নিচের ছকের প্রথম কলামে কয়েকটি উপসর্গ দেওয়া হলো। এসব উপসর্গের সঙ্গে যুক্ত হয় এমন শব্দ মাঝের কলামে লেখো। তৃতীয় কলামে লেখো উপসর্গ-সাধিত শব্দটি। তোমার বানানো শব্দগুলো যেন উপরের উপসর্গ- সাধিত শব্দের উদাহরণ থেকে আলাদা হয়। কাজ শেষে সহপাঠীকে তোমার কাজ দেখাও, তুমিও তার কাজ দেখো এবং একে অপরের কাজ নিয়ে আলোচনা করো। প্রথমটি করে দেখানো হলো।
যেসব শব্দের প্রথম অংশ অর্থযুক্ত এবং দ্বিতীয় অংশ অর্থহীন, সেসব শব্দকে বলা হয় প্রত্যয়-সাধিত শব্দ। যেমন: দিন+ইক-দৈনিক। এখানে 'দিন' শব্দের পরে 'ইক' প্রত্যয় যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ 'দৈনিক' তৈরি হয়েছে। এভাবে প্রত্যয়ের মাধ্যমে গঠিত শব্দের উদাহরণ: পড়ু+উয়া=পড়ুয়া; চল্+অন্ত=চলন্ত; ফুল+দানি=ফুলদানি; ঢাকা+আই=ঢাকাই ইত্যাদি।
খেয়াল করো, উপরের প্রথম দুটি শব্দের প্রথম অংশ 'পড়' এবং 'চল্' হলো ক্রিয়ামূল। ক্রিয়ামূলের সঙ্গে যুক্ত হওয়া প্রত্যয়কে বলে কৃৎপ্রত্যয়। এখানে 'উয়া' ও 'অন্ত' হলো কৃৎপ্রত্যয়।
আবার পরের দুটি শব্দের প্রথম অংশ 'ফুল' ও 'ঢাকা' হলো নামশব্দ। নামশব্দের সঙ্গে যুক্ত হওয়া প্রত্যয়কে বলে তদ্ধিত প্রত্যয়। এখানে 'দানি' ও 'আই' হলো তদ্ধিত প্রত্যয়।
প্রত্যয়-সাধিত কিছু শব্দের নমুনা নিচে দেওয়া হলো:
আরও দেখুন...