ভূমিকা
বিভিন্ন ডিজাইন কাপড়ে তোলার পূর্বে ডিজাইনটিকে সরল ও সহজবোধ্য করে বুঝানোর উদ্দেশ্যে এক প্রকার বর্গাকৃতি ঘর বিশিষ্ট কাগজে বিভিন্ন রং এর সংমিশ্রণে আকর্ষণীয় করে ফুটিয়ে তোলার মাধ্যমই হলো গ্রাফ পেপার ।
গ্রাফ পেপার বিভিন্ন নামের হয়ে থাকে।
যথা-
০ ডিজাইন পেপার
০ পয়েন্ট পেপার
০ স্কোয়ার পেপার ।
সংজ্ঞা
গ্রাফ পেপার পরস্পর সমান্তরাল কতগুলো আড়াআড়ি ও লম্বালম্বি দুই সেট সরলরেখা সম দূরত্বে ও সমকোণে ভেদ করে কতগুলো ছোট ছোট চৌকো ঘর সৃষ্টি করে, যে কাগজের উপর উপরোক্ত বর্গাকৃতি ঘরগুলো অংকিত হয় তাকে ছক কাগজ বা গ্রাফ পেপার (Graph paper) বলে ।
ডিজাইন তৈরির জন্য গ্রাফ পেপারের ব্যবহার
ডিজাইন করার সময় সাধারণত আড়াআড়ি ও লম্বালম্বি উভয় দিকেই ইঞ্চি প্রতি ৮, ১০ অথবা ১৬ ঘরে অর্থাৎ ৮x৮, ১০×১০ বা ১৬×১৬ এর বার লাইন অথবা মোটা রেখা দ্বারা সীমাবদ্ধ করা হয়ে থাকে, যাতে ব্যবহারের পূর্বেই ঘরগুলো সহজেই সনাক্ত করা সম্ভব হয় ।
পড়েন সুতাকে আড়াআড়ি ও টানা সুতাকে লম্বালম্বি এর দিকে ধরা হয় ডিজাইনারের মতানুসারে ছোট চৌকো ঘরগুলো ভরাট করে পড়েন সুতার উপরে টানা সুতা ভাসা বুঝাবে এবং চৌকো ঘরে কোন দাগাঙ্কিত না থাকলে তা টানার উপরে অর্থাৎ পড়েন ভাসা বুঝাবে । টানা ভাসা পড়েন ভাসা নিমের চিত্রের সাহায্যে বুঝানো হলো ।
০ ডিজাইন করার পূর্বে অবশ্যই রিপিটের টানা ও পড়েন সুতার সংখ্যা সনাক্ত করে নিতে হবে।
০ গ্রাফ পেপারের বার লাইন কত কত ঘরে আছে তা সনাক্ত করে ডিজাইন অংকন করা উচিত।
উপসংহার / মন্তব্য
আরও দেখুন...