যে ছিদ্রের সৃষ্টি হয় তার নাম -

Created: 2 years ago | Updated: 5 months ago
Updated: 5 months ago

পত্ররন্ধ্রীয় প্রস্বেদন পদ্ধতি (Mechanism of Stomatal Transpiration)

পত্ররন্ধ্রগুলো প্রস্বেদনের অতি প্রয়োজনীয় অংশ। এগুলো দিনের বেলায় উন্মুক্ত হয়, রাতে বন্ধ থাকে। পত্ররন্ধ্রের মাধ্যমে যে প্রস্বেদন হয় তাকে পত্ররন্ধ্রীয় প্রস্বেদন বলে।

মাটি থেকে মূলরোম দ্বারা শোষিত বিপুল পরিমাণ পানির অতি সামান্য অংশ উদ্ভিদের বিভিন্ন জৈবনিক কর্মকাণ্ডে ব্যবহৃত হয়, আর অধিকাংশ পত্ররন্ধ্রীয় প্রস্বেদনের মাধ্যমে বাষ্পাকারে নির্গত হয়ে বায়ুমণ্ডলে মিশে যায়। মাটি থেকে শোষিত পানি পাতার শিরা- উপশিরার মাধ্যমে প্যালিসেড ও স্পঞ্জী প্যারেনকাইমায় পৌঁছে। সেখানে সম্পৃক্ত (saturated)কোষ-সমূহের প্রাচীর থেকে পানি বাষ্পাকারে বের হয়। উক্ত বাষ্প আন্তঃকোষীয় অবকাশ এবং পত্ররন্ধ্রীয় প্রকোষ্ঠে জমা হয়। দিনের বেলায় রক্ষীকোষের রসস্ফীতির ফলে পত্ররন্ধ্র খুলে যায় এবং বাইরের বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতা কম থাকলে আন্তঃকোষীয় অবকাশ ও পত্ররন্ধ্রীয় প্রকোষ্ঠে সঞ্চিত বাষ্প ব্যাপন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বায়ুমন্ডলে ছড়িয়ে পড়ে।

Content added By
Promotion