২. রেফের পর ব্যঞ্জনবর্ণের দ্বিত্ব হবে না। যেমন: অর্জুন, ধৰ্ম্ম ইত্যাদির পরিবর্তে অর্জন, ধর্ম ইত্যাদি হবে। সন্ধির ক্ষেত্রে কখগঘ পরে থাকলে পূর্ব পদের অন্তস্থিত ম্ স্থানে অনুস্বার ঝ. হবে। যেমন: অহম্ কার অহংকার। 

৩. বিশেষ অক্ষরগুলো যুক্ত করে লেখতে হবে। যেমনঃ রাত্রি, অন্ধকার, প্রাণতি।

৪. সংস্কৃত ইন্-প্রত্যয়ান্ত শব্দের দীর্ঘ ঈ-কারান্ত রূপ সমাসবদ্ধ হলে সংস্কৃত ব্যাকরণের নিয়ম অনুযায়ী সেগুলিতে হ্রস্ব ই-কার হয়। যেমন: গুণী গুণিজন, প্রাণী প্রাণিবিদ্যা, মন্ত্রী মন্ত্রিপরিষদ। ইনু-প্রত্যয়ান্ত শব্দের সঙ্গে-ত্ব ও তা প্রত্যয় যুক্ত হলে ই-কার হবে। যেমন: কৃতী → কৃতিত্ব, দায়ী → দায়িত্ব, প্রতিযোগী →  প্রতিযোগিতা, মন্ত্রী → মন্ত্রিত্ব, সহযোগী →  সহযোগিতা।

৫. বিসর্গ: (:) শব্দের শেষে বিসর্গ (০ঃ) থাকবে না। যেমন: ইতস্তু, কার্যত, ক্রমশ, পুনঃপুন, প্রথমত, প্রধানত, প্রয়াত, প্রায়শ, ফলত, বস্তুত, মূলত। এছাড়া নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে শব্দমধ্যস্থ বিসর্গ-বর্জিত রূপ গৃহীত হবে। যেমন: দুস্থ, নিস্তব্ধ, নিগৃহ, নিশ্বাস।

4 months ago

বাংলা

Please, contribute to add content.
Content
Promotion