আসান মঞ্জিল ছিল বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে নির্মিত বাংলার নবাবদের রাজপ্রাসাদ। মোঘল আমলে জামালপুর পরগনার জমিদার শেখ এনায়েতুল্লাহ্ এই প্রাসাদটি নির্মাণ করেন। আঠারো শতকে তাঁর পুত্র শেখ মতিউল্লাহ, প্রাসাদটিকে বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসাবে ব্যবহারের উদ্দেশে ফরাসি বণিকদের কাছে বিক্রি করে দেন। ১৮৩০ সালে খাজা আলিমুল্লাহ্ ফরাসিদের নিকট থেকে এটিকে ক্রয় করে আবার প্রাসাদে পরিণত করেন। এই প্রাসাদকে কেন্দ্র করে খাজা আব্দুল গণি একটি প্রধান ভবন নির্মাণ করেন। তিনি তাঁর পুত্র খাজা আহসানউল্লাহর নামানুসারে ভবনটির নামকরণ করেন আহসান মঞ্জিল।
১৮৮৮ সালে ঘূর্ণিঝড়ে এবং ১৮৯৭ সালের ভূমিকম্পে ভবনটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে তা মেরামতও করা হয়। ১৯৮৫ সালে বাংলাদেশ সরকার প্রাসাদটির তত্ত্বাবধানের দারিত্ব নেওয়ার পর এর প্রাচীন ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনা হয়।
এই প্রাসাদে রয়েছে লম্বা বারান্দা, জলসাঘর, দরবারহল এবং রংমহল। বর্তমানে এটি জাদুঘর হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। আহসান মঞ্জিল বাংলাদেশের একটি উল্লেখযোগ্য স্থাপত্য নিদর্শন।
প্রাচীন স্থাপনাগুলো রক্ষণাবেক্ষণে প্রচুর অর্থ ব্যয় হয়, তারপরও সেগুলো সংরক্ষণ করা উচিত কী না, এ নিয়ে শ্রেণিতে একটি বিতর্ক আয়োজন কর। বিতর্কে দুইটি দল পক্ষে ও বিপক্ষে বলবে। দলের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন কর।
এই অধ্যায়ে চারটি ভিন্ন ভিন্ন সময়ের ঐতিহাসিক স্থাপনা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। প্রতিটি সময়ের পাশে সেই সময়ের উল্লেখযোগ্য ঘটনাগুলো লেখ। কাজটি জোড়ায় কর।
সময় | যা ঘটেছে |
---|---|
খ্রিষ্টপূর্ব তৃতীয় শতক | |
৮০০ খ্রিষ্টাব্দ | |
সতের শতক | |
উনিশ শতক |
এই অধ্যায়ে যে চারটি সময় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে, তার ঘটনাপঞ্জি তৈরি কর। প্রতিটি সময়ের উল্লেখযোগ্য স্থান ও নিদর্শনগুলোর ছবি দাও ।
নিচের অংশ পড়ে ঐতিহাসিক স্থান ও নিদর্শনগুলোর নাম লেখ :
ক. মৌর্য আমলে এই স্থানটি 'পুণ্ড্রনগর' নামে পরিচিত ছিল ......…………………………………………………………………………।
খ. এখানে প্রাশ্চ জিনিসের মধ্যে রয়েছে রৌপ্যমুদ্রা, হাতিয়ার এবং পাথরের পুঁতি………………………………………..।
গ. এখানকার জাদুঘরে বিভিন্ন মুদ্রা ও পাথর ফলকের নিদর্শনও আছে …………………………………………………………।
ঘ. দুর্গের দক্ষিণে গোপন প্রবেশ পথ এবং একটি তিন গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদ রয়েছে………………………………….।
আরও দেখুন...