হ্যাকসঃ ধাতু কাটার অতি প্রয়োজনীয় এ যন্ত্রটির প্রধানত দুইটি অংশ (ক) ফ্রেম এবং (খ) ব্রেড
হ্যাকস ফ্রেস দুই প্রকার-
(১) সলিড ফ্রেম। ফ্রেমের দৈর্ঘ্য কম বেশি করা যায় না।
(২) অ্যাডজাস্ট্যাবল ফ্রেম : প্রয়োজনে ফ্রেমের দৈর্ঘ্য কম বেশি করা যায়।
ব্লেডঃ
ধাতু কাটার হ্যাকস এর মূল উপাদান হলো ব্লেড। ব্লেডের দুই প্রান্তে দুইটি ছিদ্র থাকে, এই ছিদ্র দুইটির কেন্দ্রের মধ্যবর্তী দূরত্বকে হ্যাকস ব্লেডের দৈর্ঘ্য বলে।
বাজারে প্রচলিত ব্লেডগুলির দৈর্ঘ্য ২৫০ মিলিমিটার হতে ৩০০ মিলিমিটার, চওড়া ১২ মিলিমিটার হতে ১৬ মিলিমিটার এবং পুরুত্ব ০.৬৩ মিলিমিটার হতে ০.৮০ মিলিমিটার হয়। প্রতি ইঞ্চিতে দাঁতের সংখ্যা বিভিন্ন হলেও, ওয়ার্কশপের সাধারণ কাজের জন্য প্রতি ইঞ্চিতে ১৪ দাঁতের ব্রেড ব্যবহৃত হয়। মোটা বা বেশি পুরুত্বেও ধাতু কাটার জন্য প্রতি ইঞ্চিতে অল্প দাঁত সংখ্যা বিশিষ্ট ব্লেড ব্যবহৃত হয়। কোন একটি ধাতু কাটার সময় লক্ষ করা উচিত যে স্থানটি কাটা হচ্ছে সে স্থানের উপর কমপক্ষে দুই বা তিনটি দাঁত থাকতে পারে কীনা? যদি না পারে তবে ব্লেড ভাঙার সম্ভাবনা বেশি।
হ্যাকস এর ব্যবহার
অতি প্রয়োজনীয় এ কাটার যন্ত্রটি ওয়ার্কশপে রড, ফ্লাটবার, পাইপ, অ্যাঙ্গেলবার, প্লেট ইত্যাদি অভি সহজে এবং সুবিধাজনকভাবে কাটার জন্য ব্যবহার করা হয়।
কাইল :
ওয়ার্কশপে যতগুলো হ্যান্ডটুলস ব্যবহৃত হয় ফাইল সেগুলোর মধ্যে অন্যতম। একটি ফাইলের বিভিন্ন অংশগুলোর নাম নিয়ে দেওয়া হলো।
চিত্র : ৫.২ (চ) ফাইল
একটি ফাইলের ট্যাং অংশটি বাদ দিলে যা অবশিষ্ট থাকে তা ফাইল দৈৰ্ঘ্য হিসাবে পরিচিত। এ দৈর্ঘ্য ৫০ মিলিমিটার হতে বর্ধিত হয়ে ১০০ মিলিমিটার এবং ১০০ মিলিমিটার হতে বর্ষিত হয়ে ৪৫০ মিলিমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। অর্থাৎ ২ ইঞ্চি হতে ক্রমে বৃদ্ধি পেয়ে ৪ ইঞ্চি এবং ৪ ইঞ্চি হতে ক্রমে বৃদ্ধি পেয়ে ১৮ ইঞ্চি পর্যন্ত হয়।
ফাইলের ব্যবহারঃ
কোন বস্তুর উপরিভাগ বা কোন নালীর ভিতরের অংশ হতে অল্প পরিমাণ ম্যাটেরিয়াল ক্ষয় করতে এটি অত্যন্ত উপযুক্ত। আপাত দৃষ্টিতে ফাইল চালানো কাজ খুব স্বাভাবিক মনে হলেও সুন্দর করে ফাইল চালানো বা ফাইলিং শেখার জন্য অনেক সময় মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন।
