উপরের কথোপকথনের ভিত্তিতে নিচের প্রশ্নগুলো সম্পর্কে তোমার মতামত লেখো। লেখা শেষ হলে কয়েকজন সহপাঠীর সাথে তোমার উত্তর মিলিয়ে দেখো এবং প্রয়োজনে সংশোধন করো।
ক. মত প্রকাশের সময়ে সিয়াম কী কী যুক্তি ও তথ্য ব্যবহার করেছে?
খ. ভিন্নমত প্রকাশের সময়ে পারুল ও তিসা কোন ধরনের যুক্তি ও তথ্য ব্যবহার করেছে?
গ. সিয়ামকে সমালোচনার সময়ে পারুলের কোন শব্দপ্রয়োগ যথাযথ হয়নি? পারুল কীভাবে বললে ভালো হতো?
ঘ. সিয়ামের মত পরিবর্তনের ব্যাপারটি কতটুকু ঠিক হয়েছে?
ঙ. পরিবারের সদস্য, কিংবা বিদ্যালয়ের সহপাঠী ও শিক্ষকদের সঙ্গে তুমি সাধারণত কীভাবে নিজের মত প্রকাশ করো? যখন ভিন্নমত থাকে, তখন সেটি কীভাবে প্রকাশ করো?
কোনো ধারণা উপস্থাপন করাকে মত প্রকাশ বলে। আর কোনো মতের বিপরীতে কোনো বক্তব্য থাকলে তাকে ভিন্নমত বলে।
মত প্রকাশ: সাধারণত নিজের ভাষায় মত প্রকাশ করতে হয়। মৌখিকভাবে বা লিখিতভাবে মত প্রকাশ করা যায়। এর উদ্দেশ্য কোনো ধারণাকে অন্যের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া।
কোনো কিছু নিয়ে মত প্রকাশের আগে কে, কী, কারা, কেন, কোথায়, কীভাবে, কবে, কখন ইত্যাদি প্রশ্নের জবাব অনুসন্ধান করতে পারো। যেমন, 'মুখস্থবিদ্যা' সম্পর্কে মত প্রকাশ করার আগে এভাবে ভাবতে পারো: মুখস্থবিদ্যা বলতে কী বোঝায়? মুখস্থ কারা করে? কেন করে? কোথায় কোথায় মুখস্থ করার প্রয়োজন হয়? মুখস্থবিদ্যার দরকারি দিক আছে কি না? মুখস্থের খারাপ কোনো দিক আছে কি না? এভাবে প্রশ্ন করার ফলে বিষয়টি নানা দিক থেকে বোঝা সম্ভব হয়।
মত প্রকাশের আগে আরো কিছু বিষয় মনে রাখা যায়-
ভিন্নমত প্রকাশ: কারো মতের বিপরীতে ভিন্নমত তৈরি হওয়া স্বাভাবিক। কারো মতের সঙ্গে একমত না হলে তা প্রকাশের ক্ষেত্রে কিছু বিষয় বিবেচনায় রাখা যায়-
ভিন্নমত বিবেচনা: এক পক্ষের মত প্রকাশ ও অন্য পক্ষের ভিন্নমত প্রকাশের মধ্য দিয়ে কোনো বিষয়ের ধারণা অধিক স্পষ্ট হয়। ভিন্নমত অনেক সময়ে মতকে শক্তিশালী করে। ভিন্নমত বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনে নিজের মত সংশোধন করা যায়। এর মাধ্যমে মত প্রকাশের উদ্দেশ্যও পূর্ণতা পায়।
আরও দেখুন...