চাঁদ কখনো বড় আবার কখনো ছোট এবং কখনো গোলাকার বা অর্ধ-গোলাকার মনে হয় । চাঁদের উজ্জ্বল অংশের আকৃতির এরূপ পরিবর্তনশীল অবস্থাকে চাঁদের দশা বলে ।
প্রশ্ন : চাঁদের দশা কেন পরিবর্তিত হয় ?
কাজ : একটি বলের বিভিন্ন দশা
কী করতে হবে :
১. সূর্যের নমুনা স্বরূপ একটি উজ্জ্বল বাতি বা টর্চ, চাঁদের নমুনা স্বরূপ একটি সাদা বল (যেমন—টেনিস বল, ক্রিকেট বল) নিই।
২. নিচে দেখানো ছকের মতো খাতায় একটি ছক তৈরি করি।
ক. অবস্থান | খ. অবস্থান | গ. অবস্থান | ঘ. অবস্থান |
---|---|---|---|
|
|
|
৩. মোমবাতি বা টর্চটি জ্বালিয়ে শ্রেণিকক্ষের আলো নিভিয়ে দিই।
৪. বলটি ‘ক’,‘খ’,‘গ’ ও ‘ঘ’ অবস্থানে রাখি।
৫. ‘ঙ’ অবস্থান থেকে প্রতিটি অবস্থানের জন্য বলটির পৃষ্ঠদেশ পর্যবেক্ষণ করি। (দ্রষ্টব্য: ‘গ’ অবস্থানে বলটি পর্যবেক্ষণের সময় লক্ষ রাখতে হবে যাতে বলের উপর নিজের ছায়া না পড়ে।)
৬. একইভাবে বাকি অবস্থানের বলগুলো পর্যবেক্ষণ করি এবং তার ছবি আঁকি ।
৭. কাজটি নিয়ে সহপাঠীদের সাথে আলোচনা করি।
চাঁদের আবর্তন
চাঁদ পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ। উপগ্রহ হলো সেই বস্তু যা কোন গ্রহকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়। চাঁদ তার নিজের অক্ষ বরাবর প্রায় ২৮ দিনে একবার ঘুরে এবং একই সাথে পৃথিবীর চারদিকেও একবার ঘুরে আসতে চাঁদের প্রায় ২৮ দিন সময় লাগে।
চাঁদের ঘূর্ণন
চাঁদের নিজস্ব কোনো আলো নেই। চাঁদ সূর্যের আলো প্রতিফলিত করে। চাঁদের অর্ধাংশ সূর্যের আলোতে সবসময়ই আলোকিত। কিন্তু পৃথিবীকে আবর্তনের সময় পৃথিবীর দিকে মুখ করা চাঁদের আলোকিত অংশের পরিমাণ ভিন্ন ভিন্ন হয়। এর ফলে চাঁদের বিভিন্ন দশার সৃষ্টি হয়। আমরা শুধুমাত্র চাঁদের আলোকিত অংশই দেখতে পাই। যখন আমরা চাঁদের আলোকিত অংশ সম্পূর্ণ গোলাকার দেখতে পাই তখন আমরা একে পূর্ণিমার চাঁদ বলি। আর যখন আমরা চাঁদের আলোকিত অংশ একেবারেই দেখতে পাই না তখন একে অমাবস্যার চাঁদ বলি।
আরও দেখুন...