একটি ফাইলের প্রতি সেন্টিমিটারে বা প্রতি ইঞ্চিতে কয়টি দাঁত রয়েছে সে সংখ্যার উপর ভিত্তি করে ফাইলের স্তর বা গ্রেড নির্ধারণ করা হয়। যে স্থানে বেশি ধাতু ক্ষয় করতে হয় তথায় প্রতি সেন্টিমিটারে অল্প দাঁতের ফাইল অর্থাৎ মোটা দাঁতের ফাইল ব্যবহার করা হয়। প্রতি সেন্টিমিটারে বা ইঞ্চিতে দাঁত সংখ্যার ভিত্তিতে ফাইল-এর গ্রেডসমূহের নাম এবং এদের ব্যবহার ছকে দেখান হলো। সঠিক কাজ পাওয়ার জন্য সঠিক গ্রেডের ফাইল নির্বাচন করা অতি প্রয়োজন।
টেবিল নং-১
ফাইলের গ্রেড | প্রতি সে.মিটারে দাঁতের সংখ্যা | প্রতি ইঞ্চি দাঁতের | কোথায় ব্যবহার করতে হবে |
---|---|---|---|
রাফ | ৮ | ২০ | খুব বেশি পরিমাণের ধাতু ক্ষয় করতে। |
বাস্টার্ড | ৮ হতে ১০ | ২০ হতে ৫০ | অপেক্ষাকৃত কম ধাতু ক্ষয় করতে পারে। |
বাস্টার্ড কার্ট | ১২ হতে ১৬ | ৩০ হতে ৪০ | সাধারণ কাজের জন্য |
স্মুথ কার্ট | ২০ হতে ২০ | ৫০ হতে ৬০ | অল্প পরিমাণ ধাতু ক্ষয় করার জন্য। |
ভেড ম্মুখ | ২৬ হতে ৪০ | ৬৫ হতে ১০০ | অতি অল্প পরিমাণ ধাতু অপসারণের জন্য এবং ফিনিসিং দেওয়ার কাজে। |
দাঁতের সংখ্যার উপর ভিত্তি করে যেমন ফাইলের থ্রেড নির্ধারণ করা যায়, তেমনি ফাইলের আকৃতির উপর ভিত্তি করে এর শ্রেণি বিভাগ করা যায়। বিভিন্ন জবের জন্য বিভিন্ন শ্রেণির ফাইলের দরকার হয়।
বিভিন্ন শ্রেণির ফাইলগুলোর নাম হলোঃ
১. ফ্ল্যাট ফাইল
আকৃতি অনুসারে ফাইলগুলোর বর্ণনাঃ
ফ্ল্যাট ফাইলঃ
ফ্ল্যাট অর্থ সমতল বা চ্যাপ্টা সুতরাং এ ফাইন্সের উপরিভাগ সমতল বা চ্যাপ্টা হবে অর্থভাগ ক্রমশ চিকন। এর দৈর্ঘ্য সাধারণত ৫ সেন্টিমিটার হতে ১৫ এবং ১৫ সেন্টিমিটার হতে ৪৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়। ভ্যাকশপের অধিকাংশ কাজ এ ফাইল যারা করা যায়। রাফ, বাস্টার্ড, সেকেন্ড কার্ট, সুখ এবং ডেড স্বর্ণ সকল গ্রেডের ফ্ল্যাট ফাইল বাজারে পাওয়া যায়।
হ্যাভ ফাইল
এর পৃষ্ঠদেশ সমতল এবং আয়তাকার, দেখতে ফ্ল্যাট ফাইলের মতো হলেও এক পার্শ্বে কোন দাঁত থাকে না, অর্থাৎ এক পাশ সমতল থাকে ফলে ১০ ডিগ্রি কোণে কোন পৃষ্ঠ ক্ষয় করার সমর একটি পার্শ্বকে অক্ষুণ্ণ রাখা প্রয়োজন হলে এ প্রকারের ফাইল এর দরকার হয় ।
পিলার ফাইলঃ
এ শ্রেণির ফাইল হ্যান্ড ফাইলের অনুরূপ শুধুমাত্র পার্থক্য যে, এর পুরুত্ব হ্যান্ড ফাইলের চেয়ে বেশি হয়। এ ফাইল ২০ সেন্টিমিটার হতে ৩০ সেন্টিমিটার (৮ ইঞ্চি হতে ১২ ইঞ্চি) পর্যন্ত লম্বা বাজারে পাওয়া যায়। কোন আয়তাকার খাচে অধিক পরিমাণ ধাতু ক্ষয় করার কাজে এ ফাইল অভি উপযুক্ত।
মিল ফাইলঃ
এ প্রকারের ফাইলেরও পৃষ্ঠদেশ চ্যাপ্টা বা সমতল তবে বিশেষত্ব এই যে, এই শ্রেণির ফাইল সিংগেল কাট বিশিষ্ট হয়। অধিক পরিমাণ ধাতু ক্ষর করতে এটি ব্যবহৃত হয়।
হাফ রাউন্ড ফাইল :
নাম হতে বুঝা যায় যে, এ ধরনের ফাইল এর উপরিভাগ অর্থ গোলাকার হবে। তবে প্রকৃত পক্ষে এটি সম্পূর্ণরূপে অর্ধ গোলাকার নয়, খানিকটা অর্থ গোলাকার এবং এর একটি পৃষ্ঠ সমতল থাকে, ফলে সমতল পৃষ্ঠটি দিয়ে অনায়াসে ফ্ল্যাট ফাইলের কাজও চালান যায় এবং বক্রপৃষ্ঠটি দিয়ে কোন পৃষ্ঠকে অবতল আকৃতি দেওয়া যায়। এ শ্রেণির ফাইলের দৈর্ঘ্য ১০ সেন্টিমিটার হতে ৪৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়।
চিত্র : ৫.২ (খ) হাফ রাউড ফাইল
রাউন্ড ফাইল
এ শ্রেণির ফাইল গোলাকার তবে টেপার আকৃতি হয় অর্থাৎ ফাইলের ব্যাস সুঘমহারে ক্রমশ কমে যায়। ছোট আকৃতির রাউন্ড ফাইলকে রাাটটেইল বলা হয়। রাউন্ড ফাইলের দৈর্ঘ্য সাধারণত ১০ সেন্টিমিটার হতে ৪৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়। কোন গোল ছিদ্রকে বড় করতে, অসম আকৃতির ছোলের আকৃতি ঠিক করতে এ শ্রেণির ফাইল অতি উপযুক্ত বলে বিবেচিত হয়।
চিত্র : ৫.২ (দ) রাউন্ড ফাইল
স্ট্যান্ডেলার ফাইল বা গ্লি ক্ষরার ফাইল
তিন কোন বিশিষ্ট এ ফাইল টেপার আকৃতি হয় অর্থাৎ ক্রমশ চিকন হয়। তিন কোণা এ ফাইলের প্রতিটি কোণের মান ৬০ ডিগ্রি। এ প্রকার ফাইল ১০ সেন্টিমিটার হতে ৪০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত দীর্ঘ হয়। এটি সিঙ্গেল কাট এবং ডবল কাট উভয় প্রকারের হয়। যে সমস্ত কৌণিক স্থানের মান ৯০ ডিগ্রি অপেক্ষা কম সে সকল স্থানে ফাইলিং করতে এ প্রকারের ফাইল অধিক উপযুক্ত। করাতের দাঁত, ট্যাপ, কাটার ইত্যাদি ধার দিতে এ ফাইল খুব উপযুক্ত।
চিত্র : ৫.২ (খ) ট্র্যাংকনার ফাইল বা থ্রি ক্ষরার ফাইল
ক্ষরার ফাইল
এ ফাইল বর্গাকার অর্থাৎ এর চারটি কোণ থাকে, প্রতিটি কোণের মান ৯০ ডিগ্রি। এটি ডবল কার্ট বিশিষ্ট হয়। কোন নালীর বা গ্রুপের তলা পরিষ্কার করতে অথবা গোল গর্তকে চৌকোণা করতে এ শ্রেণির ফাইল ব্যবহৃত হয়।
চিত্র : ৫.২ (প) চিত্তোল
হেড অংশে হাতুড়ির আঘাত দিয়ে ধাতু কাটা হয়, চিজেল টুল স্টিল নামক ভালো ইস্পাতের তৈরি হয়। বিভিন্ন রকম কাজের জন্য চিজেলের মুখের আকৃতি বিভিন্ন হয় এবং এদের নামও বিভিন্ন হয়, যেমনঃ
চিত্র ঃ ৫.২ (গ) লাইভ চিয়োল
কোন চিজেলের মাপ বলতে এর কাটিং এজের দৈর্ঘ্যকে বুঝায়। এ মাগ ০৬ মিলিমিটার হতে ৩২ মিলিমিটার পর্যন্ত হয়। ওয়ার্কশপে চিজেল নিম্নলিখিত কাজে ব্যবহৃত হয়।
(১) প্রয়োজনের অতিরিক্ত মেটাল কোন বস্তুর উপর হতে দ্রুত সরিয়ে ফেলতে।
(২) কোন অসমতল স্থান তাড়াতাড়ি মোটামুটি সমান করতে।
(৩) কোন বস্তুর উপরিভাগে নালী বা ঘাট কটিতে।
(৪) কোন মেটালকে দ্বিখণ্ডিত করতে।
(৫) রিভেটকে কেটে কোন জোড় খুলতে।
(৬) ওরেন্ড জোড়া প্রস্তুতি ।
(৭) ভরেন্ড মেটালের মাঝে আটকে পড়া ধাতুমল বা পান সরাতে।
বলপিন হ্যামার
এর হেডটি বলের মত অর্থাৎ গোল তাই এ বেশির হাতুড়ির নাম হয়েছে বলপিন হ্যামার। একটি বলপিন হ্যামারে বিভিন্ন অংশের নাম হলোঃ
(ক) ফেল
(খ) আই
(গ) হেড বা পিন
(ঘ) হাতল
বলপিন হ্যামার সাধারণত ০.১১ হতে ০.৭৫ কিলোগ্রাম ওজনের হয়। ওয়ার্কশপে বিভিন্ন ধরনের কাজে এ হ্যামার ব্যবহার করা হয়।
ব্যবহারঃ
(ক) ওয়েল্ডিং করার পর ওয়েল্ড মেটালের উপর যে সকল স্থাগের আবরণ থাকে সেগুলো পরিষ্কার করতে হাতুড়ি প্রয়োজন হয়।
(খ) স্প্যার্টার ত্রুটির কারণে ছিটকে পড়া যাতৃ কণাগুলো পরিষ্কার করতেও এটি ব্যবহৃত হয়।
(গ) যে স্থান সমতল অংশ দিয়ে পরিষ্কার হয় না অর্থাৎ ময়লা শক্তভাবে লেগে থাকে সেখানে চিজেদের মত অংশে ব্যবহৃত হয় ।
(ঘ) সমতল অংশকে সাধারণ হাতুড়ির মত ব্যবহার করে কোন কিছুকে পেটাতে সেন্টার পর্যন্ত মাথাটি হার্ডেনিং করে শক্ত করা এবং বড়ি হাত হতে যেন পিছলিয়ে না যায় ভাই নারলিং (Knurling) করা থাকে। এটি লম্বায় প্রায় ১০০ মিলিমিটার হয়।
ব্যবহার
জন মার্কিং করতে ব্যবহৃত হয়।
স্ক্রাইবারঃ
এক প্রাপ্ত সূচের মত তীক্ষ্ণ এবং বডিতে নারলিং করা। এটি টুলস্টিলের তৈরি এবং লম্বার প্রায় ২০০ মিলিমিটার হতে ৩০০ মিলিমিটার হয়। কোন কোন সময় এর এক মাথা ৯০ ডিগ্রি কোণে বাঁকানো থাকে।
ব্যবহারঃ
পেন্সিল দিয়ে যেমন কাগজের উপর দাগ টানা হয় অনুরূপভাবে ভাবের উপর দাগ দেওয়ার জন্য এটি ব্যবহৃত হয়। ওয়েল্ডিং জোড়ার পার্শ্বদেশ তৈরি করার সময় এটি ব্যবহৃত হয় ।
এটি মিডিয়াম কার্বন স্টিলের তৈরি এর হাতল অংশ গোলাকার তবে চোয়াল গোলাকার এবং চ্যাপটা উভয় রকম হয় ।
ব্যবহারঃ গরম অথকে ধরতে ও নাড়াচাড়া করতে জবকে সঠিক অবস্থানে ধরে ওয়েন্ডিং করতে এটি অস্তি প্রয়োজনীয়।
ওয়্যার ব্রাশ
কাঠের হাতলের শক্ত চিকন চিকন তার বলিয়ে এ ব্রাশ তৈরি করা হয়। চিপিং হাতুড়ির সাহায্যে জোড়া স্থানের স্লাগের আবরণ তোলার পর উক্ত স্থানকে ভালোভাবে পরিষ্কার করার জন্য এটি ব্যবহৃত হয়। তাছাড়াও বেস মেটাল বা পেরেনট মেটাল যখন অপরিষ্কার থাকে তখনও এ ব্রাশের সাহায্যে এটি পরিষ্কার করা যায়।
পোর্টেবল ইলেকট্রিক ব্যান্ড প্রাইভারঃ
এটি একস্থান হতে অন্যস্থানে বহন করা যায়। একটি বৈদ্যুতিক মটর গ্রাইন্ডিং হুইলটি চালায় এবং ওয়েল্ডার নিজ হাতে হ্যান্ড গ্রাইন্ডারটিকে ওয়েল্ডিংকৃত জবের উপর চাপিয়ে ওয়েন্ডিং জোড়াকে পরিষ্কার করতে পারে। ভারী জবকে পরিষ্কার করার জন্য এটি অতি উপযুক্ত।
ভাইস গ্রিপ ওয়েন্ডিং ক্ল্যাম্পঃ ওয়েল্ডিং ওয়ার্কশপে এটি অতি প্রয়োজনীয় একটি হ্যান্ডটুলস। এ ক্লাম্প কয়েকটি ধাতুখণ্ডকে একত্রে ধরে জবকে সঠিক অবস্থানে রাখতে অতি প্রয়োজনীয়।
সি ক্ল্যাম্পঃ
এটি দেখতে ইংরেজি সি অক্ষরের মতো। তাই এর এরূপ নাম হয়েছে। ভারী এবং হালকা উভয় ধরনের কাজে এটি ব্যবহার করা যায় ।
প্যারালাল ফ্ল্যাম্প
এ ধরনের ক্ল্যাম্পে দুইটি জ বা চোয়ালই প্যারালাল অবস্থার থাকে তাই এর নাম প্যারালাল ক্ল্যাম্প হয়েছে। জবকে সঠিক স্থানে ধরে রেখে ওয়েল্ডিং করতে একে ব্যবহার করা যায়।
আরও দেখুন